জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তরুণ দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও মাহফুজ আলমের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, দুইজন বন্ধু, একজন ছোটভাই! জাতির প্রত্যাশার ভাষা আমাদের পাথেয় হোক। এই পোস্টটি নতুন রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে একধরনের বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম, যিনি ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, আখতার হোসেনের ফেসবুক পোস্টের পর, এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে তিনি দলের সদস্যসচিব পদে দায়িত্ব নেবেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের...
আখতারের ফেসবুক পোস্টে নতুন রাজনৈতিক দলের বার্তা!
অনলাইন ডেস্ক

শনাক্তহীন ৬ শহীদের মরদেহ নিয়ে পিনাকীর পোস্ট

জুলাই বিপ্লবে নিহত ছয় শহীদের মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের হিম ঘরে রাখা আছে। ওই ছয় মরদেহ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন লেখক, ব্লগার ও অনলাইন আ্যক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পিনাকী লেখেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ছয় জন শহীদের মরদেহ আছে। আত্মীয় পাওয়া যায় নাই। সত্য। মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এই শহীদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ায় জন্য। মরদেহ ছিল সাতজনের। একজনের ম্যাচিং হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর মরদেহ দাফন হয়ে গেছে। যারা তাদের স্বজনদের নিখোঁজের অভিযোগ করছেন তাদের সাথে ডিএনএ ম্যাচিং করা হচ্ছে। এখনো কারো সাথে ম্যাচ হয় নাই। যদি আপনাদের জানা থাকে কেউ তাদের স্বজনদের খুঁজে পাচ্ছে না ওই সময় থেকে নিখোঁজ, তাহলে আমাকে মেহেরবানী করে নাম্বার দিবেন। আমি...
আজ রাজশাহীতে আজহারির মাহফিল, ফেসবুক পোস্টে যা জানালেন
অনলাইন ডেস্ক

জাবালুন নুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামি স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন। আজহারী পোস্টে লেখেন, রাজশাহী বিভাগের বন্ধুরা, ইনশাআল্লাহ (শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি) থাকছি এসহাক উদ্দিন মিঞা আম্রকানন ময়দান, লালাপাড়া মোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জাবালুন নূর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে। এর আগে যশোরের মাহফিলে ড. মিজানুর রহমান বলেন, মানুষ চাইলে বিশ্বজয় করতে পারে। মানুষকে কেউ হারাতে পারে না। আল্লাহ আমাদেরকে জনসংখ্যা দিয়েছেন। এ জনসংখ্যা অনেক বড় সম্পদ। এটা আমাদের জন্য অভিশাপ না, আশীর্বাদ। আমাদের জনসংখ্যাকে যদি আমরা জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারি আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থানে আছে...
ড. ইউনূসের প্রতি শায়খ আহমাদুল্লাহর খোলা চিঠি
অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান শীর্ষক এ খোলা চিঠিটি লেখেন তিনি। শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সেই খোলা চিঠিটি পোস্ট করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। খোলা চিঠিতে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আমি বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক ও সাধারণ মুসলিম হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করে চলেছেন। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা দেখে...
সর্বশেষ

জাতীয়
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ব্যাপারে শেখ হাসিনার ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নীতি ছিল : তাজুল ইসলাম পতনের কিছুদিন আগে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। আজ আদালতে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোন চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলীর কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।’ এসময়, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আমাদের সেসকল সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, তাদের মৃতদেহ প্রশাসনের নির্দেশে সুরতহাল করতে দেয়া হয়নি, কাউকে কাউকে ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়া হয়নি। এমনকি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পর যারা সেখানেই শহীদ হয়েছেন তাদের ডেথ সার্টিফিকেটে গুলিতে মারা গেছে- এই কথাটিও লিখতে দেয়া হয়নি। শ্বাসকষ্ট কিংবা জ্বরে মারা গেছে এ ধরনের কথা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। আন্দোলনে শহীদের লাশ দাফন করতে যাচ্ছে জানতে পারলে রাস্তায় পুলিশ তাদের পরিবারের ওপর হামলা-আক্রমণ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, যে শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য এবং কেন সেগুলো নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি যে সেই মুহূর্তে মানবতা বিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিলো যে, দ্রুত শহীদদের লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাই এ কারণে তাদের কোন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়া হয়নি। ঘটনাটি কোন স্বাভাবিক বিষয় নয় বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ। এটিই প্রমাণ করে কি ধরনের নিষ্ঠুরতার সাথে জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডগুলো চালানো হয়েছিল।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্মমতার প্রমাণসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক করার পর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার প্রমাণের সাথে সম্পৃক্ত করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। সূত্র, বাসস। শেখ হাসিনার ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নীতি ছিল ভয়ংকর : তাজুল ইসলাম
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর