সত্যবাদীতা মনুষ্যত্বের সর্বশ্রেষ্ঠ অলংকার। বলা হয়, আল ইসলামু হাক্কুন ইসলাম সত্য। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ মানুষকে সততার চর্চা ও সত্য বলার নির্দেশ দিচ্ছেন, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্য কথা বল (সুরা আহযাব, আয়াত: ৭০) তবুও বাস্তবতা, ন্যায়ের কৌশল হিসেবে ক্ষেত্রভেদে সরব অবস্থানের চেয়ে চুপ থাকা বিশেষ উপকারী। নিম্নে ক্ষেত্রভেদে চুপ থাকার কিছু উপকারীতা তুলে ধরা হলো: মুক্তির উপায় মৌনতা অনেক সময় প্রতিবাদের ভাষা হয় এবং অনেক জটিল সমস্যা হতে তা মুক্তির পথ দেখায়। প্রিয় নবী (সা.) বলেন যে চুপ থেকেছে, সে নাজাত পেয়েছে। (তিরমিজি) নিরাপদ থাকা অনাসৃষ্টি ও উত্তেজনা পরিহারের জন্য চুপ থাকা অত্যন্ত কার্যকরী। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, যে নিরাপদ থাকতে চায় তার চুপ থাকা আবশ্যক। (মুসনাদ আনাস বিন মালিক, বায়হাকি) সহজ ইবাদত চুপ থাকা একটি ইবাদত। হাদিসেই আছে রোজাদারের চুপ থাকা তাসবিহ...
ইসলামের দৃষ্টিতে চুপ থাকা
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় ইসলামের নির্দেশনা
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ (সা.) মুসলিম উম্মাহর সম্পর্ককে একদেহের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যদি মুসলিমরা এক দেহের মতো হয়, কিংবা এক গাঁথুনির মতো, যেখানে এক অংশ অন্য অংশকে শক্তি জোগায়, তাহলে তাদের মাঝে বিভেদ, বিচ্ছিন্নতা বা সম্পর্কচ্ছেদ থাকার কথা নয়। বরং তাদের মধ্যে হওয়া উচিত সম্পর্ক রক্ষা, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও মিলমিশ, আর পারস্পরিক ঐক্য আরও দৃঢ় হওয়া উচিত। ইসলামের শত্রুদের হূদয় যেসব কারণে প্রশান্ত হয় এবং চোখ শীতল হয়, তার অন্যতম হলো, মুসলিমদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা, পরস্পরের প্রতি বিরূপতা, পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং একে-অপরের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হওয়া। এই বিভেদই তাদের বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত করে ফেলে, যার ফলে তাদের ঐক্য বিনষ্ট হয়, শক্তি দুর্বল হয় এবং শত্রুরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই কারণেই ইসলাম অত্যন্ত কঠোরভাবে মুসলিমদের মধ্যে...
যথাসময়ে নামাজ পড়ার পুরস্কার
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

ঈমানের পর ফরজ নামাজই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ মুমিন নর-নারীর ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন। মুমিনের দায়িত্ব হলো যথাসময়ে ফরজ নামাজ আদায় করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনের আবশ্য কর্তব্য। (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩) যথাসময়ে নামাজের গুরুত্ব কোরআন-হাদিসে যথা সময়ে নামাজ আদায়ের বহু তাগিদ আছে। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো। ১. জাহান্নামের আগুন নেবে : যথা সময়ে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন নির্বাপিত হয়। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর এমন একজন ফেরেশতা আছে যে, প্রত্যেক নামাজের সময় ঘোষণা করে : হে মানব সন্তান! তোমরা তোমাদের সেই আগুনের প্রতি মনোযোগী হও যা তোমরা (পাপের মাধ্যমে) প্রজ্জ্বলিত করেছ। সুতরাং তা নির্বাপিত কোরো।...
যেভাবে ধ্বংস হয়েছিল আবরাহার হস্তিবাহিনী
আলেমা হাবিবা আক্তার

হাবশার সম্রাট নাজ্জাশি নিযুক্ত ইয়েমেনের গভর্নর ছিলেন আবরাহা সাবাহ হাবশি। তিনি মক্কা নগরী ও পবিত্র কাবা ঘরের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ দেখে ঈর্ষান্বিত হন। ফলে তিনি সানআয় একটি একটি বিরাট গীর্জা নির্মাণ করলেন এবং আরববাসীকে আহ্বান করলে যেন তারা এই ঘরের তাওয়াফ করে। এই আহ্বানে আরবরা ক্ষুব্ধ হলো। বনু কেনানার লোকজন এক রাত্রে গোপনে গীর্জায় প্রবেশ করে তাতে মল ত্যাগ করল এবং সামনের দিকে মলের প্রলেপন দিয়ে পালিয়ে এলো। এ ঘটনায় আবরাহা ভয়ানক ক্রোধান্বিত হন এবং প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য কাবাঘর ধ্বংসের সংকল্প করেন। তিনি ৬০ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনীসহ মক্কা অভিমুখে অগ্রসর হন। তিনি নিজে একটি শক্তিশালী হাতির পিঠে আরোহন করেন। এছাড়াও তার বাহিনীতে নয় থেকে ১৩টি হাতি ছিল। পথিমধ্যে জুনফর ও নুফাইল নামক দুই নেতা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের বাহিনী পরাজিত হয়। বাহিনী...