একবার ১৪০০ বছর আগের পৃথিবীর দিকে দৃষ্টি দিন। এ ক্ষেত্রে উঁচু উঁচু ভবন, স্বর্ণ-রৌপ্যের স্তূপ ও চাকচিক্যপূর্ণ পোশাকের বিষয়াদি বাদ দিন। এগুলো তো পুরনো ছবির অ্যালবাম ও প্রাণহীন জাদুঘরেও দেখা যায়, বরং এটা দেখুন যে তখন মনুষ্যত্ব জাগ্রত ছিল কি না? পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত, উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত লক্ষ করে দেখুন, কোথাও মনুষ্যত্বের স্পন্দন পাওয়া যায় কি না এবং তাতে প্রাণের সাড়া ছিল কি না? জীবনের সমুদ্রে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলত। মনুষ্যত্বের বনে বাঘ, চিতা, বকরি ও হরিণকে নির্বিচারে খেয়ে ফেলত, মন্দ লোকেরা ভালো মানুষের ওপর এবং নিম্ন প্রকৃতির লোকেরা সম্মানিত মানুষের ওপর, প্রবৃত্তি বিবেক-বুদ্ধির ওপর, পেটের তাড়না আত্মার দাবির ওপর প্রাধান্য লাভ করেছিল। কিন্তু এই অরাজক অবস্থার বিরুদ্ধে সমগ্র পৃথিবীতে কোনো প্রতিবাদ ছিল না, কোনো ক্ষোভ ছিল না। পুরো পৃথিবী যেন এক...
বিশ্বনবীর আগমনে বদলে যায় মানবসভ্যতা
সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)
আরবি ভাষার বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্য
আসআদ শাহীন
২০১২ সালে জাতিসংঘের সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক অন্যতম সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।আরবি কালজয়ী ভাষা। এ ভাষা স্থিতিশীল ও গতিশীল। মানব সভ্যতা-সংস্কৃতি প্রচার-প্রসার ও জ্ঞান-বিজ্ঞান সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আরবি ভাষার আছে বিশেষ ভূমিকা। নিম্নে সংক্ষেপে এ ভাষার কতিপয় বৈশষ্ট্যি তুলে ধরা হলো ১. আদি ভাষা প্রথম মানব আদম (আ.) পৃথিবীতে যখন আগমন করেন সে সময় তার ভাষা ছিল আরবি। ভাষাবিজ্ঞানীদের ভাষ্য মতে, পৃথিবীতে এ ভাষার চেয়ে সর্বাধিক প্রাচীন আর কোনো ভাষার সন্ধান পাওয়া যায় না। [আল মাযহার/আল্লামা সুয়ুতি (রহ.) খণ্ড ১ পৃষ্ঠা ২৮] ২. জান্নাতের ভাষা কোরআন ও হাদিসের ভাষা আরবি। এমনকি ইসলামের বেশির ভাগ কিতাব দখল করে আছে এ ভাষা। আর জান্নাতের ভাষাও হবে আরবি। সেজন্য এ ভাষাকে জান্নাতের ভাষা বলা হয়। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত,...
আরবি ভাষার গোড়ার কথা
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
পৃথিবীর প্রভাবশালী ভাষাসমূহের মধ্যে আরবি অন্যতম। আরবি ভাষার অতীত ইতিহাস খুবই চমকপ্রদ। কারণ মহান আল্লাহ কোরআনুল কারিমের জন্য আরবি ভাষা নির্বাচন করেছেন। আর কোরআনুল কারিম আল্লাহর কালাম যা অনন্তকাল থেকে লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, বরং এটা অতি সম্মানিত কোরআন, যা লাওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ। (সুরা বুরুজ, আয়াত : ২১-২২) বোঝা যায়, আরবি ভাষাও অনন্তকাল থেকে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া আরবি জান্নাতের ভাষা হওয়ার কারণে আদম (আ.) জান্নাতে থাকাকালীন স্বভাবতই আরবিতে কথাবার্তা বলেছেন। কাজেই সন্দেহাতীতভাবে আরবি অনন্তকালের ভাষা, প্রথম ভাষা এবং পৃথিবীর সৃষ্টির আগে থেকে চলে আসা ভাষা। তবে পৃথিবীতে প্রচলিত আরবি ভাষার ইতিহাস বর্ণনায় ভাষা বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে আরবি ভাষা সেমিটিক ভাষার পরিবর্তিতরূপ। কারণ, সেমিটিক ভাষাগুলোর মধ্যে আরবি মূল সেমেটিক ভাষার...
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরবি ভাষার গুরুত্ব
ড. মুহাম্মদ সাদিক হুসাইন
প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ২০২৪ সালে উদযাপিত আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে আরবি ভাষা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি উদ্ভাবন বাড়াতে হবে। আজ থেকে চার দশক পূর্বে ১৯৭৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভার ২৮তম অধিবেশনে আরবি ভাষাকে এর দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ইউনেস্কো সেই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস ঘোষণা করে। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর দাপ্তরিক ভাষা ছিল পাঁচটি। ইংরেজি, ফ্রেন্স, চীনা, রুশ ও স্প্যানিশ। বিশ্বের বহুল ব্যবহূত ও প্রাচীন ভাষাগুলোর অন্যতম আরবি। তারপরেও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরবি ভাষা ছিল অনেকটা উপেক্ষিত। জাতিসংঘসহ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর