যেকোনো ইবাদত মুমিনের হৃদয়ে প্রশান্তি বয়ে আনে। তবে রোজা রেখে মুমিন অন্যসব ইবাদতের তুলনায় অধিক প্রশান্তি খুঁজে পায়। কেননা রোজাদারের জন্য আল্লাহ যে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তা যেমন প্রেমময়, তেমনি অতিসম্মানের। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই রোজা ছাড়া। তা আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। আর রেদাদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিসকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯২৭) রোজাকে আল্লাহ নিজের দিকে সম্বোধন করে বলেছেন, রোজা আমার জন্য। যা একজন আল্লাহপ্রেমী মুমিনের জন্য অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। মুহাদ্দিসরা বলেন, রোজা রিয়া বা প্রদর্শনপ্রিয়তা মুক্ত হওয়ার কারণেই আল্লাহকে তাকে নিজের দিকে সম্বোধন করেছেন। ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, অন্যান্য ইবাদতে রিয়া (অন্যকে দেখানোর আগ্রহ)...
রোজাদারের মানসিক প্রশান্তি
আলেমা হাবিবা আক্তার

আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনের প্রতিদান
মাইমুনা আক্তার

প্রতিটি ঈমানদারের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও পরকালীন মুক্তি। কারণ পরকালীন জীবন অনন্ত। সেখানে যদি (নাহজুবিল্লাহ) কারো জাহান্নামের ফায়সালা হয়ে যায়, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কিছুই হতে পারে না। কারণ জাহান্নামের আগুন সহ্য করার সাধ্য কার আছে। সে আগুন দুনিয়ার আগুনের চেয়ে বহু গুণ শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক। মহান আল্লাহ তাঁর অসীম দয়ার কারণে পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের এই আগুন থেকে বাঁচার সূত্র জানিয়ে দিয়েছেন। নবীজি (সা.)-ও তাঁর উম্মতদের সেই আগুনের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, এবং তা থেকে বাঁচার বিভিন্ন ফর্মুলা শিখিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হলো, মহান আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করেছে, সে ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে পর্যন্ত না দুধ স্তনে...
সোনালি যুগের স্মৃতিচারণে মেসিডোনিয়ায় রমজান উদযাপন
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

পূর্ব ইউরোপের দেশ মেসিডোনিয়ার জনসংখ্যা ৩ কোটি। যার ৪০ ভাগই মুসলিম। ইউরোপের অমুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মেসিডোনিয়াতেই মুসলিম জনসংখ্যার হার সবচেয়ে বেশি। স্পেনে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ইউরোপের নানান দেশে মুসলিম ধর্মপ্রচারক ও জ্ঞানান্বেষীরা ছাড়িয়ে পড়েন। তাদের মাধ্যমে মেসিডোনিয়া সর্বপ্রথম ইসলামের পরিচয় লাভ করে। মুসলিম ধর্মপ্রচারকগণ সেখানে মসজিদ ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ১৩৮২ খ্রিস্টাব্দে উসমানীয় শাসকরা মেসিডোনিয়া বিজয় করেন এবং তাদের সহযোগিতায় সেখানে দ্রুত ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত প্রথম বলকান যুদ্ধ পর্যন্ত তুর্কিরাই কার্যত মেসিডোনিয়া শাসন করে। উসমানীয় শাসকগণ মেসিডোনিয়ায় বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। উসমানীয় শাসন আমলে গড়ে তোলা পাঁচ শতাধিক মসজিদ এখনো মেসিডোনিয়ায় টিকে...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা: পর্ব-২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

সূরা আহজাব, এই সূরায় সামাজিক জীবনের বিভিন্ন শিষ্টাচার, আহজাব যুদ্ধ ও বনি কুরাইজা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। শুরুর দিকে দত্তক নেওয়া শিশুর বিধান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। মহানবী (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের বিশেষ মর্যাদার কথা তুলে ধরা হয়েছে। পর্দার বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। জাহেলি যুগের মতো উদ্দাম চলাফেলা করতে নিষেধ করা হয়েছে। তালাকপ্রাপ্ত নারীর ইদ্দত পালনের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। নবীপরিবারের মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। ভালো কাজে তাঁদের প্রতিদান দ্বিগুণ আর মন্দ কাজে শাসি্তও দ্বিগুণ দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. ওহির অনুসরণ করো। (আয়াত : ২) ২. মুমিনের জন্য আল্লাহই যথষ্টে। (আয়াত : ৩) ৩. মানুষকে পিতৃ-পরিচয়ে ডাকো। (আয়াত : ৫) ৪. পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। (আয়াত : ১৫) ৫. রাসুল (সা.)-এর জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (আয়াত : ২১) ৬. রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যে...