দুমাত আল জান্দাল সৌদি আরবের আল জৌফ প্রদেশের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রাচীন নগরী। যার প্রাচীন নাম আদুমাতো। প্রাদেশিক রাজধানী সাকাকা থেকে এর দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। হাজার বছর ধরে এখানে সভ্যতা ও সাম্রাজ্যের উন্নয়ন সংঘটিত হয়েছে। যার স্মৃতিচিহ্ন রেখে গেছে দেয়ালে দেয়ালে, শহরের প্রতিটি কোণে। সৌদি প্রত্নতত্ত্ববিদ হুসাইন আল খালিফা বলেন, এক সময় এখানে বৃষ্টিপাত হতো। তখন এখানে নদী ও বন ছিল। এরপর এখানে উষ্ণতা বাড়তে থাকে এবং বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায়। ফলে মানুষ নিকটবর্তী মানব বসতির দিকে সরে যায়। প্রাচীনকালে মানুষ উর্বর মাটি ও পানির সন্ধানে স্থান ত্যাগ করত। এই প্রক্রিয়া থেকে ধারণা করা যায়, দুমাত আল জান্দাল খ্রিস্টপূর্ব দুই হাজার বছরের প্রাচীন নগরীগুলোর একটি। প্রাচীনকালে আরব অঞ্চলে একটি অভিন্ন বাণিজ্য পথ তৈরি হয়েছিল। যা আরব উপদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলকে একত্র...
হাজার বছরের প্রাচীন যে নগরী জয় করেন খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)
আবরার আবদুল্লাহ

মিথ্যা অকল্যাণের দ্বার খোলে
মাইমুনা আক্তার

ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ মিথ্যা বলা, মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মিথ্যা পরিহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, এবং (তোমরা) মিথ্যা কথা পরিহার করো। (সুরা: হজ, আয়াত: ৩০) নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতদের মিথ্যার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত বিশাল একটি হাদিসের একাংশে উল্লেখ আছে, ... সাবধান! তোমরা মিথ্যাচারিতা থেকে দূরে থেকো। কেননা মিথ্যাচারিতা দ্বারা না সফলতা অর্জন করা যায়, না অর্থহীন অপলাপ থেকে বাঁচা যায়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪৬) প্রিয় নবী (সা.) এই অভ্যাসকে খুব বেশি ঘৃণা করতেন। কারো মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকলে তিনি তাদের ভিন্ন চোখে দেখতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, মিথ্যা থেকে অধিক ঘৃণিত চরিত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে আর কিছুই ছিল না। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে কেউ মিথ্যা বললে তা অবিরত তাঁর মনে...
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
মুফতি সাইফুল ইসলাম

প্রকৃতপক্ষে মহানবী (সা.)-এর সমগ্র জীবনাচারই মানবিক পরিপূর্ণতা, নৈতিক উত্কর্ষতা এবং ব্যবহারিক প্রজ্ঞার এক সুন্দর সমন্বয়। যা মানব ইতিহাসে অতুলনীয়। পবিত্র কোরআন নবী (সা.)-কে রহমাতুল লিল আলামীন উপাধি দিয়েছে (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭) এর মূল অর্থ তাঁর দ্বিন ও দাওয়াত সমগ্র মানবজাতির জন্য কল্যাণ ও আশীর্বাদ বয়ে এনেছিল। তিনি কেবল আরবের অজ্ঞ ও যাযাবর সমাজকে সভ্যতার আলোয় আলোকিত করেননি; বরং মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এনেছিলেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন। যেই বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রজ্ঞা, ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং উচ্চ নৈতিকতায় ভর করে। পবিত্র কোরআনে এসেছে: তিনি তাদেরকে কিতাব ও হিকমাহ শিক্ষা দেন। (সুরা আল-বাকারা, আয়াত: ১২৯) হিকমত শব্দটি আরবি অভিধানে সুবিচার, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা ইত্যাদি অর্থ ব্যবহূত হয়। ইসলামিক স্কলাররা সমাজ বিনির্মাণে মহানবী (সা.)-এর রাজনৈতিক কৌশলকে ইতিহাসের...
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখার বিধান
মুফতি আবদুল্লাহ নুর

সমাজের বেশির ভাগ কিশোর, যুবক ও মধ্য বয়সী পুরুষকে দেখা যায় তারা পেছনের দিকে চুল ছোট রেখে সামনের দিকে চুল বড় রাখে। কলেজ শিক্ষার্থী হাদিউল ইসলামের প্রশ্ন হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে এভাবে চুল রাখার বিধান কি? ইসলাম শরিয়ত পুরুষকে কিভাবে চুল রাখতে বলে? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, মাথার পেছনের দিকে এবং দুই পাশের চুল ছোট রেখে সামনের দিকে চুল বড় রাখা শরিয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েজ নয়। তবে তা নেককার ও আল্লাহভীরু মানুষের বৈশিষ্ট্য। সাধারণ দ্বিনবিমুখ মানুষের অনুসরণের এমনকি করা হয়। তাই এমন রীতি পরিহার করা উচিত। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস: ৪০৩১) মুসলমান চুল রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সুরুচির পরিচয় দেবে। সে বিদঘুটে পদ্ধতিতে ও দৃষ্টিকটূ স্টাইলে চুল কাটবে না। ইবনে ওমর (রা.) বলেন,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর