স্বপ্ন আর ঘুম একটি অপরটির পরিপূরক। মানুষ ঘুমের ঘোরে বিভিন্ন স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন কখনও স্বস্তিদায়ক হয় আবার কখনও ভয়ংকর হয়ে থাকে। স্বপ্নে অনেকে বিয়েও দেখেন। জানতে চান, স্বপ্নে বিয়ে দেখলে কী হয়? রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সত্য স্বপ্ন নবুওয়াতের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ। যতক্ষণ পর্যন্ত তা কারও কাছে ব্যক্ত করা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। আর যখন কারও কাছে ব্যক্ত করে ফেলা হয় এবং শ্রোতা এর কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে দেয়, তখন সে ব্যাখ্যা অনুযায়ী তা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়ে যায়। কাজেই জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান ছাড়া অথবা অন্ততপক্ষে বন্ধু ও হিতাকাঙ্ক্ষী ছাড়া অন্য কারও কাছে স্বপ্নের বিষয় ব্যক্ত করো না। (তিরমিজি) স্বপ্ন সম্পর্কে কোরআনের বর্ণনা মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, وَ قَالَ الۡمَلِكُ اِنِّیۡۤ اَرٰی سَبۡعَ بَقَرٰتٍ سِمَانٍ یَّاۡكُلُهُنَّ سَبۡعٌ عِجَافٌ وَّ...
স্বপ্নে বিয়ে দেখা ভালো নাকি খারাপ, জানুন ইসলামিক ব্যাখা
অনলাইন ডেস্ক

সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মালিক হলেই কোরবানি ওয়াজিব
অনলাইন ডেস্ক

স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি স্বর্ণের মালিক হলেই তাকে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক বলে গণ্য করা হবে। আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার দামের সমপরিমাণ অর্থ বা এমন প্রয়োজনাতিরিক্ত জিনিস, যার দাম সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার দামের সমপরিমাণ বা বেশি হয়। কারও কাছে যদি স্বর্ণ বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা- এগুলোর কোনো একটি পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ না-ও থাকে, কিন্তু প্রয়োজনাতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার দামের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (আল-মুহীতুল বুরহানী : ৮/৪৫৫) যেমন- কারও কাছে দুই ভরি স্বর্ণ ও ৫০০ টাকা আছে, যার কোনো একটিও পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ নয়। কিন্তু দুই ভরি স্বর্ণের দাম ও ৫০০ টাকা একত্র করলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার দামের বেশি হয়ে যায়। তাই তিনি নিসাবের মালিক...
পরিশুদ্ধ হৃদয়ের প্রয়োজনীয়তা
মাইমুনা আক্তার

পরিশুদ্ধ হৃদয় বা ক্বলবে সালিম বলতে বোঝানো হয়, শিরক ও সন্দেহমুক্ত, বিদআত ও গুনাহমুক্ত, ঈমান, একনিষ্ঠতা, আল্লাহর ভালোবাসা, আস্থা ও ভয়ে পরিপূর্ণ হৃদয়। যা একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মুমিন হতে সাহায্য করে। সার্বক্ষণিত আল্লাহর রহমেত বেষ্টিত করে রাখে। ইহকাল ও পরকালীন মুক্তি ও সফলতার জন্য হৃদয়ের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কেননা নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, জেনে রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো ক্বলব হৃদয়। (মুসলিম, হাদিস: ৩৯৮৬) তাকওয়ার ভিত্তি হলো, হৃদয়। হৃদয় পরিশুদ্ধ হলে ও তাতে তাকওয়া থাকলে তা মানুষের কাজে-কর্মেও প্রকাশ পায়। সুতরাং বলা যায় যে তাকওয়াপূর্ণ পরিশুদ্ধ হৃদয় আল্লাহর প্রিয় হওয়ার মূল চাবিকাঠি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে...
মানুষের ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকার কারণ
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

মুমিনের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হলো, মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে তাঁর ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। যেহেতু আল্লাহ বলেছেন, আমি মানুষ ও জিন জাতিকে আমার উপাসনা করার জন্যই সৃষ্টি করেছি। (সুরা: জারিয়াত, আয়াত: ৫৬) আল্লাহ যেহেতু আমাদের তাঁর ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন, আমাদের উচিত তাঁর ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনকেই জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে নেওয়া। তাঁর প্রতিটি আদেশ-নিষেধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করা। তাঁর অফুরন্ত নিয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা, এবং তাঁর ওপর অগাধ বিশ্বাস স্থাপন করা। মুমিন যখন তার এই লক্ষ্য ভুলে গিয়ে নাফরমানি শুরু করে। আল্লাহর অগণিত নিয়ামত ভোগ করেও তার ওপর আস্থা রাখতে পারে না, তখনই তার ওপর নেমে আসে ব্যর্থতার আজাব। কিছু লোক সব পেয়েও ব্যর্থ হয়। মুক্ত বাতাসে থেকে ব্য্যর্থতার জিঞ্জিরে বন্দি হয়। যেমনটি হয়েছিল বনি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর