সন্তানের প্রতিপালন মা-বাবার দায়িত্ব। তারাই সন্তানকে আগামী দিনের গড়ে তোলেন। শিশুর প্রতিপালনের দুটি দিক : এক. বাহ্যিক প্রতিপালন। যেমন শিশুর খাবার ও চিকিত্সার ব্যবস্থা করা, দুই. তার মনস্তত্ব গঠন। ইসলাম শিশুর বাহ্যিক ও মানসিক উভয় প্রকার গঠন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। মা-বাবা যেমন শিশুর খাবার, পোশাক, স্বাস্থ্য-চিকিত্সার মতো বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখবে, তেমনি তারা ঈমান, আখলাক ও চিন্তা-ভাবনাগুলোর প্রতিও লক্ষ্য রাখবে। সৃষ্টিগতভাবেই সন্তানের প্রতি মা-বাবা অত্যন্ত স্নেহশীল। আল্লাহ মা-বাবার ভেতর এমন মমত্ব ও ভালোবাসা তৈরি করে দেন যে, তারা শিশুর সর্বপ্রকার ভালো-মন্দের খেয়াল রাখে। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সব প্রয়োজন পূরণ করে। তবে মা-বাবাকে তখনই দায়িত্বশীল বলা যাবে, যখন তারা সন্তানের দৈহিক গঠনের মতো, মানসিক গঠনকেও গুরুত্ব দেবে এবং তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করবে...
শিশুর মানসিক গঠনে করণীয়
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

কোরআন ও হাদিসে চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক নির্দেশনা
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

পবিত্র কোরআনে পৃথিবী, নভোমণ্ডল, দিন রাতের বিবর্তন, মহাশূন্য, প্রাণী ও উদ্ভিদ জগৎ, মানবদেহ ইত্যাদি সম্পর্কে বহুবার চিন্তাশীল লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানের নতুন কোনো আবিষ্কার কোরআনের কোনো বক্তব্য ভুল প্রমাণ করতে পারেনি। অনেক পণ্ডিত এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। প্রসঙ্গত ফরাসি বিজ্ঞানী ড. মরিস বুকাইলির বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান গ্রন্থটির কথা বলা যায়। জার্মান গবেষক ড. কার্ল অপিটযাই তাঁর সুবিখ্যাত Die Medizin in Koran গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে কোরআনের ১১৪ সুরার মধ্যে ৯৭ সুরার ৩৫৫ আয়াত চিকিত্সা বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট। তিনি এ সকল আয়াত নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন। আয়াতসমূহকে তিনি ৩ ভাগে বিভক্ত করেছেন। তা হলো ১. চিকিত্সা শাস্ত্র বিষয়ের আয়াত এতে আছে ক. সৃষ্টি, ভ্রূণ, গর্ভধারণ, গর্ভাবস্থা, শিশু পরিচর্যা, আয়তকাল ইত্যাদির আলোচনা খ. শরীর জ্ঞান (Anatomy), শরীরবৃত্ত (Physiology) : গ....
ফেরেশতা ও জিনদের নিয়ে জাহিলি আরবের বিশ্বাস
উম্মে আহমাদ ফারজানা

আরবের সবচেয়ে বিস্তৃত ধর্ম ছিল শিরক। শিরকের অর্থ এই যে ইলাহ হিসেবে এক সত্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য তাঁর সাহায্যকারী ও সহযোগী স্থির করা। অর্থ্যাৎ, আল্লাহর সঙ্গে অন্যদের শরিক করা। এমন আকিদা-বিশ্বাস ছিলো সংখ্যাগরিষ্ঠ আরবের। তারা সব ধরনের দেবতায় ও দেবীতে বিশ্বাসী ছিলো। মূর্তির সামনে সিজদাবনত হতো। জিন ও ফেরেশতাদের উদ্দেশ্যে পশু কুরবানি দিত। তবে এক মহান শক্তির প্রতিও তারা বিশ্বাসী ছিল। এই শত শত উপাস্যের ভিড়ে সেই পবিত্র অস্তিত্ব ছিল সমুজ্জ্বল, যার নাম দিয়েছিলো তারা আল্লাহ। তারা বিশ্বাস করতো যে আল্লাহই আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং জগতের অন্য যত বড়ো বড়ো সৃষ্টবস্তু আছে সবকিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন। এ-কারণেই জাহিলি যুগের কবিগণের কবিতায় আল্লাহ নামটি বারবার এসেছে। তবে এসব মূর্তি, দেবদেবী ও ফেরেশতাদেরকে চিত্রিত করা...
পরিবারকে আনন্দ দেওয়া সুন্নত
সাআদ তাশফিন

পৃথিবীতে সুখে থাকার পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করা। হালাল পন্থায় তাদের আনন্দ দেওয়া। রাসুল (সা.) পরিবারের সদস্যদের যেমন নতুন নতুন বিষয় শিক্ষা দিতেন, তেমনি তাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণও করতেন। তাঁদের বিভিন্ন ভাবে আনন্দ দিতেন। আমাদের সমাজের ধারণা যে পরিবারকে সব সময় শাসনে রাখলেই তারা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সুপথে থাকবে। এটি ভুল ধারণা, পরিবারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে, তাদের মাঝে মাঝে আনন্দ দিতে হবে, তাহলে তারা যেকোনো বিষয়ে তাদের পরিবার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করতে সাহস পাবে। এতে করে আমাদের পরিবারের অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে। অনেক সময় পরিবার প্রধানের ভয়ে স্ত্রী-সন্তানরা অনেক কথাই তার সঙ্গে শেয়ার করতে পারে না, ফলে পরিবার প্রধানের সঙ্গে তাদের অনেক বিষয়েই মিথ্যার...