ভারতেই থাকা উচিত শেখ হাসিনার: রনিল বিক্রমাসিংহে

রনিল বিক্রমাসিংহে ও শেখ হাসিনা

ভারতেই থাকা উচিত শেখ হাসিনার: রনিল বিক্রমাসিংহে

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতেই থাকার পরামর্শ দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। ভারতীয় গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্টের নির্বাহী সম্পাদক পালকি শর্মাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত।

গত ৫ আগস্টের শুরুতে বাংলাদেশ ছেড়ে দেশটিতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তার ক্ষমতাচ্যুতির দাবিতে মাসব্যাপী আন্দোলন হয়েছিলো।

এর মাত্র সাত মাস আগে তিনি বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনে জয়ী হন।

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘অনেক নেতা তাদের দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে, যদি তিনি দেশের বাইরে থাকেন, তাকে বাইরে থাকতেই দিন। আমরা সবাই চাই, বাংলাদেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক।

ফার্স্টপোস্ট ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করা নিয়ে এখন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে আছেন নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস, তার কিছু উপদেষ্টা প্রকাশ্যে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর কথা বলেছেন।

ইস্যুটি বাংলাদেশে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাবের বৃদ্ধি দেখা গেছে। যখন বিক্রমাসিংহেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি এই সময় ভারত ও বাংলাদেশকে কী পরামর্শ দেবেন, তিনি বলেন, ‘প্রথমত, বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনতে হবে। প্রথমে জনগণকে আস্থা দিতে হবে। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। অনেক নেতা তাদের দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান।

তারা তখন বিদেশেই বসবাস করেন। এ বিষয়ে এমনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে...আমি অগ্রাধিকার দেব বাংলাদেশ যেন স্থিতিশীল থাকে। ’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘যদি শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকেন, তাকে বাইরেই থাকতে দিন। আমার মনে হয় স্থিতিশীলতা দ্রুত আসা উচিত। সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হতে পারে। আমরা সবাই চাই, বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক এবং জনগণ কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে, তা যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ’

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে যখন শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে জনগণের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, তখন বাংলাদেশের মতো অনুরূপ পরিস্থিতিতে বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হন একটি সমঝোতার ভিত্তিতে এবং অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ দেশের পথ প্রশস্ত করতে। আগামী শনিবার তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন।

news24bd.tv/SC