তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করা প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য কর্তব্য। ইসলামের মূল ও মৌলিক স্তম্ভ কালেমার সারমর্ম হচ্ছে তাওহিদ বা একত্ববাদ। ইসলাম মানুষকে সর্বপ্রথম তাওহিদের প্রতি আহ্বান জানায়। মুমিনের জীবনধারা নিয়ন্ত্রিত হয় একত্ববাদের শিক্ষার আলোকে। আল্লাহর সঙ্গে বিশ্বের সর্বপ্রথম সম্পর্কই তাওহিদ। মহান আল্লাহ ইহলোকিক ও পারলৌকিক জগতে যাবতীয় বিষয়ের কেন্দ্রস্থল। পার্থিব-অপার্থিব জগতে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হবে, সব সৃষ্টির অধিকারী হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও আধ্যাত্মিক জীবন থেকে তার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবন পর্যন্ত সর্বত্র গড়ে উঠে এক পূর্ণ সাযুজ্য। জীবনের সর্বক্ষেত্রেই মানুষ হয় এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর বান্দা, অসংখ্য প্রভুর গোলামির দাবি অগ্রাহ্য করে তার উত্তরণ ঘটে এক...
আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ

ফিকাহ সংকলনে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর কর্মপন্থা
উম্মে আহমাদ ফারজানা

ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর ওস্তাদ ছিলেন ইমাম হাম্মাদ (রহ.)। তাঁর ইন্তেকালের পর ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর অন্তরে ফিকাহ সংকলনের চিন্তা উদিত হয়। ততদিনে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিসীমা সিন্ধু থেকে সেপন পর্যন্ত, আর আফ্রিকা থেকে এশিয়া মাইনর পর্যন্ত। সঙ্গত কারণে ইবাদত-আমল, সামাজিকতা ও লেনদেনের ক্ষেত্রে দিন দিন এত সমস্যার উদ্ভব হয়েছিল যে একটি বিন্যস্ত আইন বিধি ছাড়া শুধু বর্ণনার ভিভিতে জনসময়ে পর্যালোচনা করে সমাধানের ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না। তাই ইমাম আবু হানিফা (রহ) এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসেন। তিনি ফিকাহ সংকলনের জন্য ৪০ জন তত্কালীন বিখ্যাত ইসলামী আইনজ্ঞের সমন্বয়ে বোর্ড গঠন করেন। এই ফিকাহ মজলিসে প্রশ্নের আলোকে কোনো মাসআলা উত্থাপন করে সদস্যদের প্রত্যেককে সে বিষয়ে মতামত পেশ করতে বলতেন এবং আলোচ্য বিষয়ে প্রত্যেকের অভিমত পর্যালোচনা করতেন। সদস্যবর্গ তাদের জ্ঞানগর্ব...
বদনজরের নেতিবাচক প্রভাব
আবু তাশফিন

যেসব জিনিস মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু, তার মধ্যে একটি হলো বদনজর। বদনজর সত্যিই মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতদের বদনজরের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো। কেননা বদনজর সত্য বা বাস্তব ব্যাপার। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৫০৮) বদনজর এতটাই মারাত্মক ক্ষতিকারক যে নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো জিনিস যদি ভাগ্যকে অতিক্রম করতে পারত, তাহলে বদনজরই তা অতিক্রম করতে পারত। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৫৯) এ জন্য আমাদের উচিত বদনজর থেকে নিরাপদে থাকতে সর্বদা মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। নিজের ও সন্তানদের ওপর যাতে কারো বদনজর না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং অন্য কারো সম্পদে যাতে নিজের বদনজর না পড়ে, সেদিকেও সতর্ক থাকা। কারো কোনো অর্জন দেখলে তাতে হিংসা না করে তার জন্য বরকতের দোয়া করা। কারণ...
কুফা নগরীর ইন্তেকালকারী সর্বশেষ ফকিহ সাহাবি
মাইমুনা আক্তার

তাঁর নাম আবদুল্লাহ। উপনাম আবু মুয়াবিয়া/ আবু মুহাম্মদ/আবু ইবরাহিম। পিতা আবু আওফা আলকামা ইবনে খালিদ ইবনে হারিস। তিনি ছিলেন ফকিহ ও বয়স্ক সাহাবি। পিতা-পুত্র উভয়েই সাহাবি ছিলেন। হুদাইবিয়ার বাইআতে রিজওয়ানে অংশগ্রহণকারীদের অন্যতম। কুফায় ইন্তেকালকারী সর্বশেষ সাহাবি। হাদিস : তাঁর থেকে বেশ কিছু হাদিস বর্ণিত আছে। তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন ইবরাহিম ইবনে মুসলিম, ইবরাহিম ইবনে আবদুর রহমান সাকসাকি, ইসমাইল ইবনে আবু খালিদ, আতা ইবনে সায়িব, সুলাইমান আল-আমাশ, আবু ইসহাক আশ-শাইবানি, তালহা ইবনে মুসাররিফ, আমর ইবনে মুররাহ, আবু ইয়াফুর (রহ.) প্রমুখ। রাসুল (সা.)-এর দোয়া : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.)-এর জন্য রাসুল (সা.) বিশেষ দোয়া করেছিলেন। তিনি যখন তাঁর পিতা আবু আওফার জাকাত নিয়ে রাসুল (সা.)-এর খেদমতে উপস্থিত হন, তখন রাসুল (সা.) তাঁর জন্য এ বলে দোয়া করেন, হে আল্লাহ! আবু আওফার পরিবারের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর