ইসলামে জন্মসূত্রে যে সম্পর্কগুলো নিষিদ্ধ, সেগুলো দুধপানের মাধ্যমেও হারাম হয়। যেমনহাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : যে সম্পর্ক জন্মসূত্রে (বংশ) হারাম হয়, তা দুধপানের মাধ্যমেও হারাম হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৬৪৫) অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে : দুধপানের কারণে সেইসব সম্পর্ক হারাম হয়ে যায়, যা জন্মের (বংশ) মাধ্যমে হারাম হয়। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২০৫৫) সুতরাং কোনো শিশুকে দুধ পান করানোর মাধ্যমে সেই নারী শিশুটির দুধমা হয় এবং তার স্বামী শিশুটির দুধবাবা। একইভাবে, স্বামীর ভাই শিশুটির দুধচাচা হয়ে যায়। অর্থাৎ, দুধপানের মাধ্যমে শিশুটি শুধুমাত্র দুধমার সঙ্গে নয়, তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও একটি বৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। এমনকি যদি দুধপানের বিষয়ে সন্দেহ থাকে, সেটিও এড়িয়ে চলা উচিত। হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের ক্ষতিকর দিকসমূহ হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক একটি গভীর সমস্যা...
হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের ইসলামী বিধান
নিজস্ব প্রতিবেদক
সুদিনে আল্লাহ স্মরণ করার গুরুত্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল মহান রাব্বুল আলামিন। তাই আমাদের উচিত সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা। তিনি ছাড়া আর কেউ বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারে না। সুখ-শান্তি দিতে পারে না। এ কারণে আমাদের উচিত, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস রাখা, তাঁর কাছেই আশ্রয় চাওয়া। যারা সুখের দিনে আল্লাহকে ভুলে যায় এবং দুঃখের দিনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং দুঃখ থেকে উদ্ধার হলেই আবারও পুরনো বস্তুবাদি চিন্তায় ফেরত যায়, মহান আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, অতঃপর তারা যখন নৌযানে আরোহণ করে, তখন তারা আনুগত্যে বিশুদ্ধ হয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। তারপর তিনি যখন স্থলে ভিড়িয়ে তাদের উদ্ধার করেন, তখন তারা শিরকে লিপ্ত হয়। (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৫) বাস্তব জীবনেও মানুষ যখন গভীর সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে, যখন বেঁচে ফেরার আর কোনো আশা থাকে না, তখন...
মুসলমানের মৌলিক বিশেষ চার গুণ
অনলাইন ডেস্ক
মানুষের মধ্যে ভালো-মন্দ নানা ধরনের স্বভাব আছে। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে চারটি স্বভাব অত্যন্ত পছন্দনীয়। কিন্তু তা খুব কম মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। নিম্নে সে চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা তুলে ধরা হলো এক. আল্লাহর ভয় আল্লাহর ভয় তথা তাকওয়া একজন মুমিনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। জনে ও নির্জনে অন্তরে সবসময় আল্লাহ তাআলার ভয় থাকা ঈমানের অন্যতম অংশ। আল্লাহর ভয়ই মানুষকে দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায়, অনাচার,অবিচার, জুলুম-নির্যাতন থেকে দূরে রাখতে পারে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ! অন্তরে আল্লাহকে সেই ভাবে ভয় করুন, যেভাবে তাকে ভয় করা উচিত। সাবধান অন্য কোনো অবস্থায় যেন তোমাদের মৃত্যু না আসে বরং এই অবস্থায় যেন আসে যে তোমরা মুসলিম।(সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১০২) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে সে তো শয়তান, যে তার বন্ধুদের সম্পর্কে ভয় দেখায়। সুতরাং তোমরা যদি মুমিন হয়ে থাকো, তবে...
ইসলামে রজব মাসের তাৎপর্য
আহমাদ ইজাজ
বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ চার মাসের একটি হলো, পবিত্র রজব মাস। রজব শব্দের অর্থও হলো সম্মানিত। ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগে আরবরা এ মাসকে খুবই সম্মানের চোখে দেখত। এ মাসের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় তারা নিত্য চলমান হানাহানি, মারামারি ও যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে দিত। এ জন্যই তারা এ মাসকে রজব নামে অভিহিত করেছিল। ইসলাম এ মাসের মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, মহান আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস বারটি, সেই দিন থেকে যেদিন আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৩৬) মর্যাদাপূর্ণ মাস ৪টি হলো : জিলকদ, জিলহজ, মুহাররম ও রজব। (বুখারি শরিফ : ২/৩৭২) এই মর্যাদাপূর্ণ চারটি মাসের অন্যতম হলো রজব। তাই মর্যাদাপূর্ণ মাস রজব সম্পর্কে সচেষ্ট থাকা উচিত্। এর সদ্ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে বহু কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে। মহান আল্লাহ বিশেষ রাতে ও বিশেষ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর