পূণ্যময় রাত শবে কদর। এই রাত হাজার মাসের থেকে উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদতের সুযোগ পেল তার থেকে সৌভাগ্যবান আর কেউ নেই। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে বা ভাগ্য রজনীতে নামাজ আদায় করবে তার পূর্বের গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭৬০) রমজানের শেষ দশক ও শবে কদরের ফজিলত পেতে রাসূল (সা.) এই দশকের পুরোটা সময় ইবাদতে কাটাতেন। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত, শেষ দশক প্রবেশ করলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোমর বেঁধে নামতেন। তিনি নিজে রাত জাগতেন এবং তাঁর পরিবারবর্গকে জাগিয়ে দিতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০২৪, সহিহ মুসলিম, হাদিস :১১৭৪) শবে কদরের ফজিলত নারী-পুরুষ সবার জন্য সমান। কোনো নারীর পিরিয়ড হলে তিনি এ রাতের ফজিলত থেকে...
ঋতুবতী নারীরা শবে কদরে ইবাদত করবেন যেভাবে
অনলাইন ডেস্ক

রমজানে ইতিহাসের গল্প শোনায় কসোভোর প্রবীণরা
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

বলকান উপদ্বীপের ছোট্ট দেশ কসোভো। ইউরোপের বুকে ইসলামের স্মারক বুকে নিয়ে টিকে আছে দেশটি। ইসলামের প্রথম শতাব্দীতেই কসোভোর মাটিতে ইসলাম দ্যুতি পৌঁছে যায়। আর ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় ৭৯৭ হিজরিতে। এরপর বহু ত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিময়ে হলেও কসোভোর মানুষ তাদের ঈমান ও ইসলাম টিকিয়ে রেখেছে। বহুবার ইউরোপের ইসলামবিদ্বেষী শক্তিগুলোর আক্রমণের শিকার হয়েছে অত্র অঞ্চলের মুসলিম জনগণ। সর্বশেষ নব্বইয়ের দশকে হানাদার সার্ব বাহিনীর হাতে লাখ লাখ মুসলিম প্রাণ হারায় এবং গৃহহারা হয় অসংখ্য মানুষ। অবশেষে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এখন কসোভো একটি মুসলিম রাষ্ট্র। কসোভোর জনগণের প্রায় ৯৫ ভাগই মুসলিম। প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে একটি ইসলামিক সেন্টার ও পাঁচটি ধর্মীয় স্কুল। যেখানে শিক্ষার্থীদের ইসলাম ও আরবি ভাষা-সাহিত্য শেখানো হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে মনোযোগ দিয়েছে...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা : পর্ব-২৫
অনলাইন ডেস্ক

সুরা আশ-শুরা ওহি সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে সুরাটি শুরু হয়েছে। এরপর ফেরেশতাদের কর্মযজ্ঞ নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। পরে মুসলমানদের মধ্যকার বিরোধ নিরসনে কোরআনের নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সুরায় রাসুল (সা.)-এর রিসালত ও মুমিনদের সম্পর্কেও কিছু আলোচনা আনা হয়েছে। এ কথার মাধ্যমে সুরাটি সমাপ্ত হয়েছে যে আসমান ও জমিনের রাজত্ব একমাত্র মহান আল্লাহর। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. জাতি-বৈচিত্র আল্লাহর ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ। (আয়াত : ৮) ২. বিদ্বেষবশত বিবাদ কোরো না। (আয়াত : ১৪) ৩. কিয়ামত আসন্ন, তা বেশি দূরে নয়। (আয়াত : ১৭) ৪. জান্নাতিদের সব প্রত্যাশা পূরণ করা হবে। (আয়াত : ২২) ৫. আত্মীদের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করো। (আয়াত : ২৩) ৬. সম্পদের অবাধ প্রাচুর্য বিপর্যয় ডেকে আনে। (আয়াত : ২৭) ৭. অশ্লীলতা পরিহারকারীদের জন্য জান্নাত। (আয়াত : ৩৭) ৮. মীমাংসাকারীদের জন্য পুরস্কার। (আয়াত :...
যেসব আমলে সদকার সওয়াব মেলে
মাইমুনা আক্তার

মহান আল্লাহকে খুশি করার অন্যতম মাধ্যম সদকা। সাধারণত আমরা সদকা বলতে বুঝি, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সওয়াবের আশায় কাউকে অর্থ-সম্পদ, খাবার কিংবা পোশাক ইত্যাদি দান করা। সদকাকে এই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হলে মনে হবে সদকার সম্পর্ক শুধু অর্থ-সম্পদের সঙ্গে। যার কাছে অর্থ-সম্পদ আছে, সেই শুধু সদকা করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। যার কাছে নেই, তার সদকার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের কোনো ব্যবস্থা নেই; কিন্তু বিষয়টি আসলে এ রকম নয়। রাসুল (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, যারা অসচ্ছল, যাদের কাছে সদকাযোগ্য অর্থ-কড়ি নেই, তাদের জন্যও সদকা করার রাস্তা খোলা আছে। সদকা মূলত দুই প্রকার১. অর্থ-সম্পদের মাধ্যমে সদকা। ২. আমলের মাধ্যমে সদকা। নিম্নে কোরআন-হাদিসের আলোকে আমলের মাধ্যমে সদকার ব্যাখ্যা দেওয়া হলো। আমলের মাধ্যমে সদকা তাসবিহ, জিকির ইত্যাদি : আবু জার (রা.) থেকে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর