১১ মার্কিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এই কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। ছবি: রয়টার্স

১১ মার্কিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান

অনলাইন ডেস্ক

১১ জন মার্কিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এই কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র আন্দোলন দমনে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করার কথা উল্লেখ করেছে।

গত এপ্রিল এবং জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছাত্ররা গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল।

হামাস গত অক্টোবরের ৭ তারিখে ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়। এছাড়া আরো ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় গাজায়। ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৯৫৩ জন নিহত এবং ৮৭ হাজার ২৬৬ জন আহত হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েল দাবি করছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৬ হাজার হামাস জঙ্গি রয়েছে।

ইরানের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আমেরিকানদের মধ্যে রয়েছেন ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বিভাগের প্রধান লিন্ডা জে. স্টাম্প-কার্নিক এবং কলম্বিয়া জেলার মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের প্রধান পামেলা এ. স্মিথ।  এ ছাড়া আছেন, জর্জিয়ার জননিরাপত্তা বিভাগের কমিশনার উইলিয়াম বিলি হিচেনস, জর্জিয়ার ফিল্ড অপারেশনের কমান্ডিং অফিসার এডি গ্রিয়ার।

আরো আছেন নির্বাহী সহকারী প্রধান, মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ জেফরি ক্যারল, নিউ হ্যাভেন পুলিশ বিভাগের প্রধান কার্ল জ্যাকবসন, টেক্সাস ইউনিভার্সিটির পুলিশ বিভাগের সহকারী প্রধান শেন স্ট্রিপি, বোস্টন পুলিশ বিভাগের কমিশনার মাইকেল কক্স, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি পুলিশ বিভাগের কেন্দ্রীয় বিভাগের প্রধান স্কট ডানিং, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পুলিশ প্রধান মাইকেল থম্পসন, সিএএল স্টেট লং বিচ পুলিশ বিভাগের পুলিশ প্রধান জন ব্রকি।

এ নিষেধাজ্ঞার কারণে কর্মকর্তারা ইরানি অর্থব্যবস্থা ও ব্যাংকিং সিস্টেমে লেনদেন করতে পারবেন না। তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে এবং তাদের ইরানে প্রবেশের ভিসা দেওয়া বা ইরানে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া। অন্যদিকে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির জন্য আগে থেকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে। এ ছাড়া উইক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থন এবং দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইরানও বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনিসহ ইরানের নেতারা পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভের প্রশংসা করেছেন।

বিক্ষোভকারীদের মার্কিন ও ইসরায়েলি নীতির বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরোধের অংশ হিসেবে দেখেছেন। খামেনি বিক্ষোভকারীদের যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ‘প্রতিরোধ ফ্রন্ট’-এর অংশ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

সূত্র : ইরান ইন্টারন্যাশনাল, প্রেস টিভি

news24bd.tv/DHL