মদিনার খাযরাজ গোত্রের বনু নাজ্জার শাখার সন্তান হাসসনা (রা.)। তিনি ছিলেন রাসুল (সা.)-এর বিশেষ কবি সাহাবি এবং মুসলিম-কবিদের প্রধান। কাব্যরচনার মাধ্যমে তিনি রাসুল (সা.) এর বিরুদ্ধে কাফিরদের রচিত কবিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতেন। (সিয়ারু আলামিন নুবালা : ২/৫১২৫১৩পৃ.)। বয়সের দিক থেকে হযরত হাসসান রাসুল (সা.) এর থেকে ৭/৮ বছর বড়। হযরত হাসসান (রা.)-এর একটি বর্ণনা দ্বারা তাই প্রমাণিত হয়। তিনি বলেন, আমার জন্মভূমি মদিনায়। তখন আমার বয়স ৭/৮ বছর। যা শুনি, তা বুঝি। হঠাৎ এক ইহুদিকে দেখলাম। সে মদিনার একটা টিলার উপর দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে ইহুদি লোকজনকে ডাক দিল। মুহূর্তের মধ্যে বেশ কিছু লোক জড়ো হলো। বলল, কী ব্যাপার, কী হয়েছে? সে বলল, আজ রাত আহমাদ নামের নক্ষত্রটি উদয় হয়েছে, যিনি শীঘ্রই নবী হয়ে আত্মপ্রকাশ করবেন। (তাহযীবুল কামাল : ৬/১৯, তাহযীবু তাহযীব : ২/২৪৮)। হাসসান (রা.) কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ...
নবীজির কাব্যযোদ্ধা হাসসান ইবনে সাবিত (রা.)
মাইমুনা আক্তার
আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক
এমাদ উদ্দিন
আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক। কেউ কাউকে চেনে না, প্রতিবেশীর হক আদায় করে না। অথচ ইসলামে প্রতিবেশীর প্রতি সম্পর্কের গুরুত্ব অত্যন্ত উচ্চমানের। এটি সমাজের শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশীর আরবি প্রতিশব্দ জার এবং ইংরেজি প্রতিশব্দ Neighbour. পারিভাষিক অর্থে A person who lives next to you or near you. তোমার পরে বা পার্শ্বে বসবাসকারী লোক। ইবনুল মানজুর (রহ.) তার বিখ্যাত লিসানুল আরব গ্রন্থে বলেন, প্রতিবেশী হচ্ছে যে ব্যক্তি আইনত তোমার পার্শ্বে অবস্থান করছে, সে মুসলিম হোক বা কাফের, পুণ্যবান হোক বা পাপী, বন্ধু হোক বা শত্রু, দানশীল হোক বা কৃপণ, উপকারী হোক বা অনিষ্টকারী, আত্মীয় হোক বা অনাত্মীয়, দেশী হোক বা বিদেশী। প্রতিবেশী গণ্য হওয়ার সীমা: কত দূর এলাকার অধিবাসীরা প্রতিবেশী হিসাবে গণ্য হবেএ সম্পর্কে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া...
নবীজি (সা.) কোন নামাজে কোন সুরা পড়তেন
হাবিবা রহমান উজরা
নামাজে কোরআন তিলাওয়াত করা ফরজ আর সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের যে কোনো স্থান থেকে তিলাওয়াত করলে নামাজের ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে নবী কারিম (সা.) কিছু নামাজে কিছু সুরা বেশি পড়তেন। ফকিহ আলেমরা কেরাতের ক্ষেত্রে নবীজি (সা.)-এর অনুসৃত নিয়ম অনুসরণকে সুন্নত বলেন। নবী কারিম (সা.) নামাজে সাধারণত নামাজে কিভাবে এবং কোন কোন সুরা পড়তেন তা নিম্নে তুলে ধরা হলো। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কেরাতপাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজে কোরআন তিলাওয়াতে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা সুন্নত। ১. সফর অবস্থায় সুরা ফাতিহার পর যে কোনো সুরা মিলিয়ে নিলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধ্য-বাধ্যকতা নেই। ২. ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজরাত থেকে সুরা বুরুজ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া। ৩. আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক থেকে সুরা বায়্যিনা পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া। ৪....
দোয়া কবুলের ‘সময়’
অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার পবিত্র জুমাবার। শুক্রবারের এই জুমাবারকে বলা হয় গরিবের হজের দিন। সপ্তাহের সব দিনের চেয়ে এ দিনের মর্যাদা অনেক বেশি। এদিনের কিছু সময় রয়েছে, যখন কেউ দোয়া করলে আল্লাহতায়ালা তা ফিরিয়ে দেন না। তবে সেই মুহূর্তগুলো কখন কখন এ নিয়ে মুসলিম মনীষীরা বিভিন্ন সময়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। নিউজ-২৪ এর সংবাদ পাঠকদের জন্য নিম্নে সংক্ষেপে ওই সময়গুলো উল্লেখ করা হলো- আসরের সময় : কোনো বস্তুর ছায়া সমপরিমাণ বা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আসরের নামাজের সময় শুরু হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবি জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আসরের শেষ সময়ে তা তালাশ করো (আবু দাউদ, হাদিস ১০৪৮, নাসায়ি, হাদিস ১৩৮৯)। আসহাবে সুফফার অন্যতম সদস্য আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর