হামাস প্রধান কে এই ইসমাইল হানিয়া?

হামাস প্রধান কে এই ইসমাইল হানিয়া?

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। ইরানের রাজধানী তেহরানে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বুধবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইসমাইল হানিয়া। আজ বুধবার ভোরে, তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে হামলা চালানো হয়। হামলায় তিনি এবং তার একজন দেহরক্ষী শহীদ হন।
 
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর।

ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব-সহ একাধিক শহরে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে গোটা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলার পরেই শুরু হয়ে যায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রাণঘাতী লড়াই।  

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে খতম না করা পর্যন্ত লড়াই চলবে। অবশেষে মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে খতম করেছে ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। কিন্তু কে এই ইসমাইল হানিয়া? 

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম 'আল জাজিরা' জানিয়েছে, গাজার আল শাতি শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণকারী ইসমাইল আবদেল সালাম হানিয়ার ডাক নাম আবু আল-আবদ। আশির দশকে ইসরায়েল বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে সামিল হন তিনি।

১৯৮৯ সালে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েল। এরপর ১৯৯২ সালে আরও কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে হানিয়াকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের শূন্যরেখায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এক বছর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে কাটানোর পরে ইসমাইল হানিয়া গাজায় ফেরেন।

১৯৯৭ সালে হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের অফিসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। তারপর থেকেই হামাসে গুরুত্ব বাড়তে থাকে হানিয়ার।

আরও পড়ুন: হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানে নিহত

২০০৬ সালে প্যালেস্টাইনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হামাস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ইসমাইল হানিয়াকে প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্ব দেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। কিন্তু সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গাজায় মাহমুদ আব্বাসের দল ফাত্তাহর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হানিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ৬ মে থেকে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

news24bd.tv/TR