সারা দেশের এক কোটির বেশি ছোটবড় শিল্পোদ্যোক্তার পাশে যেন কেউ নেই। নিজেরাই সংগ্রাম করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। একদিকে অর্থনৈতিক নানা সংকট অন্যদিকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ব্যাংকঋণ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নানা জটিলতা, নতুন চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। এর সঙ্গে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে দেশের শিল্প খাত ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপে কারখানা বন্ধ করতে হচ্ছে, বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে অযাচিত শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। নতুন চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধে পুলিশি সহায়তা চাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেক উদ্যোক্তা অভিযোগ করছেন। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে যারা কাজ করছে, সেসব বড় কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণের চেয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশে নতুন কর্মসংস্থান...
ব্যবসাবাণিজ্যে বিপজ্জনক খরা, দাঁড়াতে পারছেন না স্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তারা
অনলাইন ডেস্ক
মন্দা কাটছে না, কমেছে কাঁচামাল আমদানি
অনলাইন ডেস্ক
গত নভেম্বর মাসে কাঁচামাল আমদানি কমে ৫২৭ কোটি ডলারে নেমে আসায় দেশে ব্যবসাবাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৬০ কোটি ডলার। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানি কম হওয়ায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পায়। এমন একটি প্রতিকূল অর্থনৈতিক চক্র বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং ভোক্তাদের একইভাবে উদ্বিগ্ন করে। যেমন আমদানি কমার প্রভাবে বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি, যার প্রভাব পড়ে ভোক্তার ওপর। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে ঋণপত্র খোলার (এলসি) মাধ্যমে আমদানি লেনদেনের মূল্য ৬ শতাংশ কমে ৫২৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৫৬০ কোটি ডলার। চলতি বছরের পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) আমদানি বাণিজ্যের জন্য খোলা ঋণপত্রের মোট মূল্যও ১ শতাংশের মতো কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের...
পোশাক শিল্প সংকটে, ৬ মাসে ১০০ কারখানা বন্ধ: বিজিএমইএ
অনলাইন ডেস্ক
দেশের তৈরি পোশাক শিল্প থেকে রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসলেও এই খাতের সংকট যেন কাটছেই না। শ্রমিক অসন্তোষ, জ্বালানি সংকটসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জে জর্জরিত শিল্পটি। সম্প্রতি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, গত ছয় মাসে ১০০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে বেকার হয়েছেন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক। এছাড়া ১৫৮টি কারখানা নিয়মিত বেতন দিতে পারছে না। শিল্প মালিকদের দাবি, সংকট নিরসনে বড় কারখানাগুলোকে সহায়তা করা হলেও ছোট কারখানাগুলোর প্রতি সরকার যথাযথ মনোযোগ দিচ্ছে না। বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ৯ শতাংশ বেতন বাড়ানোর পরও অসন্তোষ কমেনি। এটি খাতটির সামগ্রিক অস্থিতিশীলতা বাড়াচ্ছে। মিথিলা অ্যাপারেলসের...
পুঁজিবাজারের অস্থিরতায় দায় রেগুলেটর ও প্লেয়ারদের: অর্থ উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক
পুঁজিবাজারের অস্থিরতা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের দায়ী না করে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের দায় নেই। বরং এর পেছনে রেগুলেটর ও প্লেয়ারদের বড় ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যাংকিং অ্যালমানাক গ্রন্থের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ড. সালেহউদ্দিন বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে বলেন, আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো ভিত্তি নেই। এসব শেয়ার কাগজের মতোই মূল্যহীন হয়ে যাবে। শেয়ারের দাম কমলেই আন্দোলনে নামা সমাধান নয়। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে আমাদের অবস্থান ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতোই। এখানে দীর্ঘদিন ধরে তথ্য লুকানোর প্রবণতা দেখা গেছে, যা পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। পুঁজিবাজারসহ আর্থিক খাতের উন্নয়নে ন্যাশনাল...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর