পরিশুদ্ধ হৃদয় বা ক্বলবে সালিম বলতে বোঝানো হয়, শিরক ও সন্দেহমুক্ত, বিদআত ও গুনাহমুক্ত, ঈমান, একনিষ্ঠতা, আল্লাহর ভালোবাসা, আস্থা ও ভয়ে পরিপূর্ণ হৃদয়। যা একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মুমিন হতে সাহায্য করে। সার্বক্ষণিত আল্লাহর রহমেত বেষ্টিত করে রাখে। ইহকাল ও পরকালীন মুক্তি ও সফলতার জন্য হৃদয়ের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কেননা নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, জেনে রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো ক্বলব হৃদয়। (মুসলিম, হাদিস: ৩৯৮৬) তাকওয়ার ভিত্তি হলো, হৃদয়। হৃদয় পরিশুদ্ধ হলে ও তাতে তাকওয়া থাকলে তা মানুষের কাজে-কর্মেও প্রকাশ পায়। সুতরাং বলা যায় যে তাকওয়াপূর্ণ পরিশুদ্ধ হৃদয় আল্লাহর প্রিয় হওয়ার মূল চাবিকাঠি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে...
পরিশুদ্ধ হৃদয়ের প্রয়োজনীয়তা
মাইমুনা আক্তার

মুনাফিকি থেকে বাঁচার উপায়
হাদি-উল-ইসলাম

মুনাফিকি বা কপটতা গর্হিত অপরাধ। বাহ্যিকভাবে মুসলমান পরিচয় বহনকারী কিছু লোক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে মুনাফিক হিসেবে পরিচিত ছিল। এমন স্বভাবের লোক পরবর্তী যুগে থাকাও অস্বাভাবিক নয়। তবে এমন কিছু কাজ আছে, যা করলে মুনাফিকি থেকে মুক্ত হওয়া যায়। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো ৪০ দিন একাধারে জামাতে নামাজ পড়া: আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রথম তাকবির প্রাপ্তিসহ একাধারে ৪০ দিন (পাঁচ ওয়াক্ত সালাত) জামাতে আদায় করবে তার জন্য দুটি মুক্তিপত্র লিখে দেওয়া হবে। একটি জাহান্নাম থেকে মুক্তি, দ্বিতীয়টি মুনাফিকি থেকে মুক্তি। (তিরমিজি, হাদিস: ২৪১) সদাচার ও দ্বিন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, দুটি আচার কোন মুনাফিকের মধ্যে মেলে নাসদাচার ও দ্বিন সম্পর্কিত জ্ঞান। (তিরমিজি, হাদিস: ২৬৮৪) দানশীলতা: আবু মালিক আল...
মানুষের ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকার কারণ
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

মুমিনের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হলো, মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে তাঁর ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। যেহেতু আল্লাহ বলেছেন, আমি মানুষ ও জিন জাতিকে আমার উপাসনা করার জন্যই সৃষ্টি করেছি। (সুরা: জারিয়াত, আয়াত: ৫৬) আল্লাহ যেহেতু আমাদের তাঁর ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন, আমাদের উচিত তাঁর ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনকেই জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে নেওয়া। তাঁর প্রতিটি আদেশ-নিষেধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করা। তাঁর অফুরন্ত নিয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা, এবং তাঁর ওপর অগাধ বিশ্বাস স্থাপন করা। মুমিন যখন তার এই লক্ষ্য ভুলে গিয়ে নাফরমানি শুরু করে। আল্লাহর অগণিত নিয়ামত ভোগ করেও তার ওপর আস্থা রাখতে পারে না, তখনই তার ওপর নেমে আসে ব্যর্থতার আজাব। কিছু লোক সব পেয়েও ব্যর্থ হয়। মুক্ত বাতাসে থেকে ব্য্যর্থতার জিঞ্জিরে বন্দি হয়। যেমনটি হয়েছিল বনি...
মুসলিম শাসনামলে ভারতবর্ষে কৃষি ও শিল্পের উন্নয়ন
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

মহানবী (সা.)-এর সময়েই ভারত-পাক উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে যায়।খোলাফায়ে রাশেদিন উপমহাদেশে দ্বিন প্রচারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। উমাইয়া শাসক প্রথম ওয়ালিদের গৌরবময় শাসনামলে (৭০৫-৭১৫) মুসলমানদের প্রভাব প্রতিপত্তি পূর্ব ও পশ্চিম দিকে সর্বাধিক বিস্তৃতি লাভ করে। মুসলিম শাসকরা এ অঞ্চলে কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুহাম্মদ বিন কাসিমের শাসনকালে (৭১২-৭১৫) কৃষি ও শিল্পের উন্নয়ন মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু ও মুলতানে কৃষির উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি কৃষকদের ওপর ধার্যকৃত রাজা দাহিরের আমলের নিবর্তনমূলক কর বিলোপ করেন। তিনি জমির উত্পাদিত ফল ফসলের ওপর কর ধার্য করেন। কৃষি জমি সেচের ব্যবস্থা করেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধ নির্মাণ করেন। মুহাম্মদ বিন কাশিমের সময় জাহাজ নির্মাণ শিল্প, খাদ্য...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর