মুসলমান মুসলমানের ভাই। নবীজি (সা.) তাদের উপমা দিয়েছেন একদেহের সঙ্গে। অর্থাৎ দেহের কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হলে যেমন সারা দেহ জোরে আক্রান্ত হয়, তেমনি গোটা মুসলিম উম্মাহও তাদের কোনো মুসলিম ভাইকে বিপদে শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। ইসলামের প্রতি মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের কিছু হক আছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হক হলো, তাকে জালিমের হাত থেকে রক্ষা করা। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, বারাআ ইবনে আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত, বিশ্বনবী (সা.) আমাদেরকে সাতটি কাজ করতে বলেছেন এবং সাতটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে রোগীর সেবা করার, জানাজায় অংশগ্রহণ করার, হাঁচি দিলে তার জবাব দেয়ার, কসম পুরা করায় সহযোগিতা করার, মজলুমকে সাহায্য করার, সালামের বিস্তার করার এবং কেউ দাওয়াত দিলে তা কবুল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি আমাদের নিষেধ করেছেন স্বর্ণের আংটি পরতে, রুপার পাত্র ব্যবহার করতে,...
ইসলামে মাজলুমের পক্ষে দাঁড়ানোর গুরুত্ব
মাইমুনা আক্তার

বিশ্বনবী (সা.)-এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য
মো. আব্দুল হামিদ

মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ মাখলুক ও সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)। তিনি ছিলেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। যাঁকে মহান আল্লাহ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জন্য রহমতস্বরূপ তৈরি করেছেন। নিম্নে আল্লাহর এই প্রিয় বন্ধুর কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো আল্লাহর প্রিয় বন্ধু : নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি আল্লাহ তাআলার প্রিয় হাবিব (বন্ধু), তাতে কোনো গর্ব নেই। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬১৬) কিয়ামতের দিন প্রথম উত্থিত হবেন : নবী (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষ বেহুঁশ হয়ে পড়বে। তারপর জমিন ফাটবে এবং যারাই উঠবে, আমিই হব তাদের মধ্যে প্রথম। (বুখারি, হাদিস : ২৪১২) কিয়ামতের দিন প্রথম শাফাআতকারী : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়, ওটা তোমার জন্য নফল, শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক তোমাকে মাকামে মাহমুদে (প্রশংসিত স্থানে) উন্নীত করবেন। (সুরা বনি...
শিশুর মানসিক গঠনে করণীয়
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

সন্তানের প্রতিপালন মা-বাবার দায়িত্ব। তারাই সন্তানকে আগামী দিনের গড়ে তোলেন। শিশুর প্রতিপালনের দুটি দিক : এক. বাহ্যিক প্রতিপালন। যেমন শিশুর খাবার ও চিকিত্সার ব্যবস্থা করা, দুই. তার মনস্তত্ব গঠন। ইসলাম শিশুর বাহ্যিক ও মানসিক উভয় প্রকার গঠন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। মা-বাবা যেমন শিশুর খাবার, পোশাক, স্বাস্থ্য-চিকিত্সার মতো বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখবে, তেমনি তারা ঈমান, আখলাক ও চিন্তা-ভাবনাগুলোর প্রতিও লক্ষ্য রাখবে। সৃষ্টিগতভাবেই সন্তানের প্রতি মা-বাবা অত্যন্ত স্নেহশীল। আল্লাহ মা-বাবার ভেতর এমন মমত্ব ও ভালোবাসা তৈরি করে দেন যে, তারা শিশুর সর্বপ্রকার ভালো-মন্দের খেয়াল রাখে। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সব প্রয়োজন পূরণ করে। তবে মা-বাবাকে তখনই দায়িত্বশীল বলা যাবে, যখন তারা সন্তানের দৈহিক গঠনের মতো, মানসিক গঠনকেও গুরুত্ব দেবে এবং তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করবে...
কোরআন ও হাদিসে চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক নির্দেশনা
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

পবিত্র কোরআনে পৃথিবী, নভোমণ্ডল, দিন রাতের বিবর্তন, মহাশূন্য, প্রাণী ও উদ্ভিদ জগৎ, মানবদেহ ইত্যাদি সম্পর্কে বহুবার চিন্তাশীল লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানের নতুন কোনো আবিষ্কার কোরআনের কোনো বক্তব্য ভুল প্রমাণ করতে পারেনি। অনেক পণ্ডিত এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। প্রসঙ্গত ফরাসি বিজ্ঞানী ড. মরিস বুকাইলির বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান গ্রন্থটির কথা বলা যায়। জার্মান গবেষক ড. কার্ল অপিটযাই তাঁর সুবিখ্যাত Die Medizin in Koran গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে কোরআনের ১১৪ সুরার মধ্যে ৯৭ সুরার ৩৫৫ আয়াত চিকিত্সা বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট। তিনি এ সকল আয়াত নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন। আয়াতসমূহকে তিনি ৩ ভাগে বিভক্ত করেছেন। তা হলো ১. চিকিত্সা শাস্ত্র বিষয়ের আয়াত এতে আছে ক. সৃষ্টি, ভ্রূণ, গর্ভধারণ, গর্ভাবস্থা, শিশু পরিচর্যা, আয়তকাল ইত্যাদির আলোচনা খ. শরীর জ্ঞান (Anatomy), শরীরবৃত্ত (Physiology) : গ....