মুসলিম নারীদের ক্ষেত্রে কোরআনিক আমল গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বেশি জরুরি। আল্লাহর এক মহা নেয়ামত সন্তান। সন্তানের জন্য মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করে। সব মানুষই চায় তার সন্তান নেক হোক। আপনি তাকে গর্ভে নিয়ে যা করবেন, যেভাবে চলবেন, ঠিক সেরকমই একটা প্রভাব আপনার সন্তানের উপর পড়বে। তাই কোরআনিক আমল গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বেশি জরুরি। গর্ভস্থ সন্তান আনুমানিক ২০তম সপ্তাহের পর কোনো কিছু শোনার সক্ষমতা অর্জন করে। মা প্রতিদিন কিছু সময় কোরআন তেলাওয়াত করে বাচ্চা ও কোরআনের মাঝে সম্পর্ক জুড়ে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন, তোমাদের ওপর অবশ্যক হলো, তোমরা কোরআন শিক্ষাগ্রহণ করবে। তোমাদের সন্তানদের কোরআন শিক্ষা দেবে। কেননা এ বিষয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে। তার প্রতিদানও দেওয়া হবে। (বুখারির ব্যাখ্যাগ্রন্থ ইবনে বাত্তাল ৪৬ পৃষ্ঠা) বুজুর্গ আলেমগুণ...
গর্ভাবস্থায় মায়েদের কিছু আমল
অনলাইন ডেস্ক

হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আদর্শে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা যেমন হওয়া উচিত
অনলাইন ডেস্ক

আমরা অনেক সময় মনে করি ইসলামে ভালোবাসা বলে কিছু নেই, শুধু চোখমুখ বুজে রোবটের মত জীবন কাটাব। আসলে কিন্তু তা সঠিক নয়, বরং আমাদের নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার স্ত্রীদেরকে অনেক ভালোবাসতেন। ভালোবাসায় ছিল না কোন মিথ্যা, বেহায়াপনা বা অশ্লীল কিছু, ভালবাসা ছিল পবিত্র যা আমাদের জন্য আদর্শ। তিনি বলেন তোমরা ঐ পর্যন্ত জান্নাতে যেতে পারবেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত মুমিন হও, আর ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত একে অপরকে ভাল না বাসো। অতএব আমরা বুঝতে পারলাম ভালবাসা ঈমান এর আলামত। যাই হোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্ত্রীদেরকে কি পরিমাণ ভালোবাসতেন তার কয়েকটি নমুনা তুলে ধরা হলঃ প্রেম ও রোমান্টিকতা ১..নবীজি (স.)-এর পবিত্র দাম্পত্য জীবনে স্বীয় স্ত্রীদের সঙ্গে আন্তরিকতা ও রোমান্টিকতার এত সব চিত্র অঙ্কিত রয়েছে, যা একটি...
নবীদের প্রতি আল্লাহর সাহায্য ও সান্ত্বনা
মুফতি হুমায়ুন কবির মুহিউদ্দিন

নবী-রাসুলরা আল্লাহর পক্ষ থেকে কঠিন পরীক্ষারও সম্মুখীন হয়েছিলেন। দিয়েছেন ঈমান ও আমলের পরীক্ষা। তাঁরা সবাই সফল হয়েছেন; আল্লাহর সাহায্য লাভ করেছেন; পেয়েছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে সান্ত্বনার বাণী। কয়েকজন নবীর জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলো এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহর সান্ত্বনার বাণী নিম্নে উল্লেখ করা হলো। ১. আদম (আ.) একটি জান্নাতে নিষদ্ধি ফল খাওয়ার পর অনুতপ্ত হয়ে শত শত বছর কান্না করেছেন, দোয়া করেছেন। অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, অতঃপর তাঁর রব তাঁকে মনোনীত করলেন। পরে তাঁর তাওবা কবুল করলেন ও তাঁকে পথ দেখালেন। (সুরা ত্বা-হা, আয়াত : ১২২)। ২. নুহ (আ.) যখন নিজ সম্প্রদায় কর্তৃক বিপদাপন্ন ও নির্যাতিত হন, তখন তিনি আল্লাহকে ডাকেন, আল্লাহ তাআলা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবার পরিজন ও অনুসারীদের নৌকায় আরোহন করিয়ে সেই...
সম্রাট আকবরের ভূমি ও রাজস্বনীতি
ড. মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম

সম্রাট আকবর ভারতে কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নে তিনি অনবদ্য অবদান রেখে গেছেন। আকবরের রাজস্ব সংস্কার ও অর্থ ব্যবস্থা ছিল কৃষি উন্নয়নের সহায়ক। জমির উত্পাদিকাশক্তির ওপর রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করা ছিল আকবরের রাজস্ব সংস্কারের বিজ্ঞানসম্মত নীতি। আকবরের রাজস্বনীতি তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এ তিন বৈশষ্ট্যিগুলো হচ্ছে: ১. জমি জরিপ ও পরিমাণ নির্ধারণ, ২. জমির শ্রেণিবিভাগ এবং ৩. রাজস্বের হার নির্ধারণ। তিনি সমগ্র জমি জরিপ করে জমির উর্বরতা এবং কতকাল যাবত্ জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে, এসব ভিত্তিতে সমগ্র চাষের জমিকে চার ভাগে বিভক্ত করেন। যেমন: ১. পোলাজ জমি : যে সব জমিতে প্রতি বছরই চাষাবাদ করা যেত, স্বল্পকালীন সময়ের জন্যও তা অকর্ষিত রাখার প্রয়োজন ছিল না। ২. পারউতি জমি : যেসব জমির উর্বরতা রক্ষার জন্য মাঝে মধ্যে পতিত রাখা হতো। ৩. চাচার জমি : যে সব...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর