news24bd
news24bd
মত-ভিন্নমত

প্রত্যাশা সমষ্টিগত মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তি

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রত্যাশা সমষ্টিগত মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বেশ ঘটনাবহুল। ছাত্রাবস্থায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন দেখেছি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব দেখেছি, স্বাধীনতা আন্দোলন দেখেছি। তার পরে পাকিস্তান হলো, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হলো। যুক্তফ্রন্টের বিজয় এবং সামরিক শাসন দেখলাম।

পরে শুরু হলো মানুষের বিক্ষোভ। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান হলো, নির্বাচন হলো। একাত্তরের যুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলো। রাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব হলো না।

কিন্তু মানুষের জন্য সামাজিক পরিবর্তন ছিল আবশ্যক। অথচ সামাজিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে থেকেছে ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্র, পাকিস্তান রাষ্ট্র। এমনকি একাত্তরের স্বাধীনতার পরও যে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলো, সেই রাষ্ট্রও সামাজিক পরিবর্তন তথা সমাজ বিপ্লবের পক্ষে কাজ করল না। এই রাষ্ট্র ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের মতোই একটি আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্র হয়ে রইল।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক আদর্শে পুঁজিবাদী রাষ্ট্র এবং ব্যবস্থাপনায় আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের জন্য জনগণের কাছে গেলেও তারা জনগণের ওপর নির্ভর করে না। ক্ষমতা, অস্ত্র, কালো টাকা ও সন্ত্রাসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা সাম্রাজ্যবাদের ওপর নির্ভর করে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে সরকারি ও বিরোধী দল সাম্রাজ্যবাদের কৃপালাভে সচেষ্ট।

এই সব বুর্জোয়া দলের বিপরীতে কোনো ভালো বিকল্প না পেয়ে জনগণ বুর্জোয়া দলকে পর্যায়ক্রমে ভোট দিয়ে এসেছে। কিন্তু জনগণের ভাগ্য তথৈবচ। বর্তমানে সেটিও কার্যকর নয়।

জনমত উপেক্ষা করেই এই দুই দল জামায়াত ও হেফাজত নামের দুই সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এতে স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। অতীতের ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রতিক ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আমাদের দেশে সর্বজনীন হয়নি। বামপন্থী ও মৌলবাদীরা গণহত্যা এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তবু দৃষ্টিগ্রাহ্য প্রতিবাদ করেছে; বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ দেখা যায়নি। এতেই বোঝা যায় তারা কত বেশি সাম্রাজ্যবাদনির্ভর। সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপস ও তোষামোদ করে ক্ষমতায় থাকে এ দেশের শাসকদল। স্বাধীন এই রাষ্ট্রের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার কেবল নয়, ছিল অতি আবশ্যিক। ক্ষমতা শুধু সচিবালয়ে কেন্দ্রীভূত না রেখে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত ছিল। নৈতিকতার উপাদানকে কাজে লাগাতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে। এমন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে, যেখানে সাম্রাজ্যবাদের প্রতি আপস থাকবে না, সন্ত্রাসের লালন হবে না এবং সংখ্যালঘুর ওপর নিপীড়ন ও অনিরাপত্তা থাকবে না।

প্রত্যাশা সমষ্টিগত মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তিপ্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন একটি বিকল্প ধারা ছিল, অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রান্তেও সেটি পূরণ হলো না। অধরাই রয়ে গেল, যার সামনে লক্ষ্য হিসেবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে। যে গণতন্ত্রে সমাজতন্ত্রের উপাদান আছে, যে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি হলো ইহজাগতিকতা এবং যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদমুক্ত অঙ্গীকার আছে; সেই ধরনের অঙ্গীকার নিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের জন্য গণভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন করা প্রয়োজন। আমাদের দুর্ভাগ্য, বাম দলগুলো সেই সুযোগ কাজে না লাগিয়ে দশকের পর দশক ব্যর্থ হয়েছে। বাম দলগুলো বড় দলের জোটভুক্ত হয়ে কিছুই করতে পারবে না। এসব দল ব্যর্থ হলেও তাদের প্রয়োজন আছে গণচেতনার সংগ্রামের জন্য। তবে তাদের অবশ্যই ক্ষমতার লেজুড়বৃত্তির মোহ ত্যাগ করতে হবে। তাদের প্রধান কাজই হবে জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল প্রধান দলগুলোর ব্যর্থতা ও দুর্বলতার কারণে। যারা নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না, তারা দেশ চালাবে কী করে? রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আদর্শবাদীতা নিম্নস্তরে নেমে গেছে, স্বার্থবাদীতা প্রবল হয়েছে। ছাত্ররাজনীতিকে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অভিমুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আগে ছাত্ররা রাজনীতি করত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এখন করে ক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক মুনাফা ও লুণ্ঠনের অভিপ্রায়ে।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে তিন জোটের রূপরেখাকে উপেক্ষা করে। একের পর এক সরকার ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু এতে জনগণের কোনো মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি। বিপরীতে দলীয় রাজনীতির অনুকম্পায় অবাধ লুণ্ঠন-নৈরাজ্য চলে।

মানুষের জীবন-জীবিকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এবং নিপীড়ন প্রবল হয়েছে। দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বেড়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিরোধী দল দেশে থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। দেশ দুর্নীতির শীর্ষে অবস্থান করছে, জনগণের গচ্ছিত টাকা ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। বৈদেশিক মুদ্রার বেসুমার পাচারের ফলে রিজার্ভ ঘাটতিতে দেশের অর্থনীতি নাকাল হয়ে পড়েছে। ব্যাংক এলসি বন্ধ রেখেছে। ফলে আমদানিনির্ভর দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য অকল্পনীয় বৃদ্ধি পেয়ে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতিতে দেশ এখন অতীতের সব আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি ম্লান হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সমাজ মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য, তা নরকে পরিণত হয়েছে। এ দেশের বুর্জোয়া তথাকথিত জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল দেশবিরোধী, গণবিরোধী। রাষ্ট্রের চরিত্র বদলের জন্য তারা কিছুই করেনি। মৌলবাদের অন্ধকার থেকে, সাম্প্রদায়িকতার ছোবল থেকে, লুটেরা পুঁজির দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের। ক্ষমতা লাভে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাসীন দলের সর্বক্ষেত্রে লুণ্ঠনের সুযোগ ঘটে আর ক্ষতি হয় দুর্বল শ্রেণির। ক্ষমতাসীনরা একচেটিয়া লুণ্ঠন করে। গণমাধ্যমকেও একচেটিয়াভাবে ভোগ করে চলে। ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা ব্যবহার করে দখল, লুণ্ঠন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য। দেশি-বিদেশি সুযোগ তারা কুক্ষিগত করে, জনগণকে বঞ্চিত করে।

বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্র নয়, মুসলিম রাষ্ট্রও নয়। এখানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রয়েছে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের জাতীয়তাবাদী বলে বড়াই করে, অথচ ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কোনো স্বীকৃতি দিতে চায় না। সচেতন আদর্শবাদী মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সব জাতিসত্তার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। ঘরে-বাইরে নৃশংসতা ও ভোগবাদীতা প্রবল হচ্ছে। সমাজ রূপান্তরের জন্য সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী স্থানীয় ও জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

রাষ্ট্র ও রাজনীতির মাধ্যমেই সমাজ বদলাতে হবে। রাজনীতিকদের দুর্বলতা ও ব্যর্থতার কারণে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসে, সামরিক আমলারা ক্ষমতা গ্রহণ করেন। অথচ আর্মি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, আমলারাও কোনো রাজনৈতিক দল নন। জাতীয় উন্নয়নে রাষ্ট্রকেই উপায় বের করতে হবে। জনগুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও স্থানীয় ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করা দরকার, অথচ বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলো তা করে না। স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাস দমন, দুর্বল ও সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা বৃদ্ধি, যুব উন্নয়নে পাঠাগার স্থাপন, প্রশিক্ষণ দান ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, দুর্যোগে-বিপদে সাহায্য-সহযোগিতা করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেই, শ্রমিকের কর্মসংস্থান নেই, বরং চালু কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাকাল অসহায় মানুষ। মানুষের জীবিকার নিশ্চয়তা নেই। খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, নিপীড়ন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে মব ভায়োলেন্স। জনগণের অর্থ ব্যাংক থেকে লোপাট হলেও কারো যেন কিছু করার নেই। আবারও গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা চলছে। মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এসব বিষয় এবং দুর্নীতিসহ প্রভৃতি জাতীয় পর্যায়ের প্রধান ইস্যু এখন। এসব জাতীয় ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের বিকল্প কিছু নেই।

আন্দোলনের মাধ্যমে শক্তি বৃদ্ধি করা যায়। সব পর্যায়ে আন্দোলন প্রয়োজন। গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সংস্কৃতিকর্মী ও ছাত্ররা কাজ করবেন। এ ব্যাপারে আবৃত্তি, নাটক, গান, পাঠচক্র, আলোচনাসভা করা প্রয়োজন। নেতৃত্ব ওপর থেকে আসবে না, স্থানীয় পর্যায়ে থেকে তা গঠন করতে হবে। ছাত্র ও সংস্কৃতিকর্মীকে আমরা গুরুত্ব দেব, শ্রেণিচ্যুতরা গরিবদের পাশে দাঁড়াতে পারে, কিন্তু আদর্শচ্যুতরা তা পারবে না। স্থানীয়, জাতীয় পর্যায়ে পেশাগতদের আন্দোলনে দরকার। স্থানীয় সরকার গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু করা দরকার স্থানীয় সরকারকে। সিভিল সোসাইটিকে আমি তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না। তারা নিজেদের অরাজনৈতিক বলে ঘোষণা দেয়, কিন্তু কাজটি করে রাজনৈতিক। সিভিল সোসাইটি নতুন ধারণা, এটি আগে ছিল না। তারা দারিদ্র্য বিমোচনের কথা বলে, অথচ রাষ্ট্রের দায়িত্ব দারিদ্র্য বিমোচন করা, শিক্ষা বিস্তার করা। শিক্ষা দিয়ে কী হবে, যদি শিক্ষিতদের কর্মসংস্থান করা না যায়? এনজিও বিস্তৃত হচ্ছে সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্বলতার কারণে। দাতারা সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলো দিয়ে কাজ করায়। সরকারের কাছ থেকে ভালো কাজ না পেয়ে দাতারা এনজিওগুলোকে টাকা দেয়, নানামুখী তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। সরকারের সমান্তরাল এনজিওর প্রতিনিধিদের বিদেশভ্রমণ করানো, তাদের প্রশংসা করা, পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের মতো এনজিওর এত তৎপরতা নেই। সেখানে আছে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। এনজিওর কর্মকর্তাদের জীবনের সঙ্গে গরিবদের জীবনের কোনো মিল নেই। সরকারি আমলার সমান্তরালে তাই এনজিও প্রতিনিধিদের দাঁড় করানো হয়েছে। সিভিল সোসাইটির লোকেরা এনজিওর প্রতিনিধি, তারা রাজনীতিক নন।

এত দিন চালু ছিল আধুনিকতা মানে পাশ্চাত্যকরণ। আধুনিকতা মানেই আমেরিকানায়ন, ইউরোপীয় ভাবধারায় চালিত হওয়া। এই ধারণায় অতি দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে, মোহ ভেঙে গেছে। এখন আধুনিকতা বলতে আমেরিকান আধুনিকতাকে বোঝায় না। কারণ আমেরিকান আধুনিকতার মধ্যে যে একটি বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা আছে, সেটি লক্ষণীয়। আধুনিকতার প্রয়োজনে এখন দরকার সাম্রাজ্যবাদবিরোধিতা, মাতৃভাষার চর্চা, নিজস্ব সংস্কৃতিকে বিকশিত করা। আরেকটি দার্শনিক মতবাদ হলো উত্তরাধুনিকতাবাদ। এটির মোহ এ দেশের তরুণসমাজ কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। উত্তরাধুনিকতার প্রবণতা হলো খণ্ডবিখণ্ডতা, বিচ্ছিন্নতা। এটি পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান, নারী-পুরুষ, ট্রেড ইউনিয়ন প্রভৃতির মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিচ্ছিন্নতার ধারণা ও তৎপরতাকে উসকে দিয়েছে। উত্তরাধুনিকতাবাদ বিশ্বায়ন ও সাম্রাজ্যবাদের দর্শন। বিশ্বায়ন মানেই আধিপত্য; সে আন্তর্জাতিকতাবাদের বিরোধী। আন্তর্জাতিকতাবাদে বহুজাতি ও বহুভাষার অস্তিত্ব আছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নানা ভাষার অনুমোদন আছে। আমেরিকার নেতৃত্বে যে বিশ্বায়ন সৃষ্টি হয়েছে, তার আধিপত্যবাদী হাতিয়ার হচ্ছে ইংরেজি ভাষা। সব রকমের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এই ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ভাষার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা হচ্ছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে মাতৃভাষার গুরুত্ব বেড়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্ব চাই, কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী, পুঁজিবাদী ও আধিপত্যবাদী বিশ্ব চাই না। আমরা এমন গণতান্ত্রিক বিশ্ব চাই, যেখানে সম-অধিকার ও সহমর্মিতা হবে সম্পর্কের ভিত্তি। রাষ্ট্রের অধীনে নাগরিকদের অধিকার সংহত থাকবে।

সাম্রাজ্যবাদ আকাশে থাকে না। তাদের প্রতিনিধিরাই দেশ শাসন করেন। সাম্রাজ্যবাদ আধিপত্য বিস্তার করছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রভু হয়ে। সাম্রাজ্যবাদ তথাকথিত বিশ্বায়নের রূপ নিয়ে সমস্ত সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য বিলুপ্ত করে দিয়ে পদানত করতে চায় সারা বিশ্বকে। পৃথিবী এখন সাম্রাজ্যবাদ আর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী এই দুই ভাগে বিভক্ত। বাংলাদেশে যারা উদারনীতির চর্চা করেছেন এবং যারা ভেবেছেন উদারনীতির মাধ্যমে একটি ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন আসবে, আজ তারাও বুঝতে পেরেছেন সাম্রাজ্যবাদ কত নৃশংস ও আক্রমণাত্মক হতে পারে। আমাদের মাটির নিচে যে সামান্য প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, যে তেল ও গ্যাস আছে, সাম্রাজ্যবাদের চোখ পড়েছে সেখানেও। তারা তা দখল করে নিতে পারে যে কোনো সময়ে। আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই তাদের কাছে। এই উপলব্ধিটি সর্বজনীন হয়েছে। জাতিসংঘ একটি অকার্যকর-ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান। তারা মার্কিনদের সব হামলা-আগ্রাসনের বৈধতা দিয়ে এসেছে। কিন্তু আমাদের দাঁড়াতে হবে বড় শক্তি সেই সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। আমাদের স্থানীয়ভাবে কাজ করতে হবে, ক্ষুদ্র আন্দোলন করতে হবে মুক্তির জন্য। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বড় আন্দোলন প্রয়োজন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। গণমুক্তির লক্ষ্যে এই উপলব্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। নয়তো আমাদের সমষ্টিগত মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তি নিশ্চিত হবে না।

লেখক: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

news24bd.tv/কেএইচআর

 

 

 
Android appIos app
মত-ভিন্নমত

লুটপাটের এই সংস্কৃতি আমাদের নয়

অদিতি করিম
লুটপাটের এই সংস্কৃতি আমাদের নয়
অদিতি করিম

গাজা এখন জ্বলছে। সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে গাজায় চলছে নারকীয় গণহত্যা, তাণ্ডব। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের এক নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে ইসরায়েলি বর্বরতায়। গাজায় এই গণহত্যার প্রতিবাদ হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সারা বিশ্বেই শান্তিকামী মানুষ এই গণহত্যা বন্ধ, যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। সারা বিশ্বে ৭ এপ্রিল পালিত হয়েছে নো ওয়ার্ক, নো স্কুল কর্মসূচি। গাজার গণহত্যার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশও। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার বন্ধ ছিল। দেশজুড়ে হয়েছে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ। কিন্তু এই প্রতিবাদ মিছিল এবং বিক্ষোভে কিছু সুযোগসন্ধানী বিভিন্ন স্থানে দোকানপাটে হামলা করেছে, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছে। একটা ভালো কাজ কীভাবে কিছু খারাপ...

মত-ভিন্নমত

শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া

অদিতি করিম
শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া
ফাইল ছবি

রাজনীতিতে এখন প্রতিহিংসা, আক্রমণ, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অসহিষ্ণু প্রবণতা বেড়েছে ভীষণ। পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ যেন লোপ পেয়েছে। রাজনীতির মাঠে এখন কুৎসিত নোংরামী এবং কাদাছোড়াছুড়ির জয়জয়কার। সহনশীলতা শব্দটি যেন আজ বিলুপ্ত। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা, এমনকি প্রয়াত ব্যক্তিদের অসম্মান করার একটা রীতি আতঙ্কজনকভাবে বেড়ে গেছে। কিন্তু এটি প্রকৃত রাজনীতি না। এটা রাজনীতির শিক্ষাও নয়। রাজনীতি হলো রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশল। রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা সমাজের আদর্শ। তাঁরা সমাজকে পথ দেখান। একটি রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে তার পথনির্দেশ নির্মাণ করেন। কাজেই রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে দেশের জনগণ শিখবে এটাই সবার প্রত্যাশা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের রাজনীতি এখন যেন প্রতিহিংসার প্রতিযোগিতা, ভিন্নমতকে খতম করাই যেন আজকের রাজনীতির...

মত-ভিন্নমত

জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অব.)
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, রাষ্ট্রের একটি প্রধান নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে, শুধুমাত্র একটি সামরিক প্রতিষ্ঠান নয় বরং জাতীয় অস্তিত্বের এক অপরিহার্য প্রতীক। এর মূল চেতনা বাংলাদেশের নিজস্ব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গঠিতএকটি চেতনা যা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাণ পেয়েছিল। এই সশস্ত্র বাহিনী আত্মপ্রত্যয়ী, গণমুখী এবং সর্বোপরি একটি জাতীয় চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিষ্ঠান, যা দেশপ্রেম, ত্যাগ ও কর্তব্যবোধকে শ্রেষ্ঠ আদর্শ হিসেবে ধারণ করে আসছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শিকড় মূলত গাঁথা জাতীয়তাবাদী চেতনার মাটিতে। ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, সশস্ত্র বাহিনীর আত্মপ্রকাশ একটি স্বাধীন জাতিসত্তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংগ্রামের অংশ ছিল। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে শহীদ জিয়াউর রহমানের...

মত-ভিন্নমত

জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ডেস্ক
জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!
ফাইল ছবি

আমার আজকের নিবন্ধটি মূলত তাদের জন্য, যারা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে একদম দুচোখে দেখতে পারেন না। জিয়ার নাম শুনলে যাদের গা-জ্বালা করে অথবা যাদের শরীর-মনে প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা এবং ঈর্ষার দাবানল দাউ দাউ করে জ্বলে তারাও আজকের নিবন্ধ থেকে কিছুটা শান্তির পরশ পেলেও পেতে পারেন। যারা চান বাংলাদেশের মাটিতে জিয়াউর রহমান নামে যে কেউ ছিল সেই ইতিহাস মুছে ফেলতে অথবা জিয়াকে মানুষের মনমননশীলতা এবং চিন্তা থেকে চিরতরে বিদায় করে দেওয়ার জন্য, যারা নিরন্তর উল্টাপাল্টা চেষ্টা-তদবির চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তারা ইচ্ছা করলে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মপদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছালেও পৌঁছাতে পারেন। জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য আপনি মহামতি আলেকজান্ডারকে অনুসরণ করতে পারেন- যিনি তাঁর জাদুকরী প্রতিভা দ্বারা হাজার...

সর্বশেষ

মার্টিনেজকে সামনে পেয়ে বিশ্বকাপের প্রতিশোধ নিতে চান ফরাসি তারকা

খেলাধুলা

মার্টিনেজকে সামনে পেয়ে বিশ্বকাপের প্রতিশোধ নিতে চান ফরাসি তারকা
এসএসসি পরীক্ষার্থী বর ও দশম শ্রেণির কনে, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ

সারাদেশ

এসএসসি পরীক্ষার্থী বর ও দশম শ্রেণির কনে, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ
ভারত থেকে এল নীলগাই

সারাদেশ

ভারত থেকে এল নীলগাই
সৌদিতে মিললো আরও ১৪টি তেল ও গ্যাসের খনি

আন্তর্জাতিক

সৌদিতে মিললো আরও ১৪টি তেল ও গ্যাসের খনি
মার্চে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ২৩, বেশিরভাগই বিএনপির

জাতীয়

মার্চে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ২৩, বেশিরভাগই বিএনপির
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

জাতীয়

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
জার্মানিতে নতুন জোট গঠন, চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন ফ্রেডরিখ মেৎস

আন্তর্জাতিক

জার্মানিতে নতুন জোট গঠন, চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন ফ্রেডরিখ মেৎস
শাইনপুকুরের দুই ব্যাটারের সন্দেহজনক আউট!

খেলাধুলা

শাইনপুকুরের দুই ব্যাটারের সন্দেহজনক আউট!
বাংলাদেশি স্টার্টআপ শপআপ ১১০ মিলিয়ন অর্থায়ন সংগ্রহ করেছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বাংলাদেশি স্টার্টআপ শপআপ ১১০ মিলিয়ন অর্থায়ন সংগ্রহ করেছে
আরও জনশক্তি নিতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান

জাতীয়

আরও জনশক্তি নিতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
বৃহস্পতিবার তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয়

বৃহস্পতিবার তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল নিয়ে যা বলল ভারত

জাতীয়

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল নিয়ে যা বলল ভারত
ভাসমান হাসপাতালে সেবা মিলবে চরবাসীর

সারাদেশ

ভাসমান হাসপাতালে সেবা মিলবে চরবাসীর
দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও নারীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আইন-বিচার

দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও নারীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে যা জানালো পিএসসি

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে যা জানালো পিএসসি
প্রেম করে বিয়ে, তবুও একই রশিতে ঝুলছিলেন ওরা!

জাতীয়

প্রেম করে বিয়ে, তবুও একই রশিতে ঝুলছিলেন ওরা!
ফের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি

আন্তর্জাতিক

ফের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি
তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলায় ছাত্রদল-যুবদল নেতা আটক

সারাদেশ

তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলায় ছাত্রদল-যুবদল নেতা আটক
ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বকে মাইজভান্ডারের বার্তা

রাজনীতি

ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বকে মাইজভান্ডারের বার্তা
বাংলাদেশের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন উমর গুল

খেলাধুলা

বাংলাদেশের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন উমর গুল
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় স্প্যানিশ পোশাক জায়ান্ট ইন্ডিটেক্স

জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় স্প্যানিশ পোশাক জায়ান্ট ইন্ডিটেক্স
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: উপদেষ্টা

অর্থ-বাণিজ্য

বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: উপদেষ্টা
কাঠগড়ায় চিৎকার করলেন হাজি সেলিম

আইন-বিচার

কাঠগড়ায় চিৎকার করলেন হাজি সেলিম
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন খলিলুর রহমান

জাতীয়

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন খলিলুর রহমান
নারায়ণগঞ্জে ব্যাংকের বুথের নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন

সারাদেশ

নারায়ণগঞ্জে ব্যাংকের বুথের নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন
‘খুনের পর গুম’ হয়েছিল এই যুবক!

সারাদেশ

‘খুনের পর গুম’ হয়েছিল এই যুবক!
স্মার্টফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারে যেসব ঝুঁকি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

স্মার্টফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারে যেসব ঝুঁকি
অপরাধ গোপন রেখে ম্যাক্সওয়েলকে জরিমানা

খেলাধুলা

অপরাধ গোপন রেখে ম্যাক্সওয়েলকে জরিমানা
১২ এপ্রিল 'মার্চ ফর গাজা'র জমায়েতের স্থান পরিবর্তন

সোশ্যাল মিডিয়া

১২ এপ্রিল 'মার্চ ফর গাজা'র জমায়েতের স্থান পরিবর্তন
চবিতে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ওশান স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন

চবিতে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ওশান স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন

সর্বাধিক পঠিত

শুয়ে-বসে থাকতে ইচ্ছে হয় যে দুই ভিটামিনের অভাবে

স্বাস্থ্য

শুয়ে-বসে থাকতে ইচ্ছে হয় যে দুই ভিটামিনের অভাবে
নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে নিহত ৬৬

আন্তর্জাতিক

নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে নিহত ৬৬
অবশেষে স্টারলিংক ইন্টারনেট যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

জাতীয়

অবশেষে স্টারলিংক ইন্টারনেট যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ
কমে যাওয়া স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর

অর্থ-বাণিজ্য

কমে যাওয়া স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
বৃষ্টি নিয়ে বড় সুখবর, ঝরতে পারে টানা ৫ দিন

জাতীয়

বৃষ্টি নিয়ে বড় সুখবর, ঝরতে পারে টানা ৫ দিন
শি জিনপিংয়ের পাল্টা ব্যবস্থায় চটেছেন ট্রাম্প, শুল্ক এক ধাক্কায় ১০৪ শতাংশ

আন্তর্জাতিক

শি জিনপিংয়ের পাল্টা ব্যবস্থায় চটেছেন ট্রাম্প, শুল্ক এক ধাক্কায় ১০৪ শতাংশ
রাতে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে যে ৫ অঞ্চলে

জাতীয়

রাতে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে যে ৫ অঞ্চলে
যে ভিটামিনের অভাবে খাবার মুখের সামনে নিলেই গন্ধ লাগে

স্বাস্থ্য

যে ভিটামিনের অভাবে খাবার মুখের সামনে নিলেই গন্ধ লাগে
রাতে সিলেটগামী স্লিপার কোচে হেনস্তার শিকার মেয়েটি

সারাদেশ

রাতে সিলেটগামী স্লিপার কোচে হেনস্তার শিকার মেয়েটি
কাল থেকে শুরু এসএসসি, মানতে হবে যে ১৪ নির্দেশনা

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন

কাল থেকে শুরু এসএসসি, মানতে হবে যে ১৪ নির্দেশনা
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পেছানোর অনুরোধ

জাতীয়

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পেছানোর অনুরোধ
গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতাকে ছেড়ে দিলেন ওসি, বিএনপির অসন্তোষ

সারাদেশ

গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতাকে ছেড়ে দিলেন ওসি, বিএনপির অসন্তোষ
ভাইরাল নবাব শেখের সেই চাকাওয়ালা খাট নিয়ে গেছে পুলিশ

আন্তর্জাতিক

ভাইরাল নবাব শেখের সেই চাকাওয়ালা খাট নিয়ে গেছে পুলিশ
যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেবে যে দেশ

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেবে যে দেশ
এক দুপুরে প্রফেসর ইউনূসের হঠাৎ ফোন

সোশ্যাল মিডিয়া

এক দুপুরে প্রফেসর ইউনূসের হঠাৎ ফোন
‘মুসলিম-মুসলিম বলা দলে নেই একজনও মুসলমান এমপি’

আন্তর্জাতিক

‘মুসলিম-মুসলিম বলা দলে নেই একজনও মুসলমান এমপি’
কার্টনবন্দি সেই নারীকে হত্যার কারণ জানালো পুলিশ

সারাদেশ

কার্টনবন্দি সেই নারীকে হত্যার কারণ জানালো পুলিশ
বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু আজ

জাতীয়

বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু আজ
চৈত্র সংক্রান্তিতে ছুটি ঘোষণায় সরকারকে পার্বত্য উপদেষ্টার অভিনন্দন

জাতীয়

চৈত্র সংক্রান্তিতে ছুটি ঘোষণায় সরকারকে পার্বত্য উপদেষ্টার অভিনন্দন
নাকের অ্যালার্জির কারণ ও করণীয়

স্বাস্থ্য

নাকের অ্যালার্জির কারণ ও করণীয়
আইবিএস এর কারণ

স্বাস্থ্য

আইবিএস এর কারণ
‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের পারিশ্রমিক কত?

বিনোদন

‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের পারিশ্রমিক কত?
বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত
নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক পরিবার-বংশ

আন্তর্জাতিক

নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক পরিবার-বংশ
সংস্কার সংক্ষিপ্ত চাইলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, দীর্ঘ হলে জুনে: প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয়

সংস্কার সংক্ষিপ্ত চাইলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, দীর্ঘ হলে জুনে: প্রধান উপদেষ্টা
১২ এপ্রিল 'মার্চ ফর গাজা'র জমায়েতের স্থান পরিবর্তন

সোশ্যাল মিডিয়া

১২ এপ্রিল 'মার্চ ফর গাজা'র জমায়েতের স্থান পরিবর্তন
ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে বিশ্ব ঐক্যের ডাক চীনের

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে বিশ্ব ঐক্যের ডাক চীনের
স্বামী-সন্তান রেখে প্রেমিককে বিয়ে, পাঁচ মাস পরে মিলল ঝুলন্ত মরদেহ

সারাদেশ

স্বামী-সন্তান রেখে প্রেমিককে বিয়ে, পাঁচ মাস পরে মিলল ঝুলন্ত মরদেহ
অপূর্বর রেকর্ড ভাঙলেন নিলয়

বিনোদন

অপূর্বর রেকর্ড ভাঙলেন নিলয়
পরিবর্তন নয়, নির্ধারিত সময়েই হবে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন

পরিবর্তন নয়, নির্ধারিত সময়েই হবে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা

সম্পর্কিত খবর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বাংলাদেশি স্টার্টআপ শপআপ ১১০ মিলিয়ন অর্থায়ন সংগ্রহ করেছে
বাংলাদেশি স্টার্টআপ শপআপ ১১০ মিলিয়ন অর্থায়ন সংগ্রহ করেছে

জাতীয়

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল নিয়ে যা বলল ভারত
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল নিয়ে যা বলল ভারত

অর্থ-বাণিজ্য

দু-এক বছরের মধ্যে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বিডা চেয়ারম্যান
দু-এক বছরের মধ্যে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বিডা চেয়ারম্যান

জাতীয়

ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব
ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত
বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত

অন্যান্য

শ্রমিক নিয়োগ সিন্ডিকেট পুনরায় সক্রিয় হচ্ছে, সতর্ক করলেন অ্যান্ডি হল
শ্রমিক নিয়োগ সিন্ডিকেট পুনরায় সক্রিয় হচ্ছে, সতর্ক করলেন অ্যান্ডি হল

জাতীয়

ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে: গভর্নর
ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে: গভর্নর

জাতীয়

বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পেলেন কিহাক সাং
বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পেলেন কিহাক সাং