গ্রেনেড নিয়ে ৩ দিন ধরে খেলছিল শিশুরা, উদ্ধার ও বিস্ফোরণ

সংগৃহীত ছবি

গ্রেনেড নিয়ে ৩ দিন ধরে খেলছিল শিশুরা, উদ্ধার ও বিস্ফোরণ

অনলাইন ডেস্ক

পুকুর খননের সময় লোহাসদৃশ একটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখে সেটিকে ধুয়ে বাড়ি নিয়ে আসে এক শিশু। এরপর তিন দিন ধরে বন্ধুদের নিয়ে গ্রেনেডটি নিয়ে খেলাও করে তারা। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে এনে বিস্ফোরণ ঘটায়।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের মহানগর গ্রামে গ্রেনেড পাওয়ার ঘটনাটি ঘটে।

রোববার (১৯ মে) সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশ গ্রেনেডটি উদ্ধার করে, এদিন বিকেলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ঘটনাস্থলে টির বিস্ফোরণ ঘটায়।

সৈয়দপুর ইউনিয়নের মহানগর গ্রামের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় তমিজ উদ্দিনের বাড়ির বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে খনন কাজ চলা পুকুরে লোহাসদৃশ একটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখে এক শিশু।  

এরপর সেটিকেও ধুয়ে শিশুটি তার ঘরে নিয়ে আসে। এরপর বিপজ্জনক এ বস্তু নিয়ে তিন দিন ধরে ওই শিশুসহ সহপাঠীরা খেলাও করেছে।

রোববার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি বস্তুটিকে খেয়াল করে। তার কাছে গ্রেনেডসদৃশ মনে হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‌‌‘রোববার সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তুটি গ্রেনেড বলে চিহ্নিত করে। পরে তারা সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলকে ছবিসহ বার্তা পাঠান। বিকেলে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা গ্রেনেডটি উদ্ধার করে লোকালয় থেকে আধা কিলোমিটার দূরে খোলা মাঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে। বিস্ফোরণের সময় পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। ’

তিনি আরও জানান, ‘ব্রিটিশ আমলের গ্রেনেডটির পিনের ত্রুটি থাকায় বিস্ফোরণ হয়নি। শিশুটি সময় সম্ভবত এটি পুকুরটিতে পড়ে। তিন দিন আগে পুকুর খোঁড়ার সময় গ্রেনেডটি পায় শিশুরা। এটি এতই শক্তিশালী ছিল যে বিস্ফোরণে ঘরবাড়ি উড়ে যেতে পারত। ’
 

এই রকম আরও টপিক