শুনেছি আজ একরামের সেই মেয়েটির জন্মদিন। শুভেচ্ছা তাকে। নিশ্চয়ই তার আব্বুকে মনে পড়ে। আমরা কী ভুলতে পেরেছি সেই ভযাবহ ফোনালাপ? হয়েছে কী বিচার? একটু পেছনে ফিরে তাকাই। ২০১৮ সালের ২৬ মে রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের নোয়াখালীপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন তিন বারের কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগের সদস্য ও টেকনাফ যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল। একরামুলের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেছেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলায়, মামলা করতে চাওয়ায় আমাদের পরিবারকে অনেক হয়রানির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, বিচার চাইলে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী তাকে ফোন করেন। দুই মন্ত্রীই আমাকে মিডিয়ার সঙ্গে যেন কথা না বলি সেটা বলেছিলেন এবং আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তারা আমার দাবির...
‘আল্লাহ আমাকে একবার কথা বলতে দাও’
জাভেদ পীরজাদা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবারও নোবেল পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন!
সোমা তাহেরা চৌধুরী
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবারও নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হতে পারেন!! ড. মুহাম্মদ ইউনূস যিনি বিশ্বের কাছে ড. ইউনিভার্স নামে পরিচিত! তাঁর মাইক্রোক্রেডিট ধারণার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে একটি বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন। এই কাজের জন্য তিনি ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর অবদান এখানেই শেষ নয়।২০১৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বই A World of Three Zeros এ ড. ইউনূস একটি নতুন এবং সাহসী ধারণা উপস্থাপন করেছেন যা তিনি Three Zeros থিয়োরি নামে পরিচিত করেছেন। এই থিয়োরি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নিয়ে গঠিত Zero Poverty Zero Unemployment এবং Zero Net Carbon Emissions এই ধারণা বাস্তবায়িত হলে এটি আবারও ড. ইউনুসকে নোবেল পুরস্কারের মঞ্চে নিয়ে আসতে পারে এবং কেননা এই থিয়োরি আমাদের বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলির সমাধান হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। Zero Poverty:-দারিদ্র্যের অবসান ড. ইউনূসের Three Zeros...
পারতে আমাদের হবেই
মোফাজ্জল করিম
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর (না)পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় মুক্তিযুদ্ধ। সেদিনের বিজয়োল্লাসের কথা আমার মতো প্রবীণদের মানসপটে চিরকাল জ্বলজ্বল করবে, এটাই স্বাভাবিক। এরপর সুখে-দুঃখে কেটে গেছে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসরূপে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিবছরই পালিত হয়। তবে একাত্তর বা একাত্তর-পরবর্তী বছরগুলোর সেই উন্মাদনা আর নেই এই দিবস উদযাপনে। এটাও স্বাভাবিক। কেন স্বাভাবিক? যদি বলি, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক এখন মুক্তিযুদ্ধ নয়, অহরহ পর্যুদস্ত হচ্ছে আরেক যুদ্ধে। সেটা কী? সেটা জীবনযুদ্ধ। এই মানুষগুলোর কাছে খেয়েদেয়ে কোনোমতে বেঁচে থাকার যে সংগ্রামতার কাছে অন্যসব আনন্দ-উল্লাস বৃথা। অথচ একাত্তর-বাহাত্তরের তুলনায় দেশের সব মানুষের আয় বেড়েছে। গ্রামগঞ্জেও এখন আর আগের মতো খালি গায়ে খালি পায়ে...
পেছনে অনুসরণকারীরা কারা ?
ইব্রাহিম খলিল শাওন
গত ৪ ডিসেম্বর ভার্সিটি থেকে ফিরছিলাম। কিছুটা পথ হেঁটে তারপর বাসায় আসতে হয়। আমি অন্যান্য দিনের মতই হেঁটে আসছিলাম। কিছুক্ষণ পর আমার মনে হলো অনেকক্ষণ যাবত একজন লোক আমার পেছন পেছন আসছে। আমি প্রথমে কিছুই মনে করিনি, কারণ রাস্তায় তো কত মানুষই আসা যাওয়া করে। কিন্তু সন্দেহ হলো তখন যখন আমি ফুটপাতের একটা দোকানে একটা জিনিস কিনতে দাঁড়িয়েছি এবং লোকটাও একটু পাশেই দাঁড়িয়েছে। আমি যেই গলিতে বাঁক নিয়ে যাচ্ছি উনিও একই দিকে বারবার মুভ করছে, এবং প্রতিবারই আমার থেকে অল্প কিছু দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটছে। ছিনতাইকারী কি-না এটাও মাথাও এসেছিল। কিন্তু লোকটার বেশভূষা কোনভাবেই ছিনতাইকারীর মত না। আইরন করা সাদা একটা শার্ট, চোখে সানগ্লাস এবং হাইটে অনেকটাই লম্বা। উনি কি আসলেই আমাকে ফলো করছেন কিনা এটা পরীক্ষা করার জন্যে আমি চায়ের দোকানে এমনি চা খাওয়ার ভান করে দাঁড়াই। তখন দেখলাম...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর