নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সদস্য সচিবকে হত্যাচেষ্টা, কাউন্সিলরসহ আসামি ২শ

হামলার শিকার বিএনপি নেতা

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সদস্য সচিবকে হত্যাচেষ্টা, কাউন্সিলরসহ আসামি ২শ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

আসামিরা হলেন- বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, নাসিকের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউসার আশা, সৌরভ, রাজিবসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ তিন রাস্তার মোড়ে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

বন্দরে বিএনপির একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার সময়ে নবীগঞ্জ ঘাটের অদূরে তিন রাস্তার মোড়ে হঠাৎ করেই শতাধিক যুবক মিলে লাঠিসোটা ও বাঁশ নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এতে অনেকে পালিয়ে গেলেও টিপু পালাতে পরেনি। পরে তাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়।

টিপুর পরনের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন মাসুদ রানা ও সেচ্ছাসেবক দলনেতা খায়রুল কবির মুন্না। তাদের মধ্যে মুন্না রক্তাক্ত জখম হন।

এদিকে হামলার সময়কার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা জানান, নবীগঞ্জ তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের অনুসারীরা গতিরোধ করে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠিসোটা ও বাঁশ দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। এতে আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুবদল নেতা মুন্না গুরুতর আহত হয়। মূলত হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর এ আক্রমণ হয়েছে।

এদিকে টিপুর ওপর হামলার ঘটনায় শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহরে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির বিবদমান দুটি পক্ষ। সকালে কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার নেতৃত্বে ও বিকেলে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

news24bd.tv/তৌহিদ