শাহবাগে গণহত্যা ও নিপীড়নবিরোধী শিল্পীসমাজের সমাবেশ আজ

সংগৃহীত ছবি

শাহবাগে গণহত্যা ও নিপীড়নবিরোধী শিল্পীসমাজের সমাবেশ আজ

অনলাইন ডেস্ক

গণহত্যা ও নিপীড়নবিরোধী শিল্পীসমাজ আজ শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীদের একটি সমাবেশের আয়োজন করেছে।

‘রাষ্ট্র সংস্কার, সংস্কৃতি সংস্কার' নামের এই সমাবেশে দৃশ্যশিল্পী, আলোকচিত্রশিল্পী, পারফরমেন্স শিল্পী, সংগীতশিল্পী, কবি, লেখক, গবেষক, স্থপতি, শিল্পসংগঠকরা উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে সকলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

গণহত্যা ও নিপীড়নবিরোধী শিল্পীসমাজের বিবৃতিটি যুক্ত করা হলো:

‘রাষ্ট্র সংস্কার, সংস্কৃতি সংস্কার’

শিল্প- সংস্কৃতির নানা চর্চায় যুক্ত মানুষজন ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে নিজ নিজ চর্চা অব্যাহত রেখে ছাত্র-জনতার কাতারে সামিল হয়ে রাষ্ট্র-সমাজ-সংস্কৃতি মেরামতে ভূমিকা রাখবার সময় এখন।

দল- মত- ধর্মের নামে আধিপত্যবাদী কার্যকলাপ প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্র ও সংস্কৃতি সংস্কার নিশ্চিত করতে কয়েকটি বিষয়ে আমাদের ঐকমত্য জরুরি।

  • গত ষোল বছরের অনির্বাচিত সরকারের উত্তরাধিকার, ঔপনিবেশিক জাতি- পরিচয়বাদী প্রতিক্রিয়ার রাজনীতি/সংস্কৃতির বিপরীতে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের পক্ষ থেকে সদর্থক তৎপরতার সংস্কৃতির উদ্বোধন করা ও সৃষ্টিশীলতার নতুন ক্ষেত্রগুলোকে চিহ্নিত করা। চিন্তা ও মত প্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা।
  • সংবিধান, প্রতিনিধিত্ব, আমলাতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ ব্যবস্থার গণতন্ত্র সহায়ক সংস্কার এগিয়ে নেওয়া।
  • ধর্ম বনাম সেক্যুলারিজম জোড়বিপরীতের মত বিভাজনকারী চিন্তা ও মতাদর্শ থেকে সাংস্কৃতিকভাবে মুক্ত করার কাজ করা। রাষ্ট্রকেও এই বিভাজন নীতি থেকে মুক্ত করার কাজ করা।  বিভাজন ও বৈষম্যকারী ঔপনিবেশিক জাতি- পরিচয়বাদী সংস্কৃতি ও রাষ্ট্র দর্শন থেকে সমাজ- সংস্কৃতি- রাষ্ট্রকে মুক্ত করার কাজ করা। সংখ্যাগুরু- সংখ্যালঘুর অন্যায় বোঝাপড়া, সামাজিক- রাষ্ট্রীয় - সাংস্কৃতিক চর্চা থেকে সমাজ, রাষ্ট্র ও সংস্কৃতিকে মুক্ত করার জন্যে কাজ করা। বৈষম্যমুলক, শ্রেষ্ঠত্ববাদী জাতি-ধর্ম-লিঙ্গ সামর্থ্য বুঝ ও ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে বহুজাতির, বহু ধর্মের, বহু লিঙ্গের মানুষের ইনসাফি বাংলাদেশ গড়ার কাজ করা।
  • সাহিত্য- সংস্কৃতি বিকাশের সাথে জড়িত স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণের ইতি টেনে সকল আয়োজনে বাঙালি, আদিবাসী, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও লিঙ্গীয় পরিচয় নির্বিশেষে শিল্পীদের সম- অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
  • অরাজকতা, নাশকতা সম্পর্কে সজাগ থাকা। সারা দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মগোষ্ঠীর পক্ষে দাঁড়ানো এবং আক্রমণকারীদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সারাদেশে ভাস্কর ভাঙার তদন্ত করা ও এমন হীনকার্যকলাপ প্রতিরোধ করবার কর্ম প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে দেশে শিল্পী ও শিল্পীসংগঠনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা।
  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে একটা স্মারক গড়ার প্রস্তাব করা যেতে পারে যেখানে শহীদদের নাম লিপিবদ্ধ থাকবে। এই শিল্পকর্মের নাম হতে পারে ন্যায়ের দেয়াল/ইনসাফের দেয়াল। যার এক্সটেনশন বিভিন্ন জেলায় থাকতে হবে।
  • একটি সংস্কৃতি কাউন্সিল গঠন করে শিল্পকলা, আলোকচিত্রশিল্প, নাট্যকলা, চলচ্চিত্রশিল্প সহ সকল মাধ্যমে নিবেদিত কর্মীদের ভবিষ্যত চর্চার ক্ষেত্র মজবুত করা এবং আদর্শগতভাবে উন্মুক্ত রাখার পাশাপাশি যুগোপযোগী ধারা ও সনাতন ধারাসমূহের বিকাশ নিশ্চিত করা।

news24bd.tv/DHL