নানামুখী সংকটে লক্ষ্মীপুর আশ্রয়কেন্দ্রের বানভাসিরা 

সংগৃহীত ছবি

নানামুখী সংকটে লক্ষ্মীপুর আশ্রয়কেন্দ্রের বানভাসিরা 

অনলাইন ডেস্ক

ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়ে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের ১১ জেলার মানুষের জীবন। এখন পর্যন্ত বন্যায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে নানামুখী সংকটে রয়েছেন লক্ষ্মীপুরে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া বানভাসিরা৷

লক্ষ্মীপুরে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া মানুষদের জন্য স্থানীয়রা রান্নার ব্যবস্থা করলেও শুকনো খাবারই ভরসা বেশিরভাগ সময়৷ সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে নানান ধরণের রোগ বালাই৷ এতে করে সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং শিশুরা।

এই অবস্থায় দ্রুত নিজের ভিটেমাটিতে ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা।

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সহায়তা চান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষ৷ 


জন্ম থেকেই জটিল রোগে আক্রান্ত বানভাসি আরমান। সেইসঙ্গে বন্যায় যোগ হয়েছে পানিবাহিত অসুখ। আশ্রয়কেন্দ্রে বসে ছেলেদ্র স্বাস্থ্যের চিন্তায় অস্থির হয়ে আছেন মা শাহিনা বেগম।

নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুমি বেগমের চোখেমুখেও আতঙ্ক।

বানের জলে হারিয়েছেন মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকু। এই মুহুর্তে প্রয়োজন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা- নির্মম পরিহাস তিনবেলা খাবার জোটানোই এখন দায় তার জন্য।

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পশ্চিম চর কলাকোপা হাজিপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে এমন ৫ শতাধিক মানুষের বাস। এদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু৷ 
আশ্রয়কেন্দ্রের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস আর পুষ্টিকর খাবারের সংকটের সঙ্গে জেকে বসেছে নানান রোগ বালাই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা দিচ্ছেন প্রাথমিক চিকিৎসা।

অন্যদিকে দিনরাত হাড়ভাঙা খাটুনিতে যারা সংসারের হাল টানেন, শেষ সম্বল হারানোর চিন্তায় দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন তারা।  

লক্ষ্মীপুর জেলাজুড়ে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত ৪৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রের চিত্রই প্রায় একইরকম। এই দুর্দশা থেকে বেরিয়ে দ্রুত নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরতে চান বানভাসি এসব মানুষ। কিন্তু নিজ বাড়িতে ফেরাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে তাদের জন্য।  

news24bd.tv/এসএম