বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রায় এক-দশমাংশ পার্বত্য অঞ্চলের প্রশাসনিক জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি। নৃতাত্ত্বিক, ভৌগোলিক পর্যটনে জেলাগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালিরা ব্যবসায়-বাণিজ্য, জীবিকায়ানের স্বার্থে মোঘল ও ব্রিটিশ আমল হতে এখানে বসবাস করছেন। পার্বত্যত্রিপুরা ও আরাকানিদের মধ্যেই এ অঞ্চলের কর্তৃত্ব আবর্তীত হতো। ৯৫৩ সালে আরাকানের রাজা এ অঞ্চল অধিকার করেন। সুলতান ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ (১৩৩৮- ৪৯) চট্টগ্রাম ও পার্বত্য অঞ্চলে মুসলিম আধিপত্য নিশ্চিত করেন। ১৫৫০ সালে প্রকাশিত বঙ্গের প্রথম মানচিত্রে অঞ্চলটির উল্লেখ আছে। মোঘলরা ১৬৬৬- ১৭৬০ পর্যন্ত অঞ্চলটি সুবা বাংলার অধীনে শাসন করেন। ১৭৬০ সালে অঞ্চলটির কর্তৃত্ব নেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস নামে ব্রিটিশরা ১৮৬০ সালে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৭ সালে...
পার্বত্য বাংলায় ইসলাম
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
পরকালে শাফায়াত লাভের কিছু আমল
আহমাদ ইজাজ
কোরআন ও হাদিস থেকে জানা যায়, নেক আমল মানুষের পরকালের পাথেয়। পরকালে আমলের পূর্ণ প্রতিদান পাওয়া যাবে। কিন্তু কিছু বিশেষ আমল এমন আছে, যেগুলো পরকালে ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে। সেগুলো হলো রোজা ও কোরআন সুপারিশ করবে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, রোজা ও কোরআন বান্দার জন্য শাফাআত করবে। রোজা বলবে, হে রব! আমি তাকে দিনের বেলা খাবার গ্রহণ করতে ও প্রবৃত্তির তাড়না মিটাতে বাঁধা দিয়েছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার শাফাআত কবুল করুন। কোরআন বলবে, হে রব! আমি তাকে রাতের বেলা ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। (মুসতাদারাক হাকিম, হাদিস : ২০৩৬, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৩৯) প্রতিদিন সুরা মুলক পাঠ রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআনে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট এমন একটি সুরা আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য...
সাহাবিরা নবীজিকে যেভাবে ভালোবাসতেন
মাওলানা হাফেজ কাজী মারুফ বিল্লাহ
ঈমানের মূল হল নবী প্রেম। যে যত বেশী নবী প্রেমে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছে, নবী প্রেমে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছে, সে তত বেশী আল্লাহকে পেয়েছে। সাহাবিদের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সব সাহাবির মনেই নবিজির প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা ছিল। ছিল নবিজিকে দেখার ব্যকুলতা। তাফসিরে মাজহারিতে মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসায়ির সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রবিয়া বিন কাব আসলামি (রা.)-কে একদিন রাসুল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, হে রবিয়া! তোমার কোনো ইচ্ছে থাকলে আমাকে বলো। আমি দোয়া করব। তুমি যা চাইবে তাই পাবো। রবিয়া বলল, ওগো নবি আমার! আমি আপনার পাগল। আপনাকে এক মুহূর্ত না দেখে থাকতে পারি না। আপনি দোয়া করেন আমি যেন জান্নাতেও আপনার কদমে নিজেকে উত্সর্গ করতে পারি। নবীজি বলেন, হে রবিয়া ভেবে বলো এটাই কি তোমার চাওয়া? রবিয়া বলল, জি হুজুর! এরচেয়ে শ্রেষ্ঠ কোনো চাওয়া হতে পারে না। নবিজি মুচকি হেসে বললেন, তাহলে বেশি বেশি...
কবর পরিচর্যায় করণীয় ও বর্জনীয়
মুফতি আতাউর রহমান
ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় কবর একটি অপরিহার্য অংশ। কোনো মুমিন মারা গেলে তাঁকে কবরস্থ করা হয়। ইসলামী শরিয়তে কবরের মর্যাদা স্বীকৃত। ইসলাম কবরের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন এবং তা পদদলিত করা নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সা.) কবরের ওপর বসতেও নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, তোমাদের জন্য কবরের ওপর বসার চেয়ে জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর বসা এবং অঙ্গারে কাপড় পুড়ে তা চামড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া উত্তম। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯৭১) কবর সম্মানজনক স্থান কবর মুসলমানের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ। তাই কবরের প্রতি সম্মান রক্ষা করা মুমিনের দায়িত্ব। মহান আল্লাহ বলেন, অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন। এরপর যখন ইচ্ছা তিনি তাকে পুনর্জীবিত করবেন। (সুরা আবাসা, আয়াত : ২১-২২) এছাড়াও একাধিক হাদিসে কবরের ওপর বাসা, জুতা পায়ে কবরের ওপর হাঁটা ইত্যাদি কাজ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। যার দ্বারা কবরের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত