দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই-চাঁদাবাজি চলছেই। আবার খুনখারাবি তো আছেই। দেশের ব্যবসায়ী সমাজ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া সাধারণত মানুষও অশান্তিতে আছে। এমন অবস্থায় আইন-শঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মাঠে না থাকলে অবস্থা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করত। সেনাবাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ অন্যান্য সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে সম্পৃক্ত আছে। দেশের সর্বত্রই সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েক হাজার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে (গত ১৭ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে কনেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশিত দায়িত্বই পালন করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। রাজধানীসহ দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে অবরোধ থাকলে...
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম

হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
ড. তাসনিম সিদ্দিকী

শ্রমবাজার চালু করার পেছনে আবারও সেই পুরনো চক্র ক্রিয়াশীল। আবারও যারা সিন্ডিকেট করেছিল তারাই অন্য আবরণে সিন্ডিকেট করতে চাচ্ছে। এরা আমাদের সরকারের ওপর প্রেসার ক্রিয়েট করছে। সরকার ভাবছে যে, আমাদের লোক যাচ্ছে না। লোক যাওয়া কমে যাচ্ছে। সুতরাং আমাদের তো পাঠাতে হবে। দুনুমনু করছে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠাবে কি না। সেই জায়গাটাকেই সুধীসমাজের পক্ষ থেকে আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলেছি, কোনো অবস্থাতেই এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানো উচিত হবে না। কারণ এই কর্মীগুলো সেখানে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কাজ পাচ্ছেন না ও রাস্তাঘাটে পড়ে থাকছেন। সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে তাঁরা এই অবস্থার মধ্যে পড়ছেন। এই অবস্থাটাই আমরা কোনো অবস্থাতেই আবার চালু করতে চাই না। যতই বলা হোক এবার তারা ভালো ব্যবহার করবে। আজকে ৪০ থেকে ৫০ বছরে কেউ যদি ভালো ব্যবহার না করে থাকে, এখন হঠাৎ করে...
যুব সমাজকে পরিচর্যার মাধ্যমে উন্নয়নের মডেল হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া

যুবসমাজকে দক্ষ, কর্মক্ষম ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুধু একটি জেলা নয়পুরো দেশের অর্থনীতিতে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এমনটাই মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী কবীর আহমেদ ভূঁইয়া। তার ভাষায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের সম্ভাবনার মূলভিত্তি এখানকার কর্মক্ষম যুবসমাজ। সঠিক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেওয়া গেলে তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। সমন্বিত যুব উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রধান স্তম্ভসমূহ: ১. ডিজিটাল স্কিল ট্রেনিং সেন্টার ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ কেন্দ্রগুলো বাস্তবায়নে সরকার-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (PPP)...
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান

চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা প্রবহমান। বিশেষ করে এ ভূখণ্ডে আগামীর জাতিসত্তা বিনির্মাণে কেমন রাজনীতি প্রয়োজন কিংবা রাজনীতিবিদদের মধ্যে কোন আঙ্গিকের সংস্কার প্রয়োজন সেটি নিয়ে বেশ যুক্তি-পাল্টা যুক্তি চোখে পড়ছে। একজন জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিষয়টি আমাকেও ভাবিয়েছে। আমি মনে করি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর বাংলাদেশকে তার শিকড়ে ফিরে আসতে হবে। জাতি-ধর্ম, গোত্র-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের জন্য জাতীয় পরিচয় নির্ধারণ করার এখনই সময়। আমাদের মন ও মগজে নেশন ফার্স্ট- এ চেতনার প্রবেশ এবং তার সংরক্ষণ যত দিন না সঠিকভাবে করানো যাবে তত দিন আমরা একটি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারব না। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান সেই চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছে। এখন সেটি পরিচর্যা করে ছড়িয়ে দেওয়ার সময়। আর এ জন্য...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর