পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ পরকালে জবাবদিহির চিন্তা চিরজাগ্রত রাখার তাগিদ দিয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক আগামীকালের জন্য সে কী অগ্রিম পাঠিয়েছে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো; তোমরা যা কোরো আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত। (সুরা হাশর, আয়াত : ১৮) এ বিষয়ে হাদিসেও মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। রাসলুল্লাহ (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মানুষ আল্লাহর সামনে এক পা অগ্রসর হতে পারবে না। তা হলো : জীবন কোথায় নিঃশেষ করেছ?, যৌবন কোথায় ব্যয় করেছ?, সম্পদ কোথা থেকে অর্জন করেছ? তা কোথায় ব্যয় করেছ? যা জেনেছ তার কতটা আমল করেছ? (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪১৬) মহান আল্লাহর কাছে মানুষের কোন কিছু গোপন থাকে না। তিনি পৃথিবীর সবকিছুর সদা খবর রাখেন। তাঁর অজ্ঞাতে কোন গাছের পাতাও পতিত হয় না। আল্লাহ বলেন, আল্লাহর নিকটে জমিন ও আসমানের কোনো...
কিয়ামতের দিন যে ৫ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে
আহমাদ মুহাম্মাদ
পবিত্র দিন শুক্রবার যেভাবে কাটানো উচিৎ
আহমাদ আরিফুল ইসলাম
আমরা প্রায়শই আমাদের দৈনন্দিন কাজ এবং সময়সীমার মধ্যে এতটাই জড়িয়ে যাই যে শুক্রবারের পবিত্রতাকে অবহেলা করি। এছাড়াও আসন্ন সপ্তাহান্তের উত্তেজনায় মেতে থাকি, ফলে শুক্রবারের বরকতপূর্ণ সময়টিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে ভুলে যাই। শুক্রবার বা জুমার দিন হলো আল্লাহ তাআলার প্রিয়তম দিন, যা অসংখ্য ফজিলত এবং বরকতে পূর্ণ। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জুমার দিন শুরু হয় বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর এবং শেষ হয় শুক্রবার মাগরিবের সময়। তাই মুসলমানদের উচিত এই দিনের ইবাদত আগের রাত থেকেই শুরু করা। জুমার দিনের গুরুত্ব রাসুল (সা.)-এর নিম্নোক্ত বাণীতে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে: সবচেয়ে উত্তম দিন যেদিন সূর্য উদিত হয় তা হলো শুক্রবার। এই দিন আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিন তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন এবং এই দিন তিনি তা থেকে বের হয়ে আসেন। এছাড়া, কেয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে। (মুসলিম)...
অপবিত্র মনে হলেও যেসব জিনিস অপবিত্র নয়
হাদি-উল-ইসলাম
ইসলামের সব ধরনের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। ইসলামী শরিয়তে কিছু জিনিস হালাল এবং কিছু কিছু জিনিস হারাম করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে : যারা প্রেরিত উম্মি নবীকে অনুসরণ করবেযা তাদের কাছে রক্ষিত তাওরাত ও ইনজিলে তারা লিখিত পাবে। সে (উম্মি নবী) তাদের সত্কাজের নির্দেশ দেয়, অসত্ কাজ করতে নিষেধ করে, পবিত্র বস্তু তাদের জন্য হালাল করে, অপবিত্র বস্তু তাদের জন্য নিষিদ্ধ করে, তাদের থেকে গুরুভার সরিয়ে দেয় আর সেই শৃঙ্খল (হালাল-হারামের বানোয়াট বিধি-নিষেধ) যাতে ছিল তারা বন্দী। কাজেই যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান প্রদর্শন করে, তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করে আর তার উপর অবতীর্ণ আলোর অনুসরণ করে, তারাই হচ্ছে সফলকাম। (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭) নিম্নে কিছু অপবিত্র বস্তুর তালিকা উল্লেখ করা হলো ১. কুকুর ও শূকরের উচ্ছিষ্ট, ২. রক্ত, ৩. সর্বপ্রকার প্রাণীর মলমূত্র,...
কোন সময়ের স্বপ্ন সত্যি হয়?
আলেমা হাবিবা আক্তার
মানুষ মাত্রই স্বপ্ন দেখে। মানুষ ঘুমের ভেতর যেসব স্বপ্ন দেখে কিছু সত্য হয় আবার কিছু মিথ্যা। আবার কিছু মানুষের স্বপ্ন বেশি সত্য হয় এবং কিছু মানুষের স্বপ্ন বেশির ভাগই মিথ্যা হয়। প্রশ্ন হলো, কার স্বপ্ন বেশি সত্য হয় এবং কোন সময়ের স্বপ্ন সত্যি হয়। স্বপ্ন তাত্পর্যহীন নয় ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের স্বপ্ন তাত্পর্যহীন নয়, বরং মুমিনের স্বপ্ন বিশেষ গুরুত্ব রাখে। রাসুলুল্লাহ (সা.) সত্য স্বপ্নকে নবুয়াতের অংশ বলেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কেবল মুবাশশিরাত (সুসংবাদ) ছাড়া নবুওয়াতের আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সাহাবিরা প্রশ্ন করেন, মুবাশশিরাত কী? তিনি বলেন : ভালো স্বপ্ন। (বুখারি, হাদিস : ৬৯৯০) অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, মুমিনের স্বপ্ন ৪৬ ভাগের এক ভাগের সমান। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৫০১৮) সব স্বপ্ন সত্য নয় ভালো স্বপ্ন যেমন আল্লাহর পক্ষ থেকে,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর