বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। এখন মুক্তবাজার অর্থনীতির সময়। দেশের শিল্প খাত ক্রমাগত তীব্র প্রতিযোগিতার দিকেই যাচ্ছে, যা দেশের জন্য চরম সংকটের কারণ হচ্ছে। এই খাতে বিনিয়োগে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। চাইলেও বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছে না। ফলে কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর বেসরকারি খাত হচ্ছে কর্মসংস্থানের মূল চালিকাশক্তি। কর্মসংস্থান না হলে বেকারের সংখ্যা বাড়বে। বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া মানে জীবনমান নিম্নগামী হওয়া। মানুষের আয়-উন্নতি ব্যাহত হোকএই পরিস্থিতি কাম্য নয়। অন্যদিকে শিল্পপণ্যের উৎপাদন বাড়ানো উচিত। মানুষের আয় কিন্তু সীমাবদ্ধ। ফলে মানুষের ভোগব্যয় কমবে। সরকারের রাজস্ব আহরণ নিয়ন্ত্রিত হবে এবং সরকার বাজেট ঘাটতির সম্মুখীন হবে। বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার ঋণ নেবে। ঋণ নিলে মুদ্রাস্ফীতি হবে। মুদ্রাস্ফীতি...
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
অনলাইন ডেস্ক

পথ হারাচ্ছে বাংলাদেশ?
অদিতি করিম

জুলাই বিপ্লবের পর এ দেশের মানুষ আশা করেছিল একটা নতুন বাংলাদেশের। স্বপ্ন দেখেছিল বৈষম্যমুক্ত সমাজের। হানাহানি, মারামারি, লুণ্ঠন বন্ধ হবে, একটা সাম্যের, সৌভ্রাতৃত্বের দেশ হিসেবে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব, এমন একটা প্রত্যাশা ছিল সবার। দুর্নীতি এবং লুণ্ঠনের বিপরীতে এক সুশাসনের বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল সবাই। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাস পেরোনোর পর সেই প্রত্যাশার ফানুস কেন যেন চুপসে যাচ্ছে ক্রমশ। একটি বিশেষ মহল যেন জুলাই বিপ্লবের স্বপ্ন ধ্বংসের চেষ্টা করছে অবিরত। তারা ছাত্রদের বিভ্রান্তির পথে উসকে দিচ্ছে। আবার বিরাজনীতিকরণপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র এখন দৃশ্যমান। সঙ্গে দেখা যাচ্ছে এক-এগারোর মতো অর্থনীতিবিনাশী তৎপরতা। মানুষ আস্তে আস্তে আশাহত হচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, আইনশৃঙ্খলা, কোথাও কোনো...
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
ড. ফরিদুল আলম

গত বছরের অক্টোবর মাসে হামাসের তরফ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল, আরব দেশগুলো এবং পশ্চিমাদের নীরবতা ইসরায়েলকে গণহত্যায় উসকানি দিচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের বর্বরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরপর জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন গাজার মানবিক বিপর্যয় নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ জানিয়ে হত্যা ও বাস্তুচ্যুতির মধ্য দিয়ে ইসরায়েল গাজাকে ফিলিস্তিনি শূন্য করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে। এর নেপথ্য কারণ এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে দিন দিন। ইসরায়েলের এই বর্বরতার পেছনে সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক এখন গর্ত থেকে বের হয়ে এসেছে। যারা এত দিন ধরে দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানের কথা বলে এসেছে, তারাই এখন গাজাকে ফিলিস্তিনি শূন্য করে সেখানে রিভেরা (বিলাসবহুল পর্যটনকেন্দ্র) নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। গাজাবাসী কোথায় গিয়ে থাকবে তারও একটি সমাধান দিয়ে রেখেছে, আর সেটি হচ্ছে মিসর ও জর্দান, অর্থাৎ সমগ্র...
চেনা যায় সহজেই
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ভাষা দিয়ে চেনা যায়, চেনা যায় ক্ষমতা দিয়েও। ভাষা বরং অধিক, ক্ষমতার চেয়ে। মুখ খুললেই বক্তার পরিচয় হেসে-খেলে কিংবা রেগে-মেগে বের হয়ে আসে। ভাষা পারে চুম্বকের মতো কাছে টেনে নিতে এবং যন্ত্রের মতো ঠেলে দিতে দূরে। কাছে টেনে নেওয়াটা বিশেষভাবে ঘটে প্রবাসে। প্রবাসে বাঙালি মাত্রই বাঙালির মিত্র, শত্রুতে পরিণত হওয়ার আগে। এ বিষয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেকেরই রয়েছে, আমারও আছে বলে দাবি করতে পারি। আজ থেকে পঁয়ষট্টি বছর আগে আমি বিদেশে গিয়েছিলাম পড়তে। তখন আমরা পাকিস্তানি। সেই পরিচয়েই গিয়েছি ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তি নিয়ে। উর্দুভাষী যে পাকিস্তানিরা সহযাত্রী ছিল আমার, তাদের কারও কারও সঙ্গে যে বন্ধুত্ব হয়নি তা নয়, হয়েছে। কিন্তু বিদেশে পা দিয়ে বাঙালিমাত্রকেই বন্ধু মনে হয়েছে, সে বাঙালি যে রাষ্ট্রেরই নাগরিক হোক। ভারত-পাকিস্তান তখন শত্রুর সম্পর্ক, কিন্তু সেই শত্রুতা ভারতীয়...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর