জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরূদ্ধে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের হুমকি এবং কমিশন প্রধানের পদত্যাগ দাবি করার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। সংস্কার কমিশন স্বাধীনভাবে তার পরামর্শ দিয়েছে। বাস্তবায়নের ভার সরকারের। প্রশাসন ক্যাডার সরকারের কাছে তাদের যুক্তি পেশ করতে পারে। কমিশনের কাজে বাগড়া দিতে পারে না। তারা বড়জোর কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মতামত দিতে পারে। প্রতিবেদনের ব্যাপারে পদ্ধতিগত পর্যবেক্ষণ জানাতে পারে। কিন্তু তাদের যোগাযোগের অপরপক্ষ কোনভাবেই সংস্কার কমিশন নয়, বরং সরকার। ফলে, সংস্কার কমিশনের বিরূদ্ধে তাদের এই আস্ফালন শুধুই ন্যাক্কারজনক নয়, মুর্খামিও। এদের এই প্রতিক্রিয়া অন্যান্য সংস্কার কমিশনকে ভীত করবে। কেউ এখন আর জনতুষ্টির বিপরীতে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইবে না।সংস্কার নিয়ে এই বিপ্লবী সরকারের যে কমিটমেন্ট ছিল, তার বারোটা বাজিয়ে...
সরকারের কমিটমেন্টের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের একটি কাণ্ড
সুমন রহমান
তারেক রহমানের ৩১ দফা- ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ভিত্তিমূল’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অব.)
মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। যে জাতীয়তাবাদের প্রায়োগিক রূপরেখা ছিল ১৯ দফা। সময়ের পরিক্রমায় বাস্তবতার নিরিখে জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের তাগিদে ১৯ দফার রূপান্তর ঘটেছে। যুগের তাগিদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতির ক্রান্তিলগ্নে প্রস্তাব করেন ভিশন-২০৩০। আবারো সময়ের পরিক্রমায় বাস্তবতার নিরিখে রূপান্তরিত ১৯ দফা ও ভিশন-২০৩০ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমন্বয় ও নির্দেশনার ভেতর দিয়ে রূপপরিগ্রহ করেছে দেশের সকল গণতান্ত্রিক দল-মতের অন্তর্ভুক্তিমূলক ৩১ দফায়। সর্বশেষ তারেক রহমান ৩১ দফায় এক সূতোয় বেঁধে দিয়েছেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী দল সমূহকে এবং সেই সাথে তিনি রচনা করেন বৈচিত্র্যের ভেতর ঐক্যের দর্শন। অতি সম্প্রতি...
তিন জোটের সেই রূপরেখা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
রুহিন হোসেন প্রিন্স
১৯৮২ সালের মার্চ মাসে জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বে দেশে সামরিক শাসন জারির পর ৯ বছর ধরে ওই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে ১৯৯০ সালের ২১ নভেম্বরে আন্দোলনরত ৮ দল, ৭ দল ও ৫ দল তিন জোটের রূপরেখা-এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের একটি কাঠামো উপস্থিত করে। নির্বাচনে ভোটচুরি, ভোট জালিয়াতি, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভোট ডাকাতি, মিডিয়া ক্যু এবং ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনি ফলাফল প্রকাশ-এর যে ধারা চলে আসছিল, তার অবসানে গণতান্ত্রিক ধারা উত্তরণে ওই রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছিল। ওই রূপরেখায় বলা হয়েছিল, দেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ধারা ও জীবনপদ্ধতি কায়েম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলমান গণ আন্দোলনে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে।... দেশবাসী বুকের রক্ত দিয়ে যে সংগ্রাম...
উন্নয়ন ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতা
আব্দুল বায়েস
Development consists of the removal of various types of unfreedoms that leave people with little choice and little opportunity of exercising their reasoned agency. The removal of substantial unfreedoms, it is argued here, is constitutive of development. ―Amartya Sen, Development as Freedom বিগত বছর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) সাংবাৎসরিক কনফারেন্সের আয়োজন করেছিলসংক্ষেপে এবিসিডি কনফারেন্স। তিন দিনের এই কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত সমাজ চিন্তক ও গবেষকদের সমাবেশ ঘটেছিল বিশেষত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সম্ভাবনা ও সমস্যা চিহ্নিতকরণে। ওই কনফারেন্সে উন্নয়ন, ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতা শিরোনামে প্রধান বিষয়বস্তু বক্তব্য (কি-নোট স্পিচ) প্রদান করেছিলেন যুক্তরাজ্যের আলসটার ইউনিভার্সিটির উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক এস আর ওসমানী। বলতে দ্বিধা নেই যে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অতি সাম্প্রতিক ঘটনাবলির সঙ্গে অধ্যাপক ওসমানীর অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন সারগ্রাহী বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা আমাকে কলম ধরতে অনুপ্রাণিত করেছে। দুই....
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর