আমরা অনেক সময় ইচ্ছায় অনিচ্ছায় এমন কিছু অপ্রয়োজনীয় শব্দ করে থাকি, যা অন্যদের জন্য বিব্রতকর বা ক্ষতিকর। বেশি বেশি শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় জোরে আওয়াজ করে দরজা লাগানো, কিংবা ঘরে প্রবেশের সময় শ্রুতিকটু আওয়াজ দিয়ে তালা খোলা, মোবাইল ফোনে কর্কশ রিংটোন ব্যাবহার করাএসব আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। কলকারখানা, পরিবহন, নির্মাণকাজ, নির্বাচনী প্রচারণা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কাজে লাউডস্পিকার ব্যবহার, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই বিরক্তিকর আওয়াজকে বর্তমানে শব্দ সন্ত্রাসও বলে থাকে। মানবসৃষ্ট এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন একটু সচেতনতা। অনেকে মনে করে, এতে তো কোনো সমস্যা নেই। নিজের গাড়ি, নিজের ঘর, নিজের তালা আওয়াজ করে লাগালে কী এমন সমস্যা আছে! আমাদের এই চিন্তাটাই ভুল। অতিরিক্ত জিনিস সব জায়গায় অপছন্দনীয়। আল্লাহ তাআলা সব জিনিসেই সৌন্দর্য পছন্দ করেন।...
অযাচিত আওয়াজ করা ভদ্রতা পরিপন্থী
জাওয়াদ তাহের
নবীজির সঙ্গে বেয়াদবির ফল পেয়েছিল পারস্য সম্রাট
মাওলানা হাফেজ কাজী মারুফ বিল্লাহ
মহানবী (সা.) যে সময় মক্কায় ইসলাম নিয়ে এসেছিলেন তখন পৃথিবীর অন্যতম সুপার পাওয়ার ছিল পারস্য। পারস্যের লোকজন ছিল জরথুস্ট্র ধর্মের অনুসারী। কোনো কোনো ঐতিহাসিক বলেন, জরথুস্ট্র নবী ছিলেন। তার ওপর প্রেরিত আসমানী গ্রন্থের নাম জেন্দাবেস্তা। তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। বলা হয়, জরথুস্ট্রের শিক্ষা ছিল একত্ববাদ। পরবর্তীতে লোকজন সে শিক্ষা ভুলে অগ্নি উপসানায় ডুবে যায়। রাসুলের সমসমায়িক পারস্যের সম্রাটর নাম ছিল কিসরা পারভেজ। দোর্দন্ড প্রতাপের অধিকারী। অহংকারে পা মাটিতে পড়ে না। তার সামনে বিনীত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন নবীজির সাহাবি হুজায়ফার ছেলে আবদুল্লাহ (রা.)। তার হাতে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি। সম্রাট পরাভেজ চিঠি নিয়ে পড়তে শুরু করলেন। চিঠি পাঠিয়েছেন কুল কায়েনাতের সম্রাট নবিয়ে মুস্তফা মুহাম্মাদ (সা.)। সিরাত গবেষকরা বলেন, ৬ষ্ঠ হিজরির জিলহজ মাসে...
জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার প্রতিভূ ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.)
আলেমা হাবিবা আক্তার
ইবরাহিম ইবনে ইয়াজিদ আন নাখয়ি (রহ.) ফিকহশাস্ত্রের প্রসিদ্ধ ইমাম ও নির্ভরযোগ হাদিস বর্ণনাকারী। তিনি ছিলেন সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উত্তরসূরী। তিনি তা অর্জন করেন মামা আসওয়াদ ইবনে ইয়াজিদ (রহ.)-এর কাছ থেকে। যিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর ছাত্র ছিলেন। এছাড়াও ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.) আলকামা, মাসরুক, আবদুর রহমান ইবনে আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রহ.)-এর কাছ থেকে জ্ঞানার্জন করেন। তিনি ছিলেন চিন্তা, গবেষণা ও মাসয়ালা উদ্ভাবনে সূক্ষ্ম জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী। তাঁর ব্যাপারে এটাও বলা যায় যে, তিনি ইরাকে ধর্মীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানে মানবীয় জ্ঞান-বুদ্ধির প্রয়োগের মাধ্যমে মাসয়ালা উদ্ভাবনের সূচনা করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর উত্তরসূরী ছিলেন হাম্মাদ ইবনে আবি সুলাইমান (রহ.)। আর তাঁর উত্তরসূরী ছিলেন ইমাম আবু হানিফা (রহ.)। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন উঁচু স্তরের...
মেকাপ অবস্থায় অজু করার বিধান
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাইদেয়া মারুফা। একজন কলেজ শিক্ষার্থী। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য তিনি মেকাপ করেন। গরমের সময় ঘামে নষ্ট হয় না অথবা সামান্য পানিতে নষ্ট হয় না এমন মেকাপও তিনি করে থাকেন। কখনো কখনো মেকাপ পুরোপুরি পরিষ্কার না করেই তাঁকে অজু করতে হয়। তাঁর প্রশ্ন হলো, মেকাপ অবস্থায় অজু করলে কি অজু হয়? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, মেকাপের উপকরণ পানিরোধক না হয় এবং সে মুখে রেখে অজু করলে যদি চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছানোর নিশ্চয়তা থাকে, তবে মেকাপ অবস্থায় অজু করলে অজু হয়ে যাবে। আর যদি মেকাপ পানিরোধক হয়, তবে অজু হবে না। মেকাপ অপসারণ করে অজু করতে হবে। কেননা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছানো ফরজ। এ বিষয়ে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে লেখা হয়েছে, যদি অজুর কোনো স্থানে সুঁইয়ের আগা পরিমাণ জায়গা শুকনো থাকে অথবা নখের গড়ায় শুকনো বা ভেজা মাটি লেগে থাকে, তবে তা জায়েজ হবে না (অজু হবে না)। তবে হাতে যদি খামির...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর