নবুয়তের একেবারে গোড়ার দিকের কথা। হেরা গুহায় জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ওহি নিয়ে এসেছেন কয়েক মাস আগে। প্রথম দিকে অবশ্য একটু বিরতি দিয়েই অহি নাজিল হতো। এ বিরতি রাসুলের জন্য ছিল আশঙ্কা আর পেরেশানির। আশঙ্কা হলো, নবুয়তের মহান দায়িত্ব পালনের কোনো রোডম্যাপ এখনো তৈরি হয়নি। অন্যদিকে মানুষকে কিভাবে আল্লাহমুখী করা যায়, পথ দেখানো যায়এ চিন্তায় তিনি ছিলেন পেরেশান। এমন সময় ঘটল আরেক বিপত্তি। কুরাইশ নেতারা দারুন নদওয়ায় পরামর্শ সভা ডেকে নবীজি (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন কটু কথা বলল। তারা বলল, গাছ ছোট থাকতেই উপড়ে ফেলা হোক। আবদুল্লাহর এতিম ছেলে মুহাম্মদকে বেশিদূর এগোতে দেওয়া যাবে না। তাহলে কী করণীয়একজন জানতে চায়। সমাজে রটিয়ে দাও মুহাম্মদ পাগল হয়ে গেছে। আরেকজন বলল, কিন্তু সে তো পাগল না। তাহলে বলো সে গণক। বলা হলো, সে তো গণক না। বলো, মুহাম্মদ জাদুকর।...
দ্বিন ইসলাম প্রচারকদের জন্য উপদেশ
শাইখ মুহাম্মাদ জামাল উদ্দীন
সিরিয়া অঞ্চলে সমাহিত যেসব সাহাবিরা
আহমাদ আরিফুল ইসলাম
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর খিলাফতকালে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য থেকে সিরিয়া বিজয় করা হয়। বিখ্যাত সমরবিদ সাহাবি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.)-এর নেতৃত্বে ইয়ারমুকের সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে যেসব সাহাবি অংশ নিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগ আর ফেরত আসেননি। তাঁদের অনেকের বরকতময় সমাধি আজও সৌরভ ছড়ায় শামের আকাশে-বাতাসে। সিরিয়ায় কতজন সাহাবি আগমন করেছেন এবং কতজন সাহাবির কবর রয়েছে, সে বিষয়ে মুহাম্মাদ মামদুহ জুনায়েদ বলেন, মুহাদ্দিসরা একমত যে হোমসে প্রায় ৫০০ সাহাবি ইন্তেকাল করেছেন, যাঁদের মধ্যে ৭২ জন বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী। বদরের যোদ্ধাদের মোট সংখ্যা ছিল ৩১৩। এর অর্থ হলো, বদরের যোদ্ধাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এখানে সমাহিত। কিছু মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকদের মতে, হোমসে মৃত্যুবরণকারী সাহাবিদের সংখ্যা ৮০০ পর্যন্ত হতে পারে। আর যাঁরা হোমস অতিক্রম করেছেন তাঁদের...
যেকোনো মূল্যে বিরোধ নিরসন মুমিনদের একান্ত কর্তব্য
হাদি-উল-ইসলাম
সমাজে বসবাস করতে গেলে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মধ্যে কখনো কখনো পারস্পরিক ভুল-বোঝাবুঝি, মন-কষাকষি বা বিবাদ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ অবস্থায় তৃতীয় একটি পক্ষকে এগিয়ে এসে তাদের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ মিটিয়ে দিতে হবে। এটা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পর ভাই-ভাই। সুতরাং তোমাদের ভাইদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আশা করা যায়, তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হবে। (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১০) বিবাদ মীমাংসার বিষয়টিতে ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের সিয়াম, সালাত ও সদকার চেয়ে উত্তম মর্যাদাকর বিষয় সম্পর্কে খবর দেব না? সাহাবিরা বলেন, অবশ্যই আল্লাহর রাসুল! তিনি বলেন, বিবদমান বিষয়ে মীমাংসা করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯১৯, তিরমিজি, হাদিস : ২৬৪০) সামান্য ভুলভ্রান্তির কারণে মানুষের মধ্যে...
হানাহানি ও বাড়াবাড়ি ইসলাম সমর্থন করে না
মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানি
ইসলাম ধর্ম কোনো ক্ষেত্রেই হানাহানি ও বাড়াবাড়িকে সমর্থন করে না। গ্রহণ করে না কোনো ধরনের চরমপন্থাকে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য কোনো জবরদস্তি করে না। জবরদস্তি করে না হানাহানি, বাড়াবাড়ি করে কোনো ধরনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রতি। ইসলাম সহজসরল একটি সাম্যের ধর্ম। সব ধরনের বিভেদ ভুলে এক হয়ে চলার নাম ইসলাম। ইসলামের স্বার্থে সব ধরনের বাড়াবাড়ি বর্জন করে ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয় এ ধর্ম। রসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবাগণকে এভাবেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মহান প্রভু ঘোষণা করেন, মুহাম্মদ আল্লাহর রসুল, তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। (সুরা আল ফাতহ, ২৯)। অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে ব্যক্ত করতে হচ্ছে, সাম্য, মৈত্রী ও সহনশীলতার এ ইসলাম ধর্মে আজ নানা মতের ছড়াছড়ি। সবাই আপন আপন মত ও পথ নিয়ে করছে হানাহানি ও বাড়াবাড়ি। সবাই যেন নিজ নিজ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর