পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেন তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ মুসলমানের ওপর রোজা ফরজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মুসলমানের জন্য এই আয়াত দলিল। আল্লাহ সম্বোধন করেছেন, হে মুমিনরা!। এই সম্বোধনের পেছনে বিশেষ প্রজ্ঞা ও রহস্য আছে। কেননা রোজা এমন বিষয় যা মানুষের জন্য কষ্টকর ও কঠিন। এজন্য সত্সাহসের প্রয়োজন হয়। এজন্য রোজা ভিত রাখা হয়েছে ঈমানের ওপর। বলা হয়েছে, তোমরা যারা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছ, আল্লাহর সব কথা মান্য করার অঙ্গীকার করেছ, ইসলামের গণ্ডিতে প্রবেশ করেছ, নিজেকে আল্লাহর হাতে ন্যস্ত করেছ তাদের জন্য এই নির্দেশ। এখানে বিবেচ্য নয় যে তাতে সেটা ভালো লাগবে কি না, তাতে পার্থিব কল্যাণ আছে কি না, তা সহজ হোক না...
মাহে রমজানের সার্বজনীন শিক্ষা
সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)

বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে আসাকির (রহ.)
মাইমুনা আক্তার

ইবনে আসাকির একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও মুহাদ্দিস। তার নাম ছিল মূলত আলী। উপনাম আবুল কাছিম। তিনি ইবনে আসাকির নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। পিতা হাসান ইবনে হিবাতুল্লাহ। বুদ্ধি, বিচক্ষণতা, মেধা, স্মৃতিশক্তিতে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। তার জন্ম ও মৃত্যু দামেস্কে। জন্মগ্রহণ করেন ৪৯৯ হিজরির মুহাররম মাসের শুরুতে। ইন্তেকাল করেন ৫৭১ হিজরির রজব মাসে। তার পিতা হাসান ইবনে হিবাতুল্লাহ একজন ন্যায়পরায়ণ, নেককার, ইল্ম ও আলেমপ্রিয়, দ্বীন-ধর্ম ও ফিকহি মাসাইলের প্রতি অধিক যত্নশীল ব্যক্তি। এমন সৌভাগ্যবান পিতার পরশে ইবনে আসাকির বেড়ে উঠেন দ্বীনি ইলমের প্রবল আগ্রহ নিয়ে। দামেস্ক ও তার বাহিরে অনেক দেশ ও অঞ্চল ঘুরে বেড়ান ইলমে দ্বীনের তৃষ্ণাতুর হয়ে। জগদ্বিখ্যাত শাইখ ও বিজ্ঞজন থেকে ইলম অর্জন করেন। আল্লামা জাহাবীর বর্ণনানুযায়ী তার উস্তাদের সংখ্যা দেড় হাজারেরও বেশি। প্রথমে তিনি...
যেসব আমলে রোজা পূর্ণতা পায়
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

রহমত, মাগফিরাত ও নামাজের মাস পবিত্র মাহে রমজান। প্রতিটি মুমিনের উচিত, এ মাসের ইবাদতকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া। রোজার মহিমা ক্ষুণ্নকারী সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা। সর্বদা আল্লাহর সাহায্য চাওয়া। রোজাকে পরিপূর্ণ অর্থবহ করে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করা। নিম্নে রোজাকে পরিপূর্ণ ও অর্থবহ করে তোলার কিছু আমল তুলে ধরা হলো; সাহরি খাওয়া: পবিত্র রমজানে সাহরি খাওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মহান আল্লাহ অফুরন্ত বরকত রেখেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা সাহরি খাও, কারণ এতে বরকত রয়েছে। (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩) তা ছাড়া সাহরি খাওয়ার মধ্যে দিনের বেলা রোজা রাখা আরেকটু সহজ হয়। তাই নবীজি (সা.) বলেছেন, তোমরা সাহরি খাওয়ার মাধ্যমে দিনের রোজা এবং দিনে বিশ্রামের মাধ্যমে রাতের নামাজের জন্য সাহায্য নাও। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৯৩) যতটা সম্ভব সাহরি দেরিতে করা উত্তম, যাতে ক্ষুধা ও তৃষ্ণা...
যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায়, পরবর্তীতে যা করণীয়
অনলাইন ডেস্ক

রমজানের রোজা রাখা ফরজ। আর এ রোজা রাখার নির্ধারিত কিছু শর্ত ও রোকন রয়েছে। এসব শর্ত ও রোকন পাওয়া না গেলে রোজা ভেঙে যায় এবং তা বাতিল বলে গণ্য হয়। শরিয়ত অনুমোদিত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তির জন্য রোজা না রাখা কবিরা গুনাহ। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি কোনো কারণ ছাড়া বা রোগ ছাড়া রমজান মাসের একটি রোজা ভেঙে ফেলে, তার পুরো জীবনের রোজা দিয়েও এর ক্ষতিপূরণ হবে না। যদিও সে জীবনভর রোজা রাখে। (তিরমিজি, হাদিস: ৭২৩) যেসব কারণে রোজা ভেঙে যায় এবং তার প্রতিবিধান হিসেবে কাজা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হয়; তা হলো, স্ত্রী সহবাস ও ইচ্ছাকৃত পানাহার। কেউ যদি স্বেচ্ছায় রমজান মাসের দিনের বেলা স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে অথবা পানাহার করে তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। তার প্রতিবিধান হিসেবে রোজার কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হবে। ওষুধ ও ধূমপান পানাহারের...