রমজান মাসের রোজা রাখা শুরু ও শেষ করার সঙ্গে চাঁদ দেখা ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। কারণ চাঁদ দেখার পরই রমজান মাস শুরু হয়। আর ঈদের চাঁদ দেখার পরই রমজানের রোজা শেষ হয়। আর মেঘের কারণে চাঁদ দেখা না গেলে হিসাব পূর্ণ করতে বলা হয়েছে অর্থাৎ ৩০ দিন পূর্ণ করা হবে। আরও পড়ুন বাংলাদেশে ঈদ কবে, এখন পর্যন্ত যা জানা গেল ২৯ মার্চ, ২০২৫ হাদিস শরিফে এসেছে- عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ : لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ ، وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ . আবদুল্লাহ বিন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা রোজা রাখবে না, যতক্ষণ তোমরা নতুন চাঁদ দেখবে না। এবং তোমরা ইফতার করবে না, যতক্ষণ না তোমরা তা দেখবে। আর তোমাদের কাছে তা অস্পষ্ট হলে তোমার পরিপূর্ণ গণনা করবে। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৬)...
ঈদের চাঁদ দেখা না গেলে মহানবী (সা.) যা করতে বলেছেন
অনলাইন ডেস্ক

তারাবিতে কোরআনের বার্তা: পর্ব-২৮
অনলাইন ডেস্ক

সুরা সাফ্ফ এ সুরার মূল আলোচ্য বিষয় যুদ্ধ ও আল্লাহর দুশমনদের সঙ্গে যুদ্ধ, আল্লাহর পথে প্রাণ বিসর্জন, মুজাহিদদের সওয়াব বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও শরিয়তের কিছু বিধান বর্ণিত হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. কথা ও কাজে মিল রেখো। (আয়াত : ২) ২. আল্লাহর পথে সংগ্রাম করো। (আয়াত : ৪) ৩. দ্বিনের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান কোরো না। (আয়াত : ৭) ৪. দ্বিনি কাজে সাহায্য করো। (আয়াত : ১৪) সুরা জুমা এই সুরায় জুমার নামাজের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহর পবিত্রতা ও নিরঙ্কুশ মাহাত্ম্য বর্ণনা করে এ সুরা শুরু হয়েছে। এরপর রাসুল (সা.) এর বিভিন্ন গুণাগুণ আলোচনা করা হয়েছে। ইহুদিদের তাওরাতের বিধি-বিধান ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে এসেছে। জুমার নামাজ আদায়ে উত্সাহ ও তাগিদ দিয়ে সুরা শেষ করা হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. শিক্ষা নবীদের অন্যতম মিশন। (আয়াত : ২) ২. আসমানি শিক্ষার মর্ম অনুধাবন করো। (আয়াত : ৫) ৩....
রামাদানের শেষ মুহূর্ত, ফিরে আসার এক সুবর্ণ সুযোগ
আইয়ূব হুসাইন

রামাদান বিদায়ের পথে, সময়ের চাকা দ্রুত ঘুরে চলছে। কিন্তু এখনো আপনার জন্য দুয়ার খোলা। হয়তো আপনি এখনো গভীরভাবে রামাদানের মাহাত্ম্য অনুভব করতে পারেননি, ইবাদতে একাগ্রতা খুঁজে পাননি, অন্তরে প্রশান্তির পরশ লাগেনি। চারপাশে মানুষ ইবাদতে মশগুল, কেউ কোরআন তিলাওয়াতে রত, কেউ লাইলাতুল কদরের সন্ধানে রাত্রি জাগরণে মগ্ন। অথচ আপনার হৃদয় যেন শূন্য, আবেগহীন, কাঠিন্যে মোড়ানো!তবে সুখবর হলোআল্লাহর রহমত এতটাই বিশাল যে, তিনি মুহূর্তের মধ্যে আপনার অবস্থান বদলে দিতে পারেন। তিনি বলেন, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সুরা আজ-জুমার, আয়াত : ৫৩) এই আয়াত কি যথেষ্ট নয় আমাদের জন্যযেখানে মহান রব নিজেই ডাকছেন, তোমরা নিরাশ হয়ো না! তাহলে আমরা কেন তার রহমত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব?...
রমজান উদযাপনে মুসলিম-বাঙালি সংস্কৃতি
আহমাদ আরিফুল ইসলাম

রমজান মাস বাঙালি মুসলিম সমাজের জন্য এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক ও সামাজিক উত্সবের সময়। এই মাসে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সামাজিক বন্ধন, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য মেলবন্ধন ঘটে। রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক বিশেষ আবেগ ও উদ্দীপনায় ভরপুর। সেহরি ও ইফতারের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে তারাবি নামাজ, দান-খয়রাত, সামাজিক সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সব মিলিয়ে রমজান মাস বাঙালি মুসলিম সমাজের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বাঙালি মুসলিম সমাজে রমজান মাসের আগমনকে স্বাগত জানানো হয় বিশেষ উত্সাহ ও উদ্দীপনার সাথে। এই মাসে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী রীতি ও আচার পালন করা হয়, যা বাঙালিয়ানা সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি রমজান মাস আসার আগেই বাংলাদেশের ঘরে ঘরে শুরু হয় প্রস্তুতি। বিশেষভাবে শাবান মাসে বেশি বেশি ইবাদত, দোয়া এবং নফল রোজা রাখার চল...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর