মদিনাতুর রাসুল। যে নাম উচ্চারণেই হৃদয়ে শান্তির বাতস অনুভব হয়। মুমিন হৃদয়ে প্রেমের জোয়ার এনে দেয়। এটি এমন একটি স্থান, যেখানে আকাশ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে, আর জমিন গর্বে নিজের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে যে, তার ভেতর শুয়ে আছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। প্রিয় নবীজি (সা.)-এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর ইসলামের নবযুগের গোড়াপত্তন হয়েছে এই পবিত্র নগরীতে। যা এই নগরীকে করেছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শহরগুলোর অন্যতম। মদিনা শুধু একটি শহর নয়, এটি প্রেম, শ্রদ্ধা ও আধ্যাত্মিকতার এক অনন্য মিলনমঞ্চ। এই শহর নিয়ে নবীজির মুখ থেকে উচ্চারিত প্রশংসার বাণী। মদিনার জন্য বরকতের দোয়া মদিনা নবী করিম (সা.)-এর বসতি ও মসজিদে নববীর শহর। এটি হিজরতের মাধ্যমে ইসলামের প্রতিষ্ঠার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। নবী করিম (সা.) চেয়েছিলেন, মদিনা যেন মক্কার চেয়েও বেশি বরকতপূর্ণ হয়, কারণ এখানেই ইসলামিক...
মদিনা শান্তির ও আধ্যাত্মিকতার প্রাণকেন্দ্র
জাওয়াদ তাহের
আল্লাহকে দুনিয়ায় দেখা সম্ভব নয়
আহমাদ মুহাম্মাদ
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকিদা ও বিশ্বাস হলো, দুনিয়ায় আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। এই আকিদা ও বিশ্বাস কোরআন দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ বলেন, কোনো দৃষ্টি তাঁকে (দুনিয়াতে) বষ্টেন করতে পারে না। বরং তিনিই সব দৃষ্টিকে বষ্টেন করেন। তিনি অতীব সূক্ষ্মদর্শী এবং ভেতর-বাহির সব বিষয়ে বিজ্ঞ। (সুরা আনআম, আয়াত : ১০৩) এর প্রমাণ পাওয়া যায় মুসা (আ.)-এর ঘটনায়। মুসা (আ.) যখন হে আমার রব, আমাকে দেখা দাও বলে আল্লাহকে দেখতে চেয়েছেন, তখন জবাবে আল্লাহ বলেছিলেন : তুমি কখনো আমাকে দেখতে পারবে না। পবিত্র কোরআনে এসেছে : মুসা যখন নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হল, তখন তার রব তার সাথে কথা বললেন। সে তখন নিবেদন করল, হে আমার রব! আপনি আমাকে দর্শন দিন। আল্লাহ বলেন, তুমি আমাকে কখনো দেখতে পারবে না, তবে তুমি ওই পাহাড়ের দিকে তাকাও। যদি ওই পাহাড় স্বস্থানে স্থির থাকে তাহলে তুমি আমাকে দেখতে পারবে। অতঃপর তার রব...
জিজ্ঞাসা: মাদ্রাসার জন্য ওয়াকফকৃত জায়গায় মসজিদ করা
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
আসগর জামানের বাড়ি নাটোর শহরে। তাদের শহরে এক ব্যক্তি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য একখণ্ড জমি ওয়াফক করেছেন। এখন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা চাচ্ছেন সেখানে প্রথমে একটি মসজিদ করতে। এরপর তারা প্রথমে বালক মাদরাসা এবং সবশেষে বালিকা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করবেন। আসগর জামানের প্রশ্ন মাদরাসার জন্য ওয়াকফকৃত জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা যাবে? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, ওয়াকফকৃত সম্পদ ওয়াকফকারীর নিয়ত অনুসারে ব্যবহার করা আবশ্যক। যেহেতু ভূমিটি মাদরাসার নিয়তে ওয়াকফ করা হয়েছে, তাই সেটা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা বৈধ হবে না। এমনকি মসজিদও নির্মাণ করা যাবে না। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি মনে করেন তারা এখানে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমে একটি মুসল্লা বা নামাজের স্থান প্রস্তুত করবেন, তবে তা জায়েজ আছে। তবে তা শরিয়ত অনুমোদিত স্বাভাবিক মসজিদের...
আচার-আচরণে যিনি নবীজির সদৃশ ছিলেন
আলেমা হাবিবা আক্তার
কন্যাদের ভেতর নবীজি (সা.)-এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন সাইয়েদা ফাতেমা (রা.)। নবীজি (সা.) তাঁকে অত্যধিক ভালোবাসতেন। তাঁকে সব সময় কাছে রাখতেন। মহানবী (সা.)-এর এই প্রিয় কন্যার মধ্যে আল্লাহ অনন্য কিছু বৈশষ্ট্যি দান করেছিলেন, যা অন্য কাউকে দেননি। যেমন আচার-আচরণে তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সদৃশ, তাঁর মাধ্যমেই নবীজি (সা.)-এর বংশের বিস্তার ঘটেছে ইত্যাদি। পরকালেও এই মহীয়সী নারী অনন্য মর্যাদার অধিকারী হবেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.)-এর স্ত্রীরা সবাই তাঁর কাছে ছিল। এর মধ্যে ফাতেমা (রা.) হেঁটে (আমাদের কাছে) এলেন। তার চলন এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর চলনের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না। অতঃপর নবী (সা.) তাকে দেখে স্বাগত জানালেন এবং বললেন, Èআমার কন্যার শুভাগমন হোক। অতঃপর তিনি তাকে নিজের ডান অথবা বাম পাশে বসালেন। তারপর তিনি তাকে কানে কানে গোপনে কিছু বললেন। ফাতেমা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর