মিক্সড মার্শাল আর্ট নিষিদ্ধ করল আফগানিস্তান

সংগৃহীত ছবি

মিক্সড মার্শাল আর্ট নিষিদ্ধ করল আফগানিস্তান

অনলাইন ডেস্ক

মিক্সড মার্শাল আর্ট (এমএমএ) নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তান। ইসলামিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় দাবি করে এই অনুশীলনকে নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, পাপ প্রতিরোধ এবং পুণ্য প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এমএমএ খেলা নিষিদ্ধের আদেশটি পাস করেছে আফগানিস্তান।

দেশটির শাসকগোষ্ঠী তালেবানের এক ক্রীড়া কর্মকর্তা স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম টোলো নিউজকে বলেছেন, এমএমএ খুব হিংস্র খেলা এবং এটি মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি করে।

 

বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তালেবানের শারীরিক শিক্ষা এবং ক্রীড়া বিষয়ক মহাসচিব বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি, খেলাটি শরিয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাযুক্ত এবং এর অনেক দিক রয়েছে যা ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’ 

মিক্সড মার্শাল আর্ট আফগানিস্তানের তরুণদের মাঝে একটি জনপ্রিয় খেলা। ২০২১ সালে তালেবান গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার আগের দুই দশকে এই খেলাটি আফগানিস্তানে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

২০০৮ সালে দেশটিতে মিক্সড মার্শাল আর্ট ফেডারেশনও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আফগানিস্তান ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ (এএফসি) এবং ট্রুলি গ্র্যান্ড ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপে (টিজিএফসি) দেশটির কয়েক ডজন খেলোয়াড় লড়াই করেছে।  

তালেবানেরা ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০২১ সালে ‘মুখে ঘুষি মারা’ নিষিদ্ধ আইন প্রবর্তন করে। এ আইন প্রবর্তন করার পরই মূলত চাপে পড়েছিল মিক্সড মার্শাল আর্ট। শুধু তাই নয় ওই সময় মিক্সড মার্শাল আর্ট খেলাটির কিছু খেলোয়াড় তালেবান কর্মকর্তাদের কাছ থেকে হুমকি ও হয়রানির শিকারও হয়েছিলেন।  

তবে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই খেলাটির বিষয়ে নমনীয় অবস্থানও দেখিয়েছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালে আফগানিস্তানের খেলোয়াড় আহমাদ ওয়ালি হোতাক একটি আসন্ন আন্তর্জাতিক লড়াইয়ের ঘোষণা দিতে রাজধানী কাবুলে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ওই খেলায় তিনি পরে বিজয়ী হয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয় আফগানিস্তানে ফিরে যাওয়ার পর সরকারি ব্যক্তিত্বরা তাঁর সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন।  

তবে ইতিমধ্যে মিক্সড মার্শাল আর্ট খেলাটির সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ আফগান ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

 

news24bd.tv/এসএম