পুলিশকে জুলাই হত্যাকাণ্ডের তথ্য দিয়েছেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ

পুলিশকে জুলাই হত্যাকাণ্ডের তথ্য দিয়েছেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপিকর্মী হৃদয় আহম্মেদ হত্যাকাণ্ডের কিছু তথ্য ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালের কাছে থেকে পেয়েছে পুলিশ। তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাদেক এ তথ্য উল্লেখ করেছেন।  

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে নিবিড়ভাবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির কর্মী হৃদয় আহম্মেদ মারা যায়। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট মাদারীপর জেলার শিবচর উপজেলার বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম মৃত হৃদয় আহম্মেদ (১৬) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী একজন বাংলাদেশী নাগরিক। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্র আন্দোলনের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বাদী ও হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সহিত উক্ত ভিকটিম মৃত হৃদয় আহম্মেদ বাড্ডা থানাধীন ব্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অংশগ্রহন করে।  

আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এজাহার নামীয় অপরাপর আসামিসহ ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞাতনামা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠনের নেতাকর্মী বৈষম্য আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। তাদের গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী নিহত হয়, অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় ছটফট করতে থাকে।

আসামিরা আন্দোলন বিরোধী শ্লোগান দেয়।  

আসামিগণ এলোপাথারী গুলি করতে থাকায় বাদী আত্মরক্ষার্থে পাশের গলির এক বিল্ডিংয়ে ভিতরে ঢুকে আশ্রয় গ্রহন করেন। উক্ত বিল্ডিংয়ের ভিতরে থাকা অবস্থায় বাদী মুহুর্মুহু গুলির শব্দ ও লোকজনের চিৎকারের আওয়াজে ভীত সন্তস্থ হইয়া পড়ে। কিছু সময় পর গুলির আওয়াজ বন্ধ হলে বাদী বাহিরে এসে বাদীর সঙ্গীয় ভিকটিম মৃত হৃদয় আহম্মেদ'কে খুঁজতে থাকে।  

দীর্ঘ সময় খুঁজাখুঁজি করে না পাওয়ার একপর্যায়ে লোক মুখে জানতে পারে আসামিদের গুলিতে ও আক্রমনে বহু লোক হতাহত হয়েছেন এবং কিছু লোকদের আফতাবনগর মেইন রোডে অবস্থিত নাগরিক স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। বাদী বিকাল ৪ টায় উক্ত হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিম হৃদয় আহম্মেদকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।  
 

news24bd.tv/এসএম