রহমত, মাগফিরাতের দশক থেকে শেষ হয়ে শুরু হলো নাজাতের দশক। পবিত্র মাহে রমজানের এই দশকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা রাসুল (সা.) এই দিনগুলোতে আমলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতেন। নিম্নে শেষ দশকে নবীজি (সা.)-এর বিশেষ কিছু আমল তুলে ধরা হলো : ১. ইবাদতের মাত্রা বৃদ্ধি : পবিত্র রমজানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইবাদতের মাত্রা খুব বেশি বাড়িয়ে দিতেন। শেষ দশক এলে এর মাত্রা আরো বেড়ে যেত। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) শেষ দশকে ইবাদতের মাত্রা এত বেশি বাড়িয়ে দিতেন, যেমনটি অন্য সময় করতেন না। (আস সুনানুল কুবরা, হাদিস : ৮৩৫১; মুসলিম, হাদিস : ১১৭৫) অন্য হাদিসে আয়েশা (রা.) বলেন, শেষ দশকে নবীজি (সা.) কোমর বেঁধে আমল করতেন। অর্থাৎ খুব গুরুত্বসহ আমলে লিপ্ত থাকতেন। ২. পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দেওয়া : রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সা.) সারা রাত জেগে থাকতেন। শেষরাতে পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। আয়েশা...
রমজানের শেষ মুহূর্তে রাসুল (সা.)-এর আমল
নিজস্ব প্রতিবেদক

যাকাত যে আট শ্রেণির ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়
অনলাইন ডেস্ক
আল্লাহতায়ালা যাকাত কোন শ্রেণির মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। আল্লাহর নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী যাকাত আট শ্রেণির ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়। (সুরা তাওবা : আয়াত ৬০) যাকাত যে আট শ্রেণির ব্যক্তিদের মধ্যে দিতে হয়: ১। ফকির, যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই। ২। মিসকিন, যাদের কোনো সম্পদ নেই। ৩। যারা ইসলামি রাষ্ট্রের সরকারকর্তৃক যাকাত, সদকা, ওশর ইত্যাদি উসুল করার কাজে নিয়োজিত। ৪। ইসলামের দিকে ধাবিত করার জন্য যাকাত প্রদান । তবে এ খাতটি বর্তমান সময়ের জন্য নয়। ৫। নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ দাস-দাসী। ৬। পর্যাপ্ত পরিমাণ মাল না থাকার দরুণ ঋণ পরিশোধে অক্ষম ঋণী ব্যক্তি। ৭। মুজাহিদ, যারা যুদ্ধের অস্ত্র যোগাতে অক্ষম অথবা টাকার কারণে হজের কাজ পূর্ণ করতে অক্ষম বা ইলম হাসিল ও দ্বীনি দাওয়াতের কাজে...
রোজাদারের মানসিক প্রশান্তি
আলেমা হাবিবা আক্তার

যেকোনো ইবাদত মুমিনের হৃদয়ে প্রশান্তি বয়ে আনে। তবে রোজা রেখে মুমিন অন্যসব ইবাদতের তুলনায় অধিক প্রশান্তি খুঁজে পায়। কেননা রোজাদারের জন্য আল্লাহ যে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তা যেমন প্রেমময়, তেমনি অতিসম্মানের। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই রোজা ছাড়া। তা আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। আর রেদাদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিসকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯২৭) রোজাকে আল্লাহ নিজের দিকে সম্বোধন করে বলেছেন, রোজা আমার জন্য। যা একজন আল্লাহপ্রেমী মুমিনের জন্য অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। মুহাদ্দিসরা বলেন, রোজা রিয়া বা প্রদর্শনপ্রিয়তা মুক্ত হওয়ার কারণেই আল্লাহকে তাকে নিজের দিকে সম্বোধন করেছেন। ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, অন্যান্য ইবাদতে রিয়া (অন্যকে দেখানোর আগ্রহ)...
আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনের প্রতিদান
মাইমুনা আক্তার

প্রতিটি ঈমানদারের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও পরকালীন মুক্তি। কারণ পরকালীন জীবন অনন্ত। সেখানে যদি (নাহজুবিল্লাহ) কারো জাহান্নামের ফায়সালা হয়ে যায়, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কিছুই হতে পারে না। কারণ জাহান্নামের আগুন সহ্য করার সাধ্য কার আছে। সে আগুন দুনিয়ার আগুনের চেয়ে বহু গুণ শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক। মহান আল্লাহ তাঁর অসীম দয়ার কারণে পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের এই আগুন থেকে বাঁচার সূত্র জানিয়ে দিয়েছেন। নবীজি (সা.)-ও তাঁর উম্মতদের সেই আগুনের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, এবং তা থেকে বাঁচার বিভিন্ন ফর্মুলা শিখিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হলো, মহান আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করেছে, সে ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে পর্যন্ত না দুধ স্তনে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর