জিওব্যাগ ফেলেও যমুনার ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না

জিওব্যাগ ফেলেও যমুনার ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ফের দ্রুত বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে ৩৪ সে.মি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, পানি বাড়ায় যমুনার চরাঞ্চল ও অরক্ষিত অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।

ভাঙন রোধে কয়েকটি পয়েন্টে জিওব্যাগ ফেললেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে কাঁচা-পাকা বসতভিটা, শিক্ষা, প্রতিষ্ঠান, ফসলী জমি বিলীন হয়ে ভাঙন কবলিতরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ হার্ড পয়েন্টে পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২.০২ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৮ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিপদসীমা-১২.৯০ মিটার।

অন্যদিকে কাজিপুর উপজেলায় মেঘাই পয়েন্টে সকালে পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৭০ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১০ সেমি নীচ প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমা ১৪.৮০ মিটার। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষকের শাক-সবজি, তিল ও পাটক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে শাহজাদপুর উপজেলার পাচিল, আড়কান্দি, জালালপুর, সদর উপজেলার চরাঞ্চল কাওয়াকোলা ও কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ীর বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙনে প্রতিদিন কাচাপাকা স্থাপনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন কবলিতরা ঘরবাড়ি ভেঙে স্তুপ রেখে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। ভাঙন কবলিতরা কষ্টে থাকলেও প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি।

অন্যদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেললেও ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

ভাঙন কবলিতদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণেই ভাঙনরোধে কাজ হচ্ছে না। এ কারণে মানুষকে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হতে হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকটি পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু করালগ্রাসী যমুনার ভাঙনরোধ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

news24bd.tv/তৌহিদ