তাহলে এখন কী করা দরকার আমাদের? দরকার হলো গোটা ব্যবস্থাটাকে বদলানো। পুঁজিবাদী ব্যবস্থা যা দেওয়ার, তা এরই মধ্যে দিয়ে ফেলেছে, এর পরে সে আর কিছু দিতে পারবে না, ধ্বংস ছাড়া। যাকে আমরা আধুনিক যুগ বলে জানি, সেটি একদিন বের হয়ে এসেছিল সামন্তবাদের অন্ধকার ছিন্ন করে। নতুন যুগের কারিগরদের একজন ছিলেন ফ্রান্সিস বেকন। তিনি ছিলেন বিজ্ঞানচর্চায় নিবেদিতপ্রাণ, তাঁর মৃত্যু ঘটে বৈজ্ঞানিক এক অনুসন্ধান পরিচালনা করতে গিয়ে। বরফের সংরক্ষণশীলতা বিষয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হন এবং সেই অসুখেই তাঁর মৃত্যু হয়। ফ্রান্সিস বেকন ছিলেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ বিচারক এবং ওই পদে থাকাকালেই কিন্তু তিনি উৎকোচ গ্রহণ করেছিলেন। অপরাধটি ধরা পড়ে এবং তিনি শাস্তি পর্যন্ত পান। শুধু তা-ই নয়, তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে ওই শাস্তি তাঁর প্রাপ্য ছিল। যাকে...
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
সুলতান মাহামুদ রেজা

ভারতের কিংবদন্তি শিল্পোদ্যোক্তা প্রয়াত রতন টাটা। তিনি অন্তর্মুখী একজন মানুষ। নীরবে ভারতের অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে রতন টাটাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, একটি দেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কখন? উত্তরে রতন টাটা বলেছিলেন, যখন শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করা হয়, তাদের ভিতর আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তারা যখন উৎপাদন থেকে সরে যান, তখন একটি দেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশের স্বপ্নগুলো বিলীন হয়ে যায়। ভারতের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির সমালোচনা করতে গিয়ে রতন টাটা এ মন্তব্য করেন। আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা দেখে রতন টাটার সেই বিখ্যাত উক্তিটি আবার মনে করা হলো। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে যেন ধ্বংসের এক উন্মুক্ত খেলা চলছে। ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তাদের হাত-পা বেঁধে বলা হচ্ছে সাঁতার কাটতে। আতঙ্ক ছড়িয়ে শিল্প-কলকারখানা বন্ধের যেন রীতিমতো...
বাবা ভাণ্ডারী! লাইন ছাড়া চলে না রেলগাড়ি!
গোলাম মাওলা রনি

আজকের নিবন্ধনে রাজনীতি নিয়ে লিখব। ২০০৯ সাল থেকেই নিয়মিত লিখছি- বিশেষ করে ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল অবধি যা কিছু লিখেছি তা মুঘল হেরেমের দুনিয়া কাঁপানো প্রেম- আরব্য রজনীর মহানায়ক কিংবা এমপির কারাদহনসহ নিয়মিত সাপ্তাহিক উপসম্পাদকীয়- সবকিছুতেই রাজনীতির ঘোল মেশানোর চেষ্টা করেছি। লিখতে গিয়ে কোনো দিন কলম কাঁপেনি- বুক ধড়ফড় করেনি। সাবেক সরকারের মন্ত্রী-এমপি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে নিষ্ঠুর সমালোচনা করেছি। কিন্তু কেউ কোনো দিন একটি উহ্ শব্দও করেনি- ফোনে কোনো হুমকি আসেনি। উল্টো লেখক হিসেবে বিভিন্ন মহল থেকে যে সম্মান-মর্যাদা পেয়েছি, যার কারণে রাজনীতি করা অথবা এমপি-মন্ত্রীর পদ লাভের চেয়ে আমার লেখকসত্তার স্বাধীনতা এবং কথা বলার অবাধ অধিক্ষেত্রকে অধিক মর্যাদাপূর্ণ মনে হয়েছে। অতীতের মতো আজকের যুগেও আমি লিখে যাচ্ছি এবং সমানতালে বলে যাচ্ছি।...
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। এখন মুক্তবাজার অর্থনীতির সময়। দেশের শিল্প খাত ক্রমাগত তীব্র প্রতিযোগিতার দিকেই যাচ্ছে, যা দেশের জন্য চরম সংকটের কারণ হচ্ছে। এই খাতে বিনিয়োগে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। চাইলেও বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছে না। ফলে কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর বেসরকারি খাত হচ্ছে কর্মসংস্থানের মূল চালিকাশক্তি। কর্মসংস্থান না হলে বেকারের সংখ্যা বাড়বে। বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া মানে জীবনমান নিম্নগামী হওয়া। মানুষের আয়-উন্নতি ব্যাহত হোকএই পরিস্থিতি কাম্য নয়। অন্যদিকে শিল্পপণ্যের উৎপাদন বাড়ানো উচিত। মানুষের আয় কিন্তু সীমাবদ্ধ। ফলে মানুষের ভোগব্যয় কমবে। সরকারের রাজস্ব আহরণ নিয়ন্ত্রিত হবে এবং সরকার বাজেট ঘাটতির সম্মুখীন হবে। বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার ঋণ নেবে। ঋণ নিলে মুদ্রাস্ফীতি হবে। মুদ্রাস্ফীতি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর