সাবেক সচিব শাহ কামাল ও বিএসএমএমইউর সাবেক ভিসির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

শাহ কামাল শাহ কামাল ও মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

সাবেক সচিব শাহ কামাল ও বিএসএমএমইউর সাবেক ভিসির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ চারজনের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুদকের কমিশন সভায় তাঁদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।  

বাকি দুজন হলেন শারফুদ্দিন আহমেদের পিএস ডা. রাসেল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়) আরজিনা খাতুন।

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমী বলেন, সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বিরুদ্ধে চাকরি জীবনে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ, ঘুষ ও নিয়োগ–বাণিজ্যের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য প্রাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের নির্দেশে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, শাহ কামাল ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। এ দায়িত্বে থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে বদলি, কেনাকাটা, উন্নয়নকাজসহ বিভিন্ন উৎস থেকে অবৈধ অর্থ গ্রহণের অভিযোগ ছিল।

এর আগে গত শুক্রবার সাবেক এই সিনিয়র সচিবের মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি ১ লাখ টাকা এবং ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে ডিএমপি।

এর পরদিন শনিবার রাতে মহাখালী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং তাঁর পিএস ডা. রাসেলের অভিযোগের বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, ‘তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়োগ–বাণিজ্য করে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ আদায়, যোগ্যতার ঘাটতি পদোন্নতি, নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ প্রদানের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কমিশন তাঁদের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’

এদিন কমিশন সভায় ছাগল–কাণ্ডে আলোচিত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়) আরজিনা খাতুনের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এনবিআরের এই কর্মকর্তা।

news24bd.tv/আইএএম