রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের ওপর চলছিল চরম নির্যাতন। খাজা আবু তালিব নবীজি (সা.)-কে কাফেরদের আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিতেন। ঘরে নবীজি (সা.)-কে শান্তনা দিতেন খাদিজাতুল কুবরা (রা.)। কয়েকদিনের ব্যবধানে শ্রদ্ধেয় চাচা আবু তালিব ও প্রিয় স্ত্রী খাদিজাতুল কুবরা (রা.) ইন্তেকাল করলেন। এরপর অনেক আশা নিয়ে তায়েফবাসীর কাছে তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে গেলেন। তারা দাওয়াত কবুল করল না। ক্ষতবিক্ষত করল নবীজি (সা.)-কে। এমন কঠিন মুহূর্তে মহান আল্লাহ নবীজি (সা.)-কে বড় বড় নিদর্শন দেখিয়ে সম্মানিত করতে ডেকে নিলেন ঊর্ধ্বজগতে। সশরীরে, সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় ভ্রমণ করালেন আসমান জমিন-সহ ঊর্ধ্বজগত। স্বচক্ষে দেখালেন অনেক কিছু। যাকে মিরাজ বলা হয়। মিরাজের সংক্ষিপ্ত ঘটনা বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী, হিজরতের এক বা দেড় বছর আগে এক রাতে নবীজি (সা.) নফল হিসেবে রাতের নামাজ আদায় করলেন। অতঃপর খানায়ে কাবা...
মিরাজ কী ও কেন
মুফতি মুহাম্মাদ ইসমাঈল
পশুপাখি পালনে যেন প্রতিবেশীর কষ্ট না হয়
আলেমা হাবিবা আক্তার
ইসলামী শরিয়তে পশুপালন একটি বৈধ পেশা। নবী-রাসুলগণও পশুপালন করেছেন। তাই যে কোনো মুসলিম জীবিকার তাগিদে পশুপালন করতে পারেন। প্রাচীন যুগে মানুষ পশুপালন করত উন্মুক্ত মাঠে, পাহাড়ি ভূমিতে, লোকালয়ের বাইরে জনশূন্য ভূমিতে। বর্তমান যুগে পশুপালন করা হয় বাড়িতেই। বিশেষ করে বাণিজ্যিক ভিত্তিক পশুপালনের বড় অংশই বাড়িতে বা বাড়ি সংলগ্ন খামারে হয়ে থাকে। অনেকেই বাড়িতে হাস, মুরগি, গরু, ছাগল ইত্যাদি পালন করে থাকেন। যারা বাড়িতে বা লোকালয়ের ভেতর পশু-পাখি পালন করে তাদের জন্য ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হলো তারা যেন প্রতিবেশীর কষ্টের কারণ না হয়। অনেককেই দেখা যায়, পশু-পাখির মল-মূত্র ঠিকভাবে পরিষ্কার করেন না। আর করলেও তা উন্মুক্ত স্থানে এমনভাবে রেখে দেন যা প্রতিবেশীর কষ্টের কারণ হয়। কখনো দেখা যায় পশু-পাখির মলমূত্র ধোয়া পানি মানুষ চলাচলের রাস্তায় ফেলা হয়। এতে দুর্গন্ধে...
সত্যসন্ধানে রজব মাস ও শবে মিরাজ
আসআদ শাহীন
রজব মাস ইসলাম আবির্ভাবের আগ থেকেই একটি সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ মাস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ স্থগিত হয়ে যেত এবং শান্তি বিরাজ করত। রজব ইসলামী বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস, যার পূর্ণ নাম রজবুল মুরাজ্জব। এই নামকরণের কারণ হলো, রজব শব্দটি তারজিব থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ সম্মান প্রদর্শন করা। এটি এমন একটি মাস, যা সম্মানিত ও পবিত্র হিসেবে স্বীকৃত; এই মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল। তাই একে আল আসম রজব বলা হয়, যার অর্থ নীরব রজব, কারণ এই মাসে অস্ত্রের কোনো শব্দ শোনা যেত না। (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা : ২২৫) এছাড়াও এই মাসকে আল আসাব বলা হয়, কারণ এই মাসে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ওপর রহমত ও ক্ষমার বিশেষ ধারা বর্ষণ করেন। এই মাসে ইবাদত ও দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। রজব সেই চারটি পবিত্র মাসের একটি, যেগুলোর কথা কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ...
কল্যাণকর সাত অভ্যাস
মাইমুনা আক্তার
প্রত্যেক মুসলমানের ওপর মুসলমানের ওপর কিছু হক আছে, যেগুলো আদায় করার মাধ্যমে পরস্পর মুহাব্বত বৃদ্ধি পায়, আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়। তাই নবীজি (সা.) বিভিন্ন সময় সাহাবায়ে কেরামকে এমন কিছু কাজ বা অভ্যাস গড়ে তোলার নির্দেশ দিতেন, যেগুলো তাদের দুনিয়া-আখিরাতকে কল্যাণকর করে তুলবে। বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সাতটি কাজের রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, হাঁচি দাতার জন্য দোয়া করা, দুর্বলকে সাহায্য করা, মাজলুমের সাহায্য করা, সালাম প্রসার করা এবং কসমকারীর কসম পূর্ণ করা। (বুখারি, হাদিস : ৬২৩৫) হাদিসে উল্লেখিত প্রতিটি অভ্যাসই মুমিনের জন্য কল্যাণকর, এতে একদিকে যেমন অপর মুসলমানের হক আদায় হয়, অন্যদিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নেক আমলের পাল্লাও ভারি হয়। নিম্নে হাদিসের আলোকে এই সাত অভ্যাসের ফজিলত তুলে ধরা হলো;...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর