আসামির কললিস্টে নাম থাকায় আটক ‘গ্যাস বাবু’

এমপি আনার হত্যা

আসামির কললিস্টে নাম থাকায় আটক ‘গ্যাস বাবু’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার আসামির কললিস্টে নাম থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে ঝিনাইদহ শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার টিটিডিসি সড়কের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

আটক বাবু ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের রায়হান উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে।

বাবুর বড় ভাই কাজী গিয়াস আহম্মেদ দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপির একটি দল তাকে বাসা থেকে নিয়ে গেছে।

আনার হত্যার হোতা শিমুল ভুইয়ার মোবাইলের কললিস্টে নাম থাকায় বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জনযুদ্ধ (লাল পতাকা) প্রধান কোটচাঁদপুরের বাসিন্দা ডা. মিজানুর রহমান টুটুল আমাদের মামাতো ভাই। শিমুলের বোনকে বিয়ে করেছিলেন ডাক্তার টুটুল। সেই সূত্র ধরে আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল ভুইয়া এবং শাহীন উভয় আমাদের আত্মীয়।

কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের শুধু কেবল আত্মীয়তার সম্পর্ক, এর বাইরে কিছু নেই।

তিনি আশা করছেন, তার ভাই বাবুকে আজই হয়তো ছেড়ে দেওয়া হবে। কারণ নিয়ে যাওয়ার সময় বাবু অতিরিক্ত কাপড়চোপড় নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ডিএমপির সদস্যরা নিতে দেয়নি। শুধু প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে গেছেন।

এদিকে, বাবু আটক হওয়ার পর ঝিনাইদহ, কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জের আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আতঙ্কে রয়েছেন। কেউ কেউ আবার প্রশাসনের নজরদারীতেও আছেন। এ অবস্থায় বাবু আটক হওয়া এমপি আনারের সঙ্গে বিরোধ আছে এমন অন্যান্য নেতারাও ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েছেন।

সূত্র জানায়, কোটচাঁদপুর পৌর নির্বাচনের সময় আটক বাবু আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিনের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের বিলাসবহুল বাগান বাড়ি ও রিসোর্ট উদ্বোধন করতে যান। এ সময় বাবুর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা বিশাল গাড়ি বহর করে যান। সেই সূত্র ধরে শাহিনের সঙ্গে বাবুর সখ্যতা ছিল বলে অনেকেই মনে করছেন।

বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু বলেন, বাবুর আটকের বিষয়টি শুনেছি। এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান জানান, ডিএমপির একটি গোয়েন্দা টিম আগে থেকেই শহরে অবস্থান করছিল। তারা রাতে অভিযান চালিয়ে বাবুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। তবে কী মামলায় বা কোন ব্যাপারে নিয়ে গেছে তা আমি নিশ্চিত বলতে পারছি না।

news24bd.tv/SHS