৮ ডিসেম্বর ১৯১৭। ফিলিস্তিনে ৪০১ বছরের উসমানীয় শাসনের অবসান হয়। পবিত্র এই ভূমির শাসন চলে যায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হাতে। শুরু হয় ইহুদি রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার নীলনকশা। পৃথিবীর নানাপ্রান্ত থেকে ইহুদিরা সমবেত হতে থাকে ফিলিস্তিন ভূমিতে। ব্রিটিশ শাসকদের ছত্রছায়ায় তারা নানা কৌশলে ফিলিস্তিনি ভূমি কব্জা করতে থাকে। ফিলিস্তিনিদের কাছে বিষয়টি ক্রমেই তাদের বিষয়টি স্পষ্ট হয় এবং তারা নানাভাবে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৩১ সালে জেরুজালেমে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইসলামিক কংগ্রেস। যাতে সারা বিশ্বের মুসলিম বুদ্ধিজীবী ও নেতারা অংশগ্রহণ করে। এটা ছিল ফিলিস্তিন রক্ষার প্রথম বৈশ্বিক আন্দোলন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিন সমস্যাটি আরব ও মুসলিম বিশ্বের সংকট হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।ঐতিহাসিক এই...
ফিলিস্তিন রক্ষায় প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
আলেমরা আল্লাহর রাজকীয় মেহমান
মাওলানা হাফেজ আল আমিন সরকার
জগতের শ্রেষ্ঠসন্তান আলেম সমাজ। সাধারণ মানুষ আলেমদের অনুকরণ-অনুসরণকেই আখেরাতের মুক্তির পাথেয় মনে করে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে কোরআন-সুন্না হয় এত এত গুরুত্ব এসেছে যে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলেমদের প্রতি মহব্বত রাখা সৌভাগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছে। আলেমদের মর্যাদা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, শুনে রাখো! যে ব্যক্তি জ্ঞান সংগ্রহে পথ চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। কোনো জ্ঞানী যখন জমিনে পা রাখে ফেরেশতারা তার সম্মানে নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। জ্ঞানীর জন্য প্রতিটি প্রাণী এমনকি সাগরের মাছ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করে। লাখো তারার চেয়ে চাঁদের আলো যেমন বেশি উজ্জ্বল, তেমনি ইবাদতে মগ্ন হাজারো ব্যক্তির চেয়ে এজন্য জ্ঞানী আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দামি। (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ) আলেমদের চলার পথে ফেরেশতারা পাখা বিছিয়ে...
মদিনা সনদ ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা
ড. ইকবাল কবীর মোহন
মদিনা রাষ্ট্রকে সুখ, শান্তি ও নিরাপদ রাখার জন্য মহানবী (সা.) সব ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের সমন্বয়ে একটি ঐতিহাসিক সনদ রচনা করেছিলেন। ওই সনদে যে উম্মাহ কথাটি বলা হয়েছে তা ছিল সব ধর্ম-বর্ণের সমন্বয়ে রচিত উম্মাহ। মদিনা সনদের ২৬ অনুচ্ছেদে মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, বনু আউফের ইহুদিরা মুমিনদের সঙ্গে একই উম্মাহ। ইহুদিদের জন্য তাদের ধর্ম আর মুসলমানদের জন্য তাদের ধর্ম, তাদের মাওয়ালি বা আশ্রিত এবং তারা নিজেরাও। অবশ্য যে অন্যায় বা অপরাধ করবে সে নিজের এবং তার পরিবার-পরিজনেরই ক্ষতি করবে। ধর্মীয় ও গোত্রীয় এই বিভাজন ও বিরোধের অভিশাপ থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল ও নিরাপদ রাখার জন্য কোরআনের নির্দেশনা হলোতোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য এবং আমার ধর্ম আমার। (সুরা আল-কাফিরুন : ৭) মদিনা সনদের মাধ্যমে মহানবী (সা.) সেই আদর্শ মুসলিম রাষ্ট্রে যে অভাবনীয় সুখ ও শান্তির দুয়ার খুলে দিয়েছিল তার...
কেয়ামতের আগে মরুভূমিতে যে আলামত প্রকাশ পাবে
অনলাইন ডেস্ক
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগেই আল্লাহ তায়ালা কোরআনের সুরা কামারের প্রথম আয়াতে বলেছেন, কেয়ামত সন্নিকটে। কোরআনে আরও বর্ণিত হয়েছে, তারা শুধু এই অপেক্ষাই করছে যে, কেয়ামত অকস্মাৎ তাদের কাছে এসে পড়ুক। বস্তুত কেয়ামতের লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে। সুতরাং কেয়ামত এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে? -(সুরা মুহাম্মদ: ১৮) নবীজি সা. কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ মুহুর্তের বেশ কিছু আলামতের কথা বলেছেন। এই আলামতগুলোর মধ্যে সর্বশেষ ও ভয়াবহ হলো দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটা। দাজ্জাল কেয়ামতের ৪০ দিন আগে পৃথিবীতে আসবে এবং মানুষকে বিপথগামী করতে সবধরনের চেষ্টা চালাবে। দাজ্জালের আবির্ভাবের বিষয়টি কোরআন-হাদিস সমর্থিত। সে মিথ্যা জান্নাত-জাহান্নামের চিত্র দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। হাদিসের বর্ণনামতে, দ্রুতগামী বাতাস বৃষ্টিকে যেভাবে চালিয়ে নেয়,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর