কোটা বিরোধীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন

সংগৃহীত ছবি

কোটা বিরোধীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক

২০১৮ সালের অসাংবিধানিক ও অবৈধ পরিপত্র বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারী আইনের আওতায় আনা সহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন।  এসময় সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, দুর্নীতিবাজ শ্রেণির অপকর্মকে ঢাকতেই কোটা আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়েছে।

এছাড়া নেতা কর্মীরা আরও উল্লেখ করেন এই আন্দোলন শুধুই কোটা বিরোধী আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন স্বাধীনতা বিরোধী আন্দোলন।

মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় যারা বিশ্বাস করেন তাদেরও চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আহ্বান জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দেয়া ৭ দফা দাবি হলো-

১। ২০১৮ সালের অসাংবিধানিক ও অবৈধ পরিপত্র বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করে বঙ্গবন্ধুর উপহার ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।

২। সাম্প্রতিক সময়ে কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে কটূক্তিকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ছাত্রত্ব বাতিলসহ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি হলোকাস্ট ডিনায়াল অ্যাক্টের ন্যায় নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৩। রাজাকারদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে তালিকা প্রদর্শনপূর্বক নাগরিকত্ব বাতিলসহ এদের বংশধরদের চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

৪। কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীরা সকলেই মেধাবী, কেউ অমেধাবী নয়। সাধারণ প্রার্থীদের সাথে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোটা প্রয়োগ হওয়ার কারণে বৈষম্যমূলক মেধা শব্দ পরিবর্তন করে সাধারণ শব্দ সংযোজনপূর্বক সাধারণ প্রার্থী নামকরণ করে সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

৫। সমগ্র দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের ওপর হামলা, মামলা, হত্যা, নির্যাতন ও কটূক্তি স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৬। ২০১৮ সালে কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে পুলিশের ওপর নগ্ন সন্ত্রাসী হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৭। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হবে।

news24bd.tv/DHL