যমুনার সঙ্গে বাড়ছে চলনবিল-করতোয়া-ইছামতি-বড়ালের পানি

যমুনার সঙ্গে বাড়ছে চলনবিল-করতোয়া-ইছামতি-বড়ালের পানি

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সকালে যমুনার পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর সাথে আভ্যন্তরীণ চলনবিলসহ করতোয়া, ইছামতি, বড়াল, ফুলঝোড় ও হুড়াসাগর নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এতে জেলার ৫টি উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নের কয়েকশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বসতভিটা ও ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় চরম বিপাকে পড়েছে পানিবন্দী মানুষেরা। অনেকে পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

ইতোমধ্যে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তাঁত কারখানা তলিয়ে যাওয়ায় তাঁত সরঞ্জামাদির ক্ষতিসহ শ্রমিকদের কাজ না থাকায় অর্থ সংকটে পড়েছে।

ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। স্কুল-মাদ্রাসায় পানি ওঠায় ক্লাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। ঘাস ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।  

এছাড়াও পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অঞ্চল এনায়েতপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুরে প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বসতভিটা। ভাঙনের কারণে বসতভিটা সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গনের হুমকিতে থাকা মানুষগুলো আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। সব মিলিয়ে বন্যার সংকট শুরু হয়েছে।

এ অবস্থায় বন্যা কবলিতরা সরকারি-বেসরকারি সহায়তা কামনা করেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, তিন উপজেলার প্রায় ১৬৫৭টি পরিবার পানিবন্দী হওয়ার তথ্য রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭৪০টন জি.আর চাল, ১৭ লাখ নগদ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, গো-খাদ্যের জন্য ৫ লাখ ও শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় পানিবন্দীদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা পেলে বরাদ্দ বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী রনজিত কুমার জানান, ৫ সেপ্টেরম্বর পর্যন্ত পানি বাড়বে। তবে বড় বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।

news24bd.tvতৌহিদ