বাহাঈ একটি আঞ্চলিক ধর্ম। এর উদ্ভব ঘটে ইরানে। এ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হলেন মির্জা হোসেন আলি ইবন আব্বাস। পরবর্তীকালে তিনি বাহাউল্লাহ বা আল্লাহর জ্যোতি উপাধি ধারণ করেন এবং এ উপাধিতে প্রসিদ্ধি অর্জন করেন। তাঁর এই নামের দিকে সস্পর্কযুক্ত করে এ ধর্মের অনুসারীদের বাহাঈ বলা হয়ে থাকে। (নাসির আবদুল্লাহ আল-কিফারি, আল-আদইয়ান ওয়াল মাজাহিব, পৃ.১৫৬) মির্জা হোসেন আলি ১২২৩ হিজরি মোতাবেক ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দের মুহাররম মাসে ইরানের তেহরান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। আবার কোনো কোনো ঐতিহাসিক তাঁর জন্মস্থান সমপর্কে লিখেছেন, তিনি ইরানের মাজেন্দারান জেলার নূর নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। এ জন্য তাকে মাজেন্দারানী ও নুরি বলা হয়। (আদিল আব্দুল মুনইম আবুল আব্বাস, আল-বাহাইয়্যাহ হাকায়িক ওয়া ওছায়িক (কায়রো : মাকতাবাতুল কোরআন, ২০০৬ খ্রি.) পৃ. ২১) ১৮৬৩ সালের ২১ এপ্রিল তার পূর্বসুরি মির্জা আলী...
বাহাঈ ধর্মের পরিচয় ও প্রচলন
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

আরবির প্রধান পাঁচ উপভাষা
আববার আবদুল্লাহ

পৃথিবীর কমপক্ষে ৩৫ কোটি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে। ভাষাভাষীর বিচারে আরবি পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা। ইসলামপূর্ব আরব উপদ্বীপই আরবি ভাষার জন্মস্থল। জাহেলি যুগ (যে যুগে ইসলামের আগমন ঘটে) এবং ইসলামী যুগেই আরবি ভাষার চূড়ান্ত বিকাশ সাধিত হয়। পরবর্তীতে তা বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্রের সংযোগে একাধিক আরবি উপভাষার জন্ম হয়। আরবির কোনো কোনো উপভাষার ভেতর পার্থক্য অনারব ভাষার মতোই প্রজ্জ্বল। যেমন কেউ যদি উত্তর আফ্রিকা ও ইরাকের দুজন আরবিভাষীর কথা শোনেন তবে তার কাছে মনে হতে পারে উভয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলছে। তবে আরবি ভাষার একটি প্রমিত রূপ শিক্ষিত আরবদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যাকে ইংরেজিতে মডার্ন স্ট্যান্ডার্ড অ্যারাবিক (এমএসএ) বা ফুসহা বলা হয়। ফুসহা বা প্রমিত আরবি কোরআনে ব্যবহূত ধ্রুপদী আরবি ভাষার নিকটবর্তী। বর্তমানে শিক্ষা,...
মুসলিম বাঙালি নারীর আত্মপরিচয়
আহমাদ আরিফুল ইসলাম

বাংলা মাটি ও বাঙালি সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থলে যে অনবদ্য শক্তির প্রতিচ্ছবি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জ্বলজ্বল করে এসেছে, তা হলো বাঙালি মুসলিম নারী। তিনি শুধু একটি লিঙ্গ পরিচয়ের বাহক নন; তিনি এই জাতির বিশ্বাস, মূল্যবোধ, পারিবারিক বন্ধন, শালীনতা ও আত্মমর্যাদার এক জাগ্রত প্রতীক। বাংলার প্রতিটি পরতে পরতে তাঁর অবদান ইতিহাসে লেখা, পরিবারে প্রোথিত এবং সমাজে প্রমাণিত। ঐতিহাসিক নির্মাণে বাঙালি মুসলিম নারী ইসলামী ইতিহাসে নারীদের মর্যাদার যে উদাহরণ নবীজীর (সা.) যুগ থেকে শুরু করে পরবর্তী যুগ পর্যন্ত চলে এসেছে, বাঙালি মুসলিম নারী সেই আদর্শ থেকেই নির্মিত হয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে মা আয়েশা (রা.), ত্যাগের ক্ষেত্রে খাদিজা (রা.), সাহসিকতার ক্ষেত্রে নুসাইবা বিনতে কাব (রা.)-এর জীবনী আমাদের পূর্বসূরি মুসলিম নারীদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এই আদর্শ নিয়েই বাংলা সমাজে মুসলিম নারী...
জুমার নামাজের গুরুত্ব
মাইমুনা আক্তার

ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেননা নবীজি (সা.) বলেছেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এদিন আদম (সা.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং সেখান থেকে দুনিয়ায় অবতরণ করানো হয়েছে। জুমার দিনই কিয়ামত সংগঠিত হবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৬২) ইসলামের জুমার দিনের গুরুত্ব অপরীসীম। জুমার দিনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে নবীজি এই দিনকে ঈদের দিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন বলে একটি সূত্রে পাওয়া যায়। জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো, জুমার নামাজ। জুমার অর্থ হলো, একত্রিত হওয়া, সংঘবদ্ধ হওয়া। যেহেতু এই দিনে মানুষ আল্লাহর বিধান পালনার্থে একত্রিত হয়, তাই এই দিনকে জুমার দিন বলা হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর