শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেক মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতনরা দেন গা ঢাকা। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানান, কেউ কেউ আছেন সেনা হেফাজতে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার হন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি মূলত ছিলেন সেনাবাহিনীর হেফাজতেই।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুদিদোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে কোনও কথা বলেননি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আদালতের এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন তিনি। এসময় পুলিশের হেলমেট পরিধেয় অবস্থায় তাকে দেখা যায়।
এর আগে, গতকাল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাতে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আইজিপির দায়িত্বে থাকা মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
news24bd.tv/SHS
