কী লেখা আছে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগপত্রে?

ওবায়দুল হাসান

কী লেখা আছে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগপত্রে?

অনলাইন ডেস্ক

দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার রোষানলে পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সংস্কার আনা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

সেই পদত্যাগপত্রে ওবায়দুল হাসান লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্তা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্টগুলো, রেকর্ড রুমসমূহ রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।

এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতিসহ অন্যদের পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে বিপুল শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হয়ে প্রধান বিচারপতিসহ অন্যদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার ছয়াশী (হাটনাইয়া) গ্রামে ওবায়দুল হাসানের জন্ম। তার বাবা আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং গণপরিষদের সদস্য ছিলেন।

তার মায়ের নাম বেগম হোসনে আরা হোসাইন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর আইনে লেখাপড়া করেন ওবায়দুল হাসান। এলএলবি শেষ করে ১৯৮৬ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের তালিকাভুক্ত হন।

পরে ১৯৮৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ওবায়দুল হাসান। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালের ৩০ জুন অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে যোগ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। নিয়ম অনুযায়ী, দুই বছর পর তার নিয়োগ স্থায়ী হয়।

আরও পড়ুন: ফুলকোর্ট সভা কেন ডাকা হয়েছিল প্রশ্নে যা বললেন প্রধান বিচারপতি

হাইকোর্টে দায়িত্ব পালনকালেই ২০১২ সালের ২৩ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে যোগ দেন দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময়ে ট্রাইব্যুনাল থেকে ১১টি যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় আসে। তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।

news24bd.tv/SC