চলছে পবিত্র মাহে রমজান। স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই রোজাপালনকারীর প্রতিদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য রোজা ফরজ। এর প্রেক্ষিতে আল্লাহর নৈকট্য ও তাকওয়া লাভের আশায় মুসলমানরা রোজা পালন করেন। সারাদিনের রোজা শেষে রোজাদারের আনন্দদের মহূর্ত হলো ইফতার। এই সময় ইফতার সামনে নিয়ে দোয়া করলে মহান আল্লাহ তা কবুল করেন। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, হে মুমিন সকল। তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।-বাকারা, আ/১৮৩ বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, (অন্য বর্ণনায়) ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ পড়ে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।...
ইফতার সামনে নিয়ে যে দোয়া পড়বেন
অনলাইন ডেস্ক

সেহরি ও ইফতারে রাসূল (সা.) এর খাবার যেমন ছিল
অনলাইন ডেস্ক

সেহরি খেলে রোজা পালন সহজ হয়, তেমন শারীরিক দুর্বলতা অনুভূত হয় না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত সেহরিতে হালকা ও সহজলভ্য খাবার গ্রহণ করতেন। তার ইফতার ও সেহরিতে বাহারি আয়োজন থাকতো না। সুস্থভাবে রোজা রাখা যায় এতোটুকু পরিমাণ খেতেন তিনি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেহরির খাবারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলেছেন, তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত আছে। (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩, মুসলিম, হাদিস : ১০৯৫) সেহরিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা খেতেন পানি ও খেজুর : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো শুধু পানি পান করে সেহরি শেষ করতেন, আবার কখনো খেজুর খেতেন। খেজুর সহজে হজম হয় এবং শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। দুধ ও যবের রুটি : হাদিসে পাওয়া যায় যে তিনি দুধ ও যবের তৈরি খাবার গ্রহণ করতেন। যব খুবই পুষ্টিকর , এটি দীর্ঘ...
রমজানে আত্মশুদ্ধি ও আত্মোন্নয়ন
জাওয়াদ তা

রমজান হলো আত্মশুদ্ধির মাস, এ মাসে একজন মুমিন তার হূদয়কে তাকওয়ার আলোয় আলোকিত করে। এটি শুধু রোজা রাখার মাস নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মসংযম ও আল্লাহভীতি অর্জনের শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণের সময়। তাকওয়া শব্দটি কুরআনে বহুবার এসেছে এবং এটি মূলত আল্লাহভীতির মাধ্যমে নিজেকে গুনাহ থেকে রক্ষা করার নাম। রমজান মাসে সঠিকভাবে রোজা পালন করলে মুমিনের হূদয়ে তাকওয়ার জন্ম হয়, যা তাকে পরবর্তী জীবনে গুনাহ থেকে দূরে রাখে এবং পরকালীন মুক্তির পথ দেখায়। তাকওয়ার সংজ্ঞা তাকওয়া শব্দটি আরবি ওয়াক্বায়া মূল ধাতু থেকে এসেছে, যার অর্থ রক্ষা করা বা সুরক্ষা প্রদান করা। ইসলামি পরিভাষায় তাকওয়া হলো আল্লাহকে ভয় করে তাঁর বিধান মেনে চলা এবং হারাম কাজ থেকে দূরে থাকা। তাফসিরে বায়জাবিতে তাকওয়ার তিন স্তরের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এক. শিরক থেকে বেঁচে থেকে চিরস্থায়ী শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়া। এ...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা
অনলাইন ডেস্ক

সুরা মায়িদা সুরা মায়িদার সূচনা হয়েছে চুক্তি ও অঙ্গীকার বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে। এই সুরায় কয়েকটি ঘটনা ও বিভিন্ন বিধি-বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। বিশেষত এখানে চুক্তি বাস্তবায়ন, আহলে কিতাবের সঙ্গে বিয়ে, মৃত্যুর সময় অসিয়ত, জবাইকৃত বস্তু খাওয়ার বৈধতা, শিকারের বৈধতা, অজু-গোসল থেকে পবিত্রতা, তায়াম্মুম, মদ-জুয়ার অবৈধতা, মুরতাদের শাস্তি, চুরি-ডাকাতির শাস্তি, ইহুদি-খ্রিস্টান, মূর্তি পূজারী ও মুনাফিকদের দাবি খণ্ডন ইত্যাদি বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. মানত আল্লাহর প্রতি বান্দার অঙ্গীকার। নেক কাজের মানত করলে তা পূরণ করা আবশ্যক। (আয়াত : ১) ২. মৃত প্রাণির গোশত খাওয়া হারাম। (আয়াত : ১) ৩. বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রেরিত পশু ক্রয়-বিক্রয় এবং তা দান করা বৈধ নয়। তাতে মিরাসি অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হয় না। (আয়াত : ২) ৪. কোনো পশু রেল বা মোটরযানের আঘাতে মারা গেলে তার গোশত...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর