মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ‘কাওয়ালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে’ হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমিতে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও আয়োজকরা জানান, ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর অন্তবর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে কাওয়ালি সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কিন্তু ততক্ষণে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। বিষয়টি সমাধানের জন্যে দুইপক্ষের লোকজন নিয়ে বসেও কোনো ফলাফল আসেনি। পরে সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে ইখতিয়ার আহমাদ সাবিদ নামে আরেকজন আয়োজককে ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ খবর নিয়েছে।
এ ব্যাপারে আয়োজক আব্দুর রহিম বলেন, ‘যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে সম্পৃক্ত রয়েছে, তাদের নিয়েই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু কয়েকজন নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের কর্মী দাবি করে অনুষ্ঠানে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের তিনজন গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী রয়েছে। যারা সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের অনুষ্ঠান পণ্ড করে কর্মীদের জখম করেছে। আমরা এদের বিচার দাবি করছি। ’
তবে অভিযুক্ত জুবায়ের আহমেদ নাফিজ দাবি করেছেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, প্রথমে অনুষ্ঠান থামাতে আমাদের কয়েকজনের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের উপস্থিতিতে সমঝোতা হলে আমরা সবাই চলে আসি। পরে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে আমরা জানি না।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা অনুষ্ঠানস্থলে আসার আগেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আসার পরে আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদি আহতরা অভিযোগ দেয়, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেয়া হবে। ’
news24bd.tv/SHS